মুহাম্মাদ ইকবাল হোছাইন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মুহাম্মাদ ইকবাল হোছাইন বাংলাদেশী একজন লেখক[১][২] কলামিস্ট, তুলনামূলক ধর্ম বিশ্লেষক ও পুস্তক প্রণেতা ও আন্ত-ধর্ম সম্পর্কীয় বক্তা।[৩][৪][৫][৬][৭] যিনি গণমাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ও ইসলামী দর্শন নিয়ে লেখালিখি করে থাকেন।[৮][৯][১০][১১] যিনি উপমহাদেশে ইসলামের প্রসার ও ইতিহাস সংক্রান্ত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় শান্তি, নিরাপত্তা ও ইসলাম [১২] বই লিখে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।[১৩][১৪]

পরিচতি ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

মুহাম্মাদ ইকবাল হোছাইন ১৯৭৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মনোহরদি উপজেলার ধারাবান্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মহিউদ্দিন আহমেদ। ইকবাল হোছাইন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ থেকে ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ও পিএইচডি সম্পন্ন করেন।[১৫] এরপর ২০০৭ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যলয় থেকে ধর্মতত্ত্বের উপর উচ্চতর ডিগ্রী ও পূর্ব লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিজিসি সম্পন্ন করেন।[১৫]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

২০০৭ সালে তিনি রয়েল কলেজ অব লন্ডনে খন্ডকালীন শিক্ষকতা করেন। ২০১৩ থেকে ব্যাংককের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পিচ স্টাডিজের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৩ সালে তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ এর শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১৫] তিনি বাংলা একাডেমির একজন সদস্য।

বইসমূহ[সম্পাদনা]

মুহাম্মাদ ইকবাল হোছাইন বহু বই লিখেছেন, তারমধ্যে জনপ্রিয় কিছু বইয়ের তালিকা

  • দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় শান্তি, নিরাপত্তা ও ইসলাম [আইএসবিএন নাম্বারঃ ৯৭৮-৯৮৪-৩৪-২৯৯০-২][১৬][১৭][১২]
  • সাংবাকিকতায় বঙ্গীয় উলামা মাশায়েখ [আইএসবিএন নাম্বারঃ ৯৭৮-৯৮৪-০৬-১৫৯৯-৮][১৮][১৯]
  • ধর্মতত্ত্ব [আইএসবিএন নাম্বারঃ ৯৭৮-৯৮৪-৩৪-৮০৫৭-৬]
  • খাজা আব্দুল মজিদ শাহ রচনাবলী [আইএসবিএন নাম্বারঃ ৯৭৮-৯৮৪-০৬-০৪৮৪-৮]
  • খাজা আব্দুল মজিদ শাহ জীবন ও কর্ম [আইএসবিএন নাম্বারঃ ৯৭৮-৯৮৪-০৬-০৫৯৯-২]

গবেষণাপত্র[সম্পাদনা]

  • ইন্টারফেইথ ইন ইসলাম এন্ড মুসলিম ওয়ার্ল্ড (ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বে আন্তঃ বিশ্বাস) - [প্রকাশক- ইন্টারফেইথ সেন্টার ইউএসএ]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Dr Iqbal's research work recognised"bangladeshpost.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৪ 
  2. "শিক্ষা ও সামাজিক সম্পৃক্ততা :আমরা কোথায়?" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "ইসলামে সংখ্যালঘুদের অধিকার | ধর্মচিন্তা"archive1.ittefaq.com.bd। ২০২০-১০-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৪ 
  4. "লন্ডন হামলা কি নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে?- ইকবাল হোছাইন"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "সমসাময়িক পর্ব-২৭ বিষয় : ধর্মীয় সম্প্রীতি: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ অতিথি : ড. মো: ইকবাল হোসাইন" 
  6. "Inter-Faith Dialogue: Endorsement for Social Peace"ডেইলি সান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. "ইসলামের দুর্দিনে অমুসলিমরা ইসলামের পক্ষেও কাজ করেছে: ড. মুহাম্মদ ইকবাল হোছাইন"www.dailyvorerpata.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৪ 
  8. "ওয়াশিংটন ইসলামি সেন্টার | ধর্মচিন্তা | The Daily Ittefaq"archive1.ittefaq.com.bd। ২০২০-১০-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৪ 
  9. "যুক্তরাষ্ট্র তাবলিগ জামাতের দাওয়াতী কার্যক্রম | ধর্ম চিন্তা"ittefaq। ২০২০-১০-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৪ 
  10. "Co-existence in Islam"ডেইলি সান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৪ 
  11. "Tolerance and peace"ডেইলি সান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  12. "ইসলামি ব ই প রি চি তি | ধর্মচিন্তা"archive1.ittefaq.com.bd। ২০২০-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৬ 
  13. "Dr Iqbal's research work recognised"bangladeshpost.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৪ 
  14. "Inter-Faith Dialogue: Endorsement for Social Peace | ডেইলি সান"daily-sun। ২০২০-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৪ 
  15. হোছাইন, প্রফেসর ড মো ইকবাল (২০১৯-০৯-২৫)। "মানবিক দাঈর সন্ধানে"ইসলাম প্রতিদিন। ২০২০-১০-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৪ 
  16. "ইসলাম প্রতিদিন বুকস। বই পরিচিতি— ৪৪ : দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় শান্তি, নিরাপত্তা ও ইসলাম" 
  17. "দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় শান্তি, নিরাপত্তা ও ইসলাম - ড. মুহাম্মদ ইকবাল হোছাইন"www.rokomari.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৪ 
  18. "ইসলাম প্রতিদিন বুকস। বই পরিচিতি— ২১ : সাংবাদিকতায় বঙ্গীয় উলামা-মাশায়েখ" 
  19. "বইমেলায় ধর্মীয় বই | ধর্মচিন্তা"archive1.ittefaq.com.bd। ২০২০-১০-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৬