রুথ রাসনিক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রুথ রাসনিক

রুথ রাসনিক ( হিব্রু : רות רזניק, জন্ম ১৯৩২) ইসরায়েলের পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে সংগ্রামে একজন ইসরায়েলি সামাজিক-রাজনৈতিক কর্মী, একজন লেখক ও অনুবাদক। রুথ রাসনিক তার ভালো কাজের জন্য ২০০৯ সালে “ইসরাইল পুরস্কার” জিতেন।

শুরুর বছরগুলো[সম্পাদনা]

রুথ রাসনিক (নি লাক্স) জেরুজালেমে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব জেরুসালেমতেল আবিবে অতিবাহিত হয়। ১৪ বছর বয়সে তিনি এটজেলে এবং দুই বছর পর কিবুটজ রুহামা এ “যৌবন বন্দোবস্ত গ্রুপ” এ যোগদান করেন। তিনি ইসরায়েলি বিমান বাহিনীতে চাকরি করেন। এরপরে লন্ডনে ইসরায়েলি দূতাবাসে কাজ করেন। ১৯৫৬ সালে তার ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর পর ইসরায়েলে ফিরে আসেন।

সক্রিয়তা[সম্পাদনা]

১৯৭৭ সালে তিনি এলও- নারীর বিরুদ্ধে লড়াই ও সহিংসতাসংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।[১] এটি একটি অলাভজনক সংস্থা যা নারীদের সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করে। তিনি ৩৪ বছর ধরে এ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হিসাবে আছেন। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এ সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে আছেন। রুথ রাসনিক হলেন উদার “রতজ” রাজনৈতিক দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নামাতে পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে, রুথ রাসনিক ইসরায়েল নারী নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতাদের সাথে যোগ দেন। এর নেতৃত্ব ও সংগঠক হিসাবে ছিলেন অধ্যাপক ড অ্যালিস শালভী। তিনি বলেন, “ইসরাইলের নেতৃস্থানীয় এ সংস্থা নারীর প্রতি সহিংসতার বিষয়টি মোকাবেলা করে। আমরা এটিকে একটি জাতীয় সমস্যা বানিয়েছি, আইন পরিবর্তন করতে সাহায্য করেছি, নারী দলের নেতৃবৃন্দকে প্রচারাভিযানে অংশগ্রহন করে গার্হস্থ্য সহিংসতার বিষয়ে ইসরায়েল এবং বিদেশে বক্তৃতা দিয়েছি। এ সংস্থা পুলিশের আচরণ পরিবর্তনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সকল রাজনৈতিক দলের নেসেটের সদস্যদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখে।”

পুরস্কার এবং সম্মননা[সম্পাদনা]

১৯৯১ এবং ২০০৬ সালে, রুথ রাসনিক তার অবদানের জন্য ইসরায়েল ওমেনস নেটওয়ার্ক দ্বারা স্বীকৃত হয়।[যাচাই প্রয়োজন]

২০০০ সালে, তিনি মাউন্ট হার্জেল সামরিক কবরস্থানে বার্ষিক অনুষ্ঠানে মশাল জ্বালানোর জন্য নির্বাচিত হন , পতিত সৈন্যদের জন্য ইসরাইলের স্মৃতি দিবস বন্ধ করে দেন এবং সমাজের মূল্যবান সদস্যদের সম্মান দেন।

২০০৮ সালে, তিনি প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট কর্তৃক নারীদের মর্যাদার জন্য তার উপদেষ্টা পরিষদে নিযুক্ত হন।

২০০৯ সালে, রাসনিক তার আজীবন কৃতিত্ব এবং সমাজ ও রাজ্যে বিশেষ অবদানের জন্য ইসরায়েল পুরস্কারে ভূষিত হন। [২][৩]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

  • ইসরাইল পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা
  • মহিলাদের আত্মা

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "L.O."। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  2. "Israel Prize Official Site (in Hebrew) - Recipient's C.V." 
  3. "Israel Prize Official Site (in Hebrew) - Judges' Rationale for Grant to Recipient"