ঘণ্টাঘর
ঘণ্টাঘর বলতে এমন একটি ভবনকে (প্রায়শই বুরূজ বা মিনার আকৃতির) বোঝায়, যেটিতে এক বা একাধিক ঘণ্টা রক্ষিত থাকে, কিংবা যেটিকে ঘণ্টা রাখার জন্য নকশা করা হয় (ঘণ্টা না থাকলেও)। এরূপ বুরূজ প্রায়শই কোনও খ্রিস্টান গির্জার অংশ হিসেবে বিদ্যমান থাকে এবং এগুলিতে গির্জার ঘণ্টাগুলি রক্ষিত থাকে। তবে অনেক ধর্মনিরপেক্ষ ঘণ্টাঘরও রয়েছে, যেগুলি প্রায়শই কোনও পৌর ভবন বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশ হয়ে থাকে কিংবা এগুলিকে একটি সুরেলা ঘণ্টাস্তবক ধারণ করার জন্য বিশেষভাবে নির্মাণ করা হয়ে থাকে। ধর্মনিরপেক্ষ ঘণ্টাঘরগুলিতে সাধারণত একটি ঘড়িও অঙ্গীভূত থাকে, এমনকি গির্জার ঘণ্টাঘরগুলিতে জনসেবার্থে ঘড়ি থাকতে পারে।
বিশ্বের সর্বোচ্চ নিরাবলম্ব স্বাধীনভাবে দণ্ডায়মান ঘণ্টাঘরটি হল ইতালির ফ্রিউলি ভেনেৎসিয়া জুলিয়া অঞ্চলে অবস্থিত মোরতেইলিয়ানো ঘণ্টাঘর, যার উচ্চতা ১১৩.২ মিটার (অর্থাৎ এটি প্রায় ৩৪ তলাবিশিষ্ট একটি ভবনের সমান উঁচু)।[১][২]
অন্যান্য ভাষায় ব্যবহার
[সম্পাদনা]ইতালীয় ভাষায় ঘণ্টাকে "কাম্পানা" বলে এবং ঘণ্টাঘরকে "কাম্পানিলে" (Campanile) বলে। তবে ইংরেজি ভাষাতে ইতালীয় কৃতঋণ শব্দ "ক্যাম্পানিলে" দিয়ে কেবলমাত্র কোনও নিরাবলম্ব দণ্ডায়মান ঘণ্টাঘরকে (যা কোনও ভবনের সাথে সংযুক্ত নয়) বোঝানো হয়। অন্যান্যগুলিকে ইংরেজিতে "বেল টাওয়ার" বলে। কোনও কোনও ঐতিহ্যে এগুলিকে "বেলফ্রাই" বলা হতে পারে, তবে বেলফ্রাই পরিভাষাটি দিয়ে সমগ্র বুরূজটির পরিবর্তে যে উপকাঠামোটি ঘণ্টা ও ঘণ্টাবাদক অংশগুলি ধারণ করে, বিশেষ করে কেবল সেই অংশটিকেই বোঝানো হতে পারে।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
জাপানের তৌদাই-জি শহরের পুরাতন ঘণ্টাঘর (৭৫২ খ্রিস্টাব্দ, পুনর্নিমাণ ১২০০ খ্রিস্টাব্দ)
-
নেদারল্যান্ডসের উট্রেখট শহরের সাধু মার্টিনের মহাগির্জার ঘণ্টাঘর (১৩শ শতাব্দী)
-
যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালের ফেয়ক শহরের গির্জার পৃথক ঘণ্টাঘর (১৩শ শতাব্দী)
-
ইংল্যান্ডের লিংকনশারের লিটল বাইথাম শহরের সেন্ট মেডারডাস ও সেন্ট জিলডারডাস গির্জার অভ্যন্তরে ঘণ্টাঘর (১৩শ শতাব্দী)
-
বেইজিং ঘণ্টাঘর (১২৭২, পুনর্নির্মাণ ১৪২০ ও ১৮০০)
-
শি-আনের ঘণ্টাঘর (১৩৮৪)
-
আলস্টের ঘণ্টাঘর, বেলজিয়াম (১৪৬০)
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "25 tallest clock towers/government structures/palaces" (পিডিএফ)। Council on Tall Buildings and Urban Habitat। জানুয়ারি ২০০৮। ২০০৮-১০-৩০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-০৯।
- ↑ "Campus tour booklet" (পিডিএফ)। University of Birmingham। ২০০৯-০৯-০২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-০৯।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Belfries of Belgium and France, UNESCO World Heritage Centre entry
- Les Beffrois – France, Belgique, Pays-Bas, blog describing several bell towers (in French)
- All Saints Bell Tower