হুসামুদ্দিন জারুল্লাহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জারুল্লাহর প্রতিকৃতি

হুসাম আদ-দীন জারুল্লাহ (আরবি: حسام الدين جار الله; ১৮৮৪ - ৬ মার্চ ১৯৫৪) কর্তৃত্বপ্রাপ্ত শক্তির অধীন ফিলিস্তিন থাকাকালীন সময়ে ফিলিস্তিনি জনগণের একজন সুন্নি মুসলিম নেতা ছিলেন এবং ১৯৪৮ থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত জেরুসালেমের প্রধান মুফতি ছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

জারুল্লাহ জেরুজালেমে জন্মগ্রহণ করেন এবং মিশরের কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করেন। তিনি কর্তৃত্বপ্রাপ্ত শক্তির অধীন ফিলিস্তিন থাকাকালীন সময়ে সর্বোচ্চ মুসলিম পরিষদের একজন নেতৃস্থানীয় সদস্য ছিলেন। রাজনৈতিকভাবে, তিনি ছিলেন নাশাশিবিদের মিত্র এবং আল-হুসাইনিদের প্রতিদ্বন্দ্বী। ১৯২১ সালে কামিল আল-হুসাইনি মারা গেলে, প্রধান মুফতি হিসাবে আল-হুসাইনির উত্তরাধিকারী হওয়ার জন্য জেরুজালেমের উলামায়ে কেরামের উল্লেখযোগ্য সমর্থন তার পক্ষে ছিল। প্রকৃতপক্ষে, তিনি এই পদের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। যদিও ব্রিটিশ হাইকমিশনার হার্বার্ট স্যামুয়েল জারাল্লাকে আবেদন প্রত্যাহার করতে রাজি করান, পরবর্তীতে আল-হুসাইনির ভাই মুহাম্মদ আমিন আল-হুসাইনি-কে প্রার্থী হিসাবে যোগ্যতা অর্জনের অনুমতি দেন, যাকে স্যামুয়েল পরে জেরুজালেমের প্রধান মুফতি নিযুক্ত করেন।[১] সান্ত্বনা হিসাবে, ব্রিটিশরা জারুল্লাহকে প্রধান কাজী ও ফিলিস্তিনের মুসলিম ধর্মীয় আদালতের পরিদর্শক হিসাবে নিযুক্ত করেন।

১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর, ট্রান্সজর্ডান (বর্তমানে জর্ডান) পূর্ব জেরুজালেম এবং জেরুসালেমের পুরনো শহর সহ পশ্চিম তীর দখল করে, যা নির্বাসিত প্রধান মুফতি বিরোধিতা করেছিলো। ২০ ডিসেম্বর ১৯৪৮-এ, বাদশাহ প্রথম আবদুল্লাহ আল-হুসাইনির জায়গায় জারুল্লাহকে মুফতি হিসাবে নিযুক্ত করেন।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Martin Sicker, Pangs of the Messiah: The Troubled Birth of the Jewish State (Praeger 2000) p. 32f.
  2. Nevo, J. (১৫ নভেম্বর ১৯৯৬)। King Abdallah and Palestine: A Territorial Ambition (ইংরেজি ভাষায়)। Springer। পৃষ্ঠা 193। আইএসবিএন 978-0-230-37883-4 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]