বিষয়বস্তুতে চলুন

ব্যবহারকারী:অরণ্য/হুড়হুড়ি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলা নাম- হুড়হুড়ি, ইংরেজিতে- Spider Flower। বৈজ্ঞানিক নাম- Cleome spinosa।

আদি নিবাস[সম্পাদনা]

ফুটবলের উর্বর ভূমি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে-উরুগুয়ে এ ফুলের আদি নিবাস। আগমন- সুদূর দক্ষিণ অ্যামেরিকা থেকে। দামি ফুল। যদিও বাংলার বাগানে তো বটেই বন জঙ্গলেও এ ফুলের দেখা মিলবে।

প্রকার[সম্পাদনা]

বেগুনি, হালকা বেগুনি এবং সাদা রঙের ফুল ফুটতে দেখা যায়। এ তিন রঙের ফুলকে ‘Violet Queen’, ‘Rose Queen’, এবং ‘White Queen’ নামে ডাকা হয়।

বর্ণনা[সম্পাদনা]

দীর্ঘ দেহী গাছে উপরে ফুটেথাকা ফুল বাতাসে দুলতে থাকে, “আজি যেন দোলন খেলা সারা বেলা…।” গাছ ৬০-৯০ সে.মি উঁচু হয়। কখনো ১২০ সে.মি পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কাণ্ড সবুজ, আঠালো, রোশম, শক্তিশালী-সুবাসিত, কাণ্ডের গায়ে কাঁটা থাকে। ঝোপাল। পাতার বোটা লম্বা, করতলাকারে খণ্ডিত ফলক, লতি ৫টি। কাণ্ড ও পাতা উভয়ই খাওয়া যায়। লম্বা মঞ্জুরিতে ফুল ফোটে। লম্বা বোটা। পুরো গাছ জুড়ে রয়ে যাওয়া এ লম্বা বোটাগুলো দেখতে অনেকটা মাকড়সার পায়ের মত দাড়ায়। হয়ত এ কারণেই এ গাছের নাম স্পাইডার ট্রি। বৃতি ৫-৮ মি.মি। পাপড়ি ৪ টি, পুংকেশর ৬ টি। ফল ৩০-৪৫ মি.মি লম্বা ও ৩ মি.মি প্রশস্ত।

বর্ষা-শরতে ফুল ফোটে। মূলত বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে। এক অর্থে এ প্রজাতি মৌসুমিও বটে। গাছ মারা যাবার পর এদের ভালব ও রাইজোম মাটির নিছে রয়ে যায় এবং তা গরমের ঋতুতে পুনরায় গাছে রূপান্তরিত হয়। প্রতি বছরই এমন করে নতুন গাছ গজায়। ফলে এর কন্দজ বিস্তারও সম্ভব।

ব্যবহার[সম্পাদনা]

এ গাছের কচি কাণ্ড খেলে গরমে শীতলতা বোধ হয়, ক্লান্তি দূর করে। এমনকি রক্তচাপ কমে যায় এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত! এই উদ্ভিদ থেকে যে তেল পাওয়া যায় তাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কীটনাশক এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান আছে।

উচ্চমাত্রার সালফার-ডাই-অক্সাইড বা ক্লোরিন এর উপস্থিতিতেও এ গাছ টিকে থাকতে পারে। এর আছে শক্তিশালী শোষণ ক্ষমতা, তাই এটি পরিবেশ সৌন্দর্যমণ্ডিত করার পাশাপাশি বায়ু পরিশোধন করে বাতাস কে করে নির্মল।