দীপচন্দী তাল
দীপচন্দী উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত ঘরানার একটি বিষমপদী [১] তালবিশেষ। ১৪ মাত্রার এই তালের দুটি ধারা বর্তমানে দেখা যায়। এদের একটি চলচ্চিত্র সঙ্গীত ও লঘু সঙ্গীতে এবং অপরটি লঘুধ্রুপদী ঠুমরি ধাঁচের সঙ্গীতে ব্যবহার করা হয়। ঠুমরিতে দীপচন্দীর যে ধাঁচটি ব্যবহার করা হয় তাকে সচরাচর দীপচন্দীর দাপ্তরিক রূপ ধরা হয়। এছাড়াও লোকসঙ্গীত, কাওয়ালি ও গজলেও দীপচন্দীর প্রয়োগ করা হয়। দীপচন্দীকে চঞ্চল, চঞ্চর এবং চচর তালও বলা হয়।[২]
বিশ্লেষণ
[সম্পাদনা]বোল/ঠেকা:
- ধা ধিন - - ধা গে তিন - - তা তিন - - ধা গে ধিন
এই তালের ৩য়, ৭ম, ১০ম ও ১৪শ মাত্রার স্থানে ফাঁকা রয়েছে।
মাত্রা: ১৪, বিভাগ : ৪, তালি: ১ম, ৪র্থ ও ১১শ পদ, খালি: ৮, ছন্দবিভাজন: ৩।৪।৩।৪।
প্রকরণ
[সম্পাদনা]প্রথম প্রকরণ:
- ধা - তে ট - ধা ধা |
- তা তে ট তা তা
৫ম, ৭ম, ১২শ ও ১৪শ মাত্রার স্থানে ফাঁকা বিদ্যমান।
দ্বিতীয় প্রকরণ:
- ধা তে ট ধা না ধে ট |
- তা তে ট তা - তা -
তৃতীয় প্রকরণ:
- ধা তে ট ধা না ধে ট |
- তা তে ট তানা তেট তানা তেট
লাগি এবং তিহাই
[সম্পাদনা]লাগি ১: এই লাগিটি অপেক্ষাকৃত সহজ।
- ধা তেরে কেটে ধা ধা তেরে কেটে | (১০মাত্রার)
- তা তেরে কেটে ধা ধা তেরে কেটে
লাগি২: এই লাগিটি অপেক্ষাকৃত জটিল।
- ধাতি ধাগে তুন্না কিন্না |
- ধাতি ধাগে ধুন্না গিন্না
জনপ্রিয় সঙ্গীত
[সম্পাদনা]নিম্নোক্ত বলিউড চলচ্চিত্র সঙ্গীতে দীপচন্দী তালের প্রয়োগ করা হয়েছে: [৩][৪]
- আজি দিল পে কোই জোর চলতা নেহি – (মিলন - ১৯৬৭)
- নীলা আসমা সো গয়া – (সিলসিলা - ১৯৮১)
- আজি রুঠ কর আব কাহা জায়েগা – (আরজু - ১৯৬৫)
- মেরে আয়ে দিল বাতা – (ঝনক ঝনক পায়েল বাজে - ১৯৫৫)
- আব কে বারাস ভেজো – (বন্দিনী - ১৯৬৩
- চালা দিয়া দেকে গম – (সন অব ইন্ডিয়া - ১৯৬২)
- চন্দন কা পলনা রেশম কি ডোরি – (শবাব - ১৯৫৪)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "তাল"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-৩০।
- ↑ "DIPCHANDI TAL (DEEPCHANDI, CHANCHAR, CHOCHAR)"। chandrakantha.com। ২০২১-০৮-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-৩০।
- ↑ "BOLLYWOOD FILM SONGS IN DIPCHANDI "A - L""। chandrakantha.com। ২০২১-০৮-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-৩০।
- ↑ "BOLLYWOOD FILM SONGS IN DIPCHANDI M - Z"। chandrakantha.com। ২০২১-০৮-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-৩০।