ভানুমতী ও রামকৃষ্ণ
ভানুমতী ও রামকৃষ্ণ | |
---|---|
পরিচালক | শ্রীকান্ত নাগোথি |
প্রযোজক | যশকান্ত মুলুকুতলা |
রচয়িতা | শ্রীকান্ত নাগোথি |
শ্রেষ্ঠাংশে | নবীন চন্দ্র সালোনি লুথরা |
সুরকার | শ্রাবণ ভরদ্বাজ |
চিত্রগ্রাহক | সাই প্রকাশ উমাদিংশু |
সম্পাদক | রবিকান্ত পেরেপু |
প্রযোজনা কোম্পানি | নর্থ স্টার এন্টারটেইনমেন্ট |
পরিবেশক | আহা (স্ট্রিমিং সার্ভিস) |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ৯৩ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | তেলুগু |
ভানুমতী ও রামকৃষ্ণ ২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তেলুগু ভাষায় নির্মিত একটি প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র। শ্রীকান্ত নাগোথি এর পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। ছবির শ্রেষ্ঠাংশে রয়েছেন নবীন চন্দ্র ও সালোনি লুথরা। ত্রিশ বছর বয়সী এক দম্পতির সম্পর্কের আখ্যানই এ ছবির মূল বিষয়বস্তু। "আহা"-তে ২০২০ সালের ৩ জুলাই ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়।[১]
কাহিনী
[সম্পাদনা]৩০ বছর বয়সী চাকরিজীবী নারী ভানুমতী ভানুর সাথে রামের প্রেমলীলার অবসান ঘটে, কারণ রাম আরো কমবয়সী মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। ভানু এতে কষ্ট পেলেও সে এই কষ্ট মেনে নিয়ে জীবনে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অপরদিকে, তেনালি হতে আগত মুক্তমনা ও তেত্রিশ বছর বয়সী অবিবাহিত যুবক রামকৃষ্ণ হায়দ্রাবাদে একটি ভালো কোম্পানিতে চাকরির প্রস্তাব পায়। একই কোম্পানিতে ভানুমতী চাকরি করে। রামকৃষ্ণ প্রস্তাবটি গ্রহণ করে এবং বান্টির অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করা শুরু করে। কঠোর পরিশ্রমী হলেও রামকৃষ্ণ ইংরেজিতে সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে না। তাই ভানু তাকে ঘৃণা করে ছাপোষা মানুষ হিসেবে আখ্যা দেয়।
সংক্রান্তি উপলক্ষে ভানু ও রামকৃষ্ণ চার দিনের ছুটি পায়। রামকৃষ্ণ ভানুকে তার বাবা-মার সাথে দেখা করতে বিজয়ওয়াড়া যাওয়ার পরামর্শ দেয়। শুরুতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও তার সহকক্ষনিবাসীরা ছুটিতে গোয়া চলে গেলে সে বিজয়ওয়াড়া যেতে রাজি হয়। রামকৃষ্ণ ভানুকে বলে, তার পরিবার তার জন্য পাত্রী খুঁজছে। অপরদিকে, ভানুমতীর বাবা-মাও ভানুকে বিয়ে করার জন্য জোর করছেন। হায়দ্রাবাদ ফিরে এসে রামকৃষ্ণ ভানুকে বলে, তার বয়স জানার পর পাত্রীপক্ষ বিয়ে ভেঙে দিয়ে চলে গেছে। ভানু রামকৃষ্ণের কষ্ট বুঝতে পারে এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ গাঢ় হয়।
রামকৃষ্ণের বোন তার প্রেমিকের সাথে বহু আগেই পালিয়ে বিয়ে করেছে। বোন তার ভাইকে প্রায়ই চিঠি পাঠায়। কিন্তু সেই চিঠি রামকৃষ্ণের পড়ে দেখার বিন্দুমাত্র কোনো আগ্রহ নেই। ভানুমতী বিষয়টি লক্ষ্য করে এবং রামকৃষ্ণের অজান্তেই তাকে তার বোনের বাড়িতে নিয়ে যায়। বোন আর বোনের ছেলেকে দেখে রামকৃষ্ণের আবেগ কোনো বাঁধ মানে না। এর পর ভানু আর রামকৃষ্ণের মধ্যে প্রেমলীলা শুরু হয়। তবে রামকৃষ্ণ হুট করে সিদ্ধান্ত নেয়, সে ভানু সেজে রামের কাছে ইমেইল পাঠাবে এবং তাদের টুটে যাওয়া সম্পর্ক পুনরায় জোড়া লাগানোর চেষ্টা করবে। ইমেইল দেখে রামের বাগদত্তা নিম্মি ক্ষিপ্ত স্বরে ভানুকে ফোন করে। ভানু রামকৃষ্ণকে ভর্ৎসনা করে তার ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করতে বারণ করে দেয়। রামকৃষ্ণ কষ্ট পেয়ে তেনালি চলে যায়।
একসময় ভানুরও রামকৃষ্ণের জন্য দুঃখ হয়। সে রামকৃষ্ণের সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে ভানু রামকৃষ্ণের প্রতি তার হৃদয়ের ভালোবাসা প্রকাশ করে। তারপর তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সমাপ্তি ঘটে এবং প্রেমের আবেশে আবিষ্ট হয়ে তারা পরস্পরকে চুম্বন করে।
চরিত্রায়ণে
[সম্পাদনা]- নবীন চন্দ্র (রামকৃষ্ণ)
- সালোনি লুথরা (ভানুমতী ভানু)
- ভিভা হর্ষ (বান্টি)
- রাজা চেম্বলু (রাম)
- শৈলিনী বদনীকান্ত(নিমিশা নিম্মি বোপানা)
- রবিকান্ত পেরেপু(ভানুর "ডেট")
- দিব্যানী শর্মা (ইশা)
- অজয়(মনীষ)
- কালাপালথা(রামকৃষ্ণের মা)
- রাগিনী (রামকৃষ্ণের চাচি)
- আপ্পাজি আম্বারিশা দরভা (ভানুর বাবা)
- জয়া নাইডু (ভানুর মা)
মুক্তি
[সম্পাদনা]শুরুতে চলচ্চিত্রটির নাম ছিল ভানুমতী রামকৃষ্ণ। কিন্তু মাদ্রাজ হাইকোর্টের এক নির্দেশনা অনুসারে এর নাম হয় "ভানুমতী ও রামকৃষ্ণ।" এছাড়াও একটি সতর্কবাণী যোগ করে দেওয়া হয়- অভিনেত্রী পি.ভানুমতী বা ভানুমতী রামকৃষ্ণের সাথে ছবির কোন সম্পর্ক নেই। [২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Pecheti, Prakash। "Romantic drama Bhanumathi Ramakrishna to release on July 3"। Telangana Today।
- ↑ Correspondent, Legal (3 জুলাই, 2020)। "HC orders for adding ampersand between film title Bhanumathi Ramakrishna" – www.thehindu.com-এর মাধ্যমে। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)