উৎস রূপান্তর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উৎস রূপান্তর প্রক্রিয়া

কোন কৌশল বা পদ্ধতি অবলম্বন করা ছাড়া কোন বর্তনীর সমাধান বের করা কঠিন। বর্তনীর সমাধানগুলো মাঝে মাঝে সহজবোধ্য হয়ে ওঠে, বিশেষ করে মিশ্র উৎস বিশিষ্ট বর্তনীতে যেখানে বিভব উৎস ও বিদ্যুৎ উৎস দুটোই বিদ্যমান থাকে , তখন বিভব উৎসকে বিদ্যুৎ উৎসে এবং বিদ্যুৎ উৎসকে বিভব উৎসকে রূপান্তর করে আমরা বর্তনীকে সহজবোধ্য করতে পারি।[১] এই পদ্ধতিকে বলে উৎস রূপান্তর (ইংরেজি: Source transformation) এবং এটা থেভেনিনের তত্ত্বে এবং নর্টনের তত্ত্বে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

পদ্ধতি[সম্পাদনা]

উৎস রূপান্তর হলো ও'মের সূত্র ব্যবহারের একটি পদ্ধতি; যেখানে একটি বিদ্যমান রোধের সাথে সিরিজে থাকা বিভব উৎসকে একটা বিদ্যুৎ উৎসের সমান্তরালে ব্যবহার করা হয়। আমরা ও'মের সূত্র স্মরণ করে দেখি যে একটা বস্তুতে বিদ্যমান বিভব ঐ বস্তুর রোধ এবং মোট বিদ্যুৎ প্রবাহের গুণফলের সমান।যেহেতু উৎস রূপান্তর হলো দ্বিমুখী একটি প্রক্রিয়া, তাই একটা থেকে আরেকটা বের করা যায়।[২] যাইহোক, রেজিস্টিভ বর্তনীর জন্য উৎস রূপান্তর সীমাবদ্ধ না।ধারক এবং আবেশক বিশিষ্ট বর্তনীতেও এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। সাধারণভাবে, উৎস রূপান্তরের ধারণা হলো বিদ্যুৎ উৎসে থেভেনিনের তত্ত্বের ব্যবহার অথবা বিভব উৎসে নর্টনের তত্ত্বের ব্যবহার।

বিশেষভাবে, উৎস রূপান্তর হলো একটা আসল বিদ্যুৎ উৎস ও আসল বিভব উৎসের সমান করা ধারণা, যেমন একটা ব্যাটারী। থেভেনিনের তত্ত্বের প্রয়োগ এবং নর্টনের তত্ত্বের প্রয়োগ থেকে সর্বসম হওয়ার সাথে সম্পর্কীত উপাদান পাওয়া যায়।বিশেষকরে, যদি ধরি আমাদের একটি আসল বিদ্যুৎ উৎস I আছে, যা একটি আদর্শ বিদ্যুৎ উৎস এবং একটি ইম্পিডেন্সের সমান্তরালে আছে। যদি আদর্শ বিদ্যুৎ উৎসকে I অ্যাম্পিয়ার এবং সমান্তরাল রোধের ইম্পিডেন্স Z ধরা হয়, তখন উৎস রূপান্তর প্রয়োগ আমাদের দেয় একটি আদর্শ সমতুল্য আসল বিভব উৎস এবং তা থাকে ইম্পিডেন্সের সাথে সিরিজে। এই নতুন বিভব উৎস হলো V যার মান হলো আদর্শ বিদ্যুৎ-এর মানের সাথে আদর্শ বিদ্যুৎ উৎসে সঞ্চিত রোধের মানের গুণফলের সমান। আদর্শ বিভব উৎসের ইম্পিডেন্সের উপাদানের মান থাকে এর আসল বিদ্যুৎ উৎসের মানের মতো। সাধারণভাবে উৎস রূপান্তরের সারাংশ করা যেতে পারে ২টি বিষয় মাথায় রেখেঃ

  1. ও'মের সূত্র;
  2. ইম্পিডেন্সকে সমান রেখে

হিসাবের উদাহরণ[সম্পাদনা]

উৎস রূপান্তর সহজভাবে করা যায় যতক্ষণ এখানে একটা পরিচিতি থাকছে ও’মের সূত্রের সাথে। সাধারণভাবে, যদি একটা বিভব উৎস একটি ইম্পিডেন্সের সাথে সিরিজে থাকে, এটা খুবই সম্ভব ইম্পিডেন্সের সমান্তরালে থাকা সমতুল্য বিদ্যুৎ উৎসের মান জানা যেখানে বিভব উৎসের মানকে ইম্পিডেন্সের মান দিয়ে ভাগ করা হয়। প্রাথমিকভাবে যদি একটি বিদ্যুৎ উৎস ইম্পিডেন্সের সমান্তরালে থাকে, তবে বিদ্যুৎ উৎসের মানকে ইম্পিডেন্সের মান দিয়ে গুণ করে আমরা সমতুল্য বিভব উৎসের মান পাই যা ইম্পিডেন্সের সাথে সিরিজে থাকবে। উৎস রূপান্তরের সময় কি করা হয় তার একটা উদাহরণ আমরা নিচে দেখতে পাবঃ

স্মরণ করুন:


আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Oppenheimer, Samuel L. (1984). Fundamentals of Electric Circuits. New Jersey: Prentice Hall
  2. Nilsson, James W., & Riedel, Susan A. (2002). Introductory Circuits for Electrical and Computer Engineering. New Jersey: Prentice Hall