নাম-হট্ট
নাম-হট্ট শব্দবন্ধটির আক্ষরিক অর্থ হল– "নামের (কৃষ্ণ নামের) হাট তথা বাজার স্থল"। [১]
গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ভারতের প্রখ্যাত গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের দার্শনিক ভক্তিবিনোদ ঠাকুর প্রবর্তিত কার্যক্রম 'নাম-হট্ট'-এর মাধ্যমে সম্পন্ন হত। বিশ শতকের গোড়ার দিকে তিনি বাংলা ও উড়িষ্যার গ্রামে গ্রামে ভ্রমণের মধ্যে ধর্মপ্রচারমূলক কার্যক্রম পরিকল্পনা করেন এবং কার্যক্রম টিকে 'নাম-হট্ট' আখ্যা দেন। ভ্রাম্যমাণ প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা, মুদ্রিত উপকরণ সঙ্গে নিয়ে বাংলা কীর্তন গানে সারা বাংলার গ্রাম ও শহর জুড়ে ধর্মতত্ত্ব এবং চৈতন্যের অনুশীলন ছড়িয়ে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য। বিচার ব্যবস্থায় আদালতের যেমন সার্কিট কোর্ট ব্যবস্থা আছে, তারই অনুকরণে একাধিক অবস্থানে 'কীর্তন গান' পরিবেশন, শ্রীকৃষ্ণের প্রসাদ বিতরণ 'নাম-হট্ট' -এ হয়ে থাকে। [২] ভক্তিবিনোদ ঠাকুর সারা বাংলায় প্রায় পাঁচ শতাধিক 'নাম-হট্ট' প্রতিষ্ঠা করেছিলেন [৩] এবং নদিয়ার মায়াপুরে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত বাসস্থান স্বানন্দ সুখদ কুঞ্জ হতে এগুলি পরিচালিত হত। জনসাধারণের মধ্যে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা প্রচারে ও জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে যেমন সাফল্য মিলেছিল, তেমনই উচ্চ শ্রেণীর পৃষ্ঠপোষকদের, অনুগামীদের ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করেছিল নাম-হট্ট। [৪]
পাদটীকা[সম্পাদনা]
- Dasa, Shukavak N. (১৯৯৯), Hindu Encounter with Modernity: Kedarnath Datta Bhaktivinoda, Vaiṣṇava Theologian (revised, illustrated সংস্করণ), Los Angeles, CA: Sanskrit Religions Institute, আইএসবিএন 1-889756-30-X, সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৪
- Fuller, Jason Dale (২০০৫)। Bhaktivinode Thakur and the transformation of religious authority among the Gauḍīya Vaisṣṇavas in nineteenth-century Bengal (PhD)। University of Pennsylvania। UMI Microform 3179733। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৪।