হিদায়া সুলতান আল-সালেম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

হিদায়া সুলতান আল-সালেম (আরবি: هدايه سلطان السالم, ১৯৩৬ – ২০ মার্চ ২০০১), একজন কুয়েতি সাংবাদিক ও লেখক, যিনি কুয়েতের কুয়েত সিটি থেকে প্রকাশিত রাজনৈতিক ম্যাগাজিনআল-মাজলিস এর মালিক ও সম্পাদিত। তিনি কুয়েতের প্রথম মহিলা যিনি একটি প্রকাশনার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন একজন নারীবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী এবং তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং কুয়েতে নারীর অধিকার ও ভোটাধিকার পক্ষে প্রচারণা চালান। [১][২][৩] কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস ১৯৯২ সালে এই কাজগুলো নথিভুক্ত করা শুরু করার পর থেকে তিনিই প্রথম সাংবাদিক হিসেবে কুয়েতে নিহত হন।[৪][৫]

ব্যক্তিগত[সম্পাদনা]

হিদায়া সুলতান আল-সালেম কুয়েতের শুওয়াইখে শাসক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলায় ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত মুতাওয়িয়া সালেমা ও মুতাওয়িয়া মরিয়ম আল আসকারের ব্যক্তিগত কোরানিক বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পনের বছর বয়সে যখন তার বিয়ে হয়, তখন তার শিক্ষা অর্জন বন্ধ হয়ে যায়। তিনি স্বামীর মৃত্যুর পরে বিধবা হন এবং সেই সময় চার ছেলে ও এক মেয়ের মা ছিলেন। [১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

হিদায়া সুলতান আল-সালেম ৪০ বছর ধরে একজন সাংবাদিক ও লেখক, সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। যাইহোক, তিনি একজন শিক্ষিকা হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তিনি কুয়েতের ষষ্ঠতম নারী হিসাবে শিক্ষিকা হয়ে ছিলেন। যখন তিনি একজন শিক্ষিকা ছিলেন, তখন তিনি লেবানন ও মিশরীয় সংবাদপত্রের জন্য নিবন্ধ লিখতে শুরু করেছিলেন। [৬]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

কুয়েত শহরে কুয়েত মহিলা সমিতি কর্তৃক আয়োজিত মহিলা ও সংস্কৃতি সম্মেলনে যাওয়ার সময় তাকে কুয়েত শহরেই গুলি করে হত্যা করা হয়। কুয়েত শহরকে "আরব সংস্কৃতির রাজধানী" হিসেবে ঘোষণা করার জন্য এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। পথে, আল-সালেমকে একটি ট্রাফিক স্টপে থামানো হয়, সেই সময়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেদ দিয়াব আল-আজমি তার চার চাকার গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন এবং রোলস রয়েস সরকার কর্তৃক জারি করা বন্দুক দিয়ে আল-সালেমের মাথায় ছয়টি গুলি ছোড়েন।[১][৫][৭][৮][৯] লেফটেন্যান্ট কর্নেল একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং গুলি ছোড়ার সময় তিনি একটি দীর্ঘ ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেছিলেন।[৫]

প্রভাব[সম্পাদনা]

হিদায়া সুলতান আল-সালেম কুয়েতে নিহত প্রথম সাংবাদিক ছিলেন, তিনি ২০০১ সালে চাকরি চলাকালীন নিহত ৫১ জন সাংবাদিকদের মধ্যে একজন। [১০] গণমাধ্যমের পেশাদারদের উপর হামলা ও হত্যার হার ২০০১ সালের মধ্যে বৃদ্ধি পায়। [১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Obituary: Hidaya Sultan Al-Salem"The Guardian (UK) 
  2. "Magazine owner assassinated"। Irish Times। মার্চ ২১, ২০০১। 
  3. "Arab secularism and its discontents"Foreign Policy 
  4. "Arrest in slaying of Kuwaiti journalist"Beaver County News। মার্চ ২১, ২০০১। পৃষ্ঠা D3। 
  5. "Hidaya Sultan al-Salem"। Committee to Protect Journalists। মার্চ ২০, ২০০১। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৬, ২০১৫ 
  6. Mubarak, Khalid al (২ এপ্রিল ২০০১)। "Obituary: Hidaya Sultan Al-Salem"The Guardian 
  7. "Prominent Female Journalist Assassinated in Kuwait"Al Bawaba 
  8. "Four arrested over Kuwaiti killing"BBC News। মার্চ ২২, ২০০১। 
  9. "CPJ alarmed by editor's murder"। International Freedom of Expression Exchange। মার্চ ২২, ২০০১। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৬, ২০১৫ 
  10. "Journalists Alarmed as Assassinations Accelerate Into 2001"। International Federation of Journalists। এপ্রিল ৫, ২০০১। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৬, ২০১৫