অন্নপূর্ণা গোস্বামী
অন্নপূর্ণা গোস্বামী | |
---|---|
জন্ম | কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ) | ৮ মার্চ ১৯১৬
মৃত্যু | ১৯৫৭ কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ |
ছদ্মনাম | অনামিকা |
পেশা | সাহিত্যিক |
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশন |
উল্লেখযোগ্য রচনা | "নয়া ইতিহাস" "রেল লাইনের ধারে" |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | লীলা পুরস্কার (১৯৫২) |
দাম্পত্যসঙ্গী | অবনীমোহন গোস্বামী |
অন্নপূর্ণা গোস্বামী (ইংরেজি: Annapurna Goswami) ( ৮ মার্চ, ১৯১৬ - ১৯৫৭ ) ছিলেন বিংশ শতকের প্রথমার্ধের প্রগতিশীল এবং সামাজিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উপন্যাসিক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লীলা পুরস্কারে সম্মানিত বাঙালি সাহিত্যিক। পেশাদার না হলেও প্রথম বাঙালি মহিলা ফটোগ্রাফারদের অন্যতম ছিলেন তিনি। [১][২]
সংক্ষিপ্ত জীবনী
[সম্পাদনা]অন্নপূর্ণা গোস্বামীর জন্ম বৃটিশ ভারতের কলকাতায় ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের ৮ ই মার্চ। পিতা নীতীশচন্দ্র লাহিড়ী ছিলেন আইন ব্যবসায়ী এবং কলাম্বিয়া পিকচার্সের জেনারেল ম্যানেজার। পড়াশোনা প্রথমে কলকাতার সেন্ট জন'স ডায়সেশন গার্লস স্কুল ও ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনে। কলেজের পাঠ শেষে বিবাহ করেন চিকিৎসক অবনীমোহন গোস্বামীকে। তিনি পূর্ব রেলের সহকারী শল্যচিকিৎসক ছিলেন। অন্নপূর্ণা গোস্বামী প্রথমে "অনামিকা" ছদ্মনামে লেখা শুরু করেন। [৩] তৎকালীন প্রগতিশীল সমাজে সাধারণ মানুষের পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিশেষভাবে স্থান করে নিয়েছে তার রচিত উপন্যাস ও ছোটোগল্পে। মানুষের সাহিত্য বা গণ-সাহিত্য হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার রচনার জন্য 'সাহিত্যকুশলা', 'ভারতী', 'সাহিত্য সরস্বতী' উপাধিপ্রাপ্ত হয়েছেন। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের "লীলা পুরস্কার" লাভ করেন। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে তার "নয়া ইতিহাস" গ্রন্থটি ভারত সরকার কর্তৃক গণ-সাহিত্য হিসাবে নির্বাচিত হয়। অন্নপূর্ণা গোস্বামীর রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্যগ্রন্থ গুলি হল -
- রেললাইনের ধারে
- ভ্রষ্টা (১৯৪৫)
- বাঁধনহারা (১৯৪৬)
- মৃগতৃষ্ণিকা (১৯৫৩)
- সাঙ্গোপনে
- এবার অবগুণ্ঠন খোল
- তপস্বিনী
- স্বাগতম
- এক ফালি বারান্দা
- তুমি শুধু ছবি প্রভৃতি।
অন্নপূর্ণা গোস্বামী ভালো ফটোগ্রাফারও ছিলেন। তিনি অবসর সময়ে ফটোগ্রাফিতেই সময় কাটাতেন। পেশাদার ফটোগ্রাফার না হলেও, তার ছবিতে ফুটে উঠেছে কলকাতার আসল ছবি। পারিবারিক ছবি ছাড়াও 'শহুরে দরিদ্র' ও দেশভাগের পর 'কলকাতায় আসা শরণার্থী' এবং রেললাইনের ধারের কুঁড়ে ঘরে থাকা মানুষেরা, বস্তিবাসীরাই ছিল তার ফটোগ্রাফির বিষয়াদি। যথেষ্ট অর্থবহ ছিল সে ছবিগুলি। সূর্যোদয়, সূর্যাস্তসহ নৈসর্গিক চিত্র, বাঁশের কুটিরে বিশাল আয়নায় শরণার্থীর চুল আঁচড়ানো, দুর্ভিক্ষের সময় পড়ে থাকা বস্তাবন্দি খাদ্যশস্য নিপুণতায় ক্যামেরাবন্দী হয়েছে।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ২৬,২৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ "ব্রিটিশ আমলেও চুটিয়ে ফটোগ্রাফি করতেন বাঙালি মহিলারা"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-০৮।
- ↑ শিশিরকুমার দাশ সংকলিত ও সম্পাদিত, সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৯, পৃষ্ঠা ৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-০০৭-৯ {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: চেকসাম
- ↑ n-photographers-of-bengal?rgn=main;view=fulltext ""জেনানা স্টুডিও""
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-০৮।