ভেরোনিকা ডিসাইড্‌স টু ডাই (চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভেরোনিকা ডিসাইডস টু ডাই
পরিচালকএমিলি ইয়াং
প্রযোজক
চিত্রনাট্যকার
উৎসপাওলো কোয়েলহো কর্তৃক 
ভেরোনিকা ডেসিজ মহের
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারমুরায় গোল্ড[১]
চিত্রগ্রাহকসিমাস টিয়ার্নি
সম্পাদকÚna Ní Dhonghaíle
পরিবেশকএন্টারটেইনমেন্ট ওয়ান ফিল্মস
মুক্তি
  • ২১ আগস্ট ২০০৯ (2009-08-21) (ব্রাজিল)
  • ২০ জানুয়ারি ২০১৫ (2015-01-20) (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
স্থিতিকাল১০৩ মিনিট
দেশমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি
আয়মার্কিন $১.৭ মিলিয়ন[২]

ভেরোনিকা ডিসাইডস টু ডাই ২০০৯ সালের মার্কিন মনস্তাত্ত্বিক নাট্য চলচ্চিত্র। পাওলো কোয়েলহো কর্তৃক রচিত ১৯৯৮ সালের ভেরোনিকা ডেসিজ মহের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন এমিলি ইয়ং এবং প্রযোজনা করেছেন রবার্টা হ্যানলিল্যারি গ্রস। এতে অভিনয় করেছেন সারা মিশেল গেলার,[৩] জনাথন টাকার,[৪] মেলিসা লিও, ডেভিড থেওলিস এবং এরিকা ক্রিস্টেনসেন[৫] মূল উপন্যাসটিতে স্লোভেনিয়ার লিউব্লিয়ানার কথা বলা হলেও চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে নিউ ইয়র্ক শহরে

পটভূমি[সম্পাদনা]

আপাতদৃষ্টিতে সফল জীবন যাপন করা সত্ত্বেও ভেরোনিকা ছিল হতাশাগ্রস্ত এবং সে তার জীবনের অর্থ খুঁজে পেত না। তাই সে আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত ঔষধসেবন করে। এজন্য সে 'আসল'কে স্বীকৃতি দিতে পৃথিবীর ব্যর্থতাকে দায়ী করে। বিশেষ একটি ব্যয়বহুল মানসিক আশ্রয়ের মাধ্যমে সে জেগে ওঠে এবং জানতে পারে যে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যানিউরিজমের কারণে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সে মারা যাবে।

প্রথমদিকে ভেরোনিকা এ প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করতে চায়। তার দত্তক পিতামাতা তাকে দেখতে আসলেও তাদের দেখে ভেরোনিকার ভিতর বেঁচে থাকার ইচ্ছা জন্মায়নি। তার বাবা-মা তাকে ভালবাসে এবং তার জন্য তারা তাদের সম্পদ ব্যয় করতেও প্রস্তুত (তার আসন্ন মৃত্যুর বিষয়টি তারা জানত না); তবে প্রকৃতপক্ষে তারা তাকে বুঝতে পারে না। তারা তাকে জুইলিয়ার্ডে মিউজিক শিক্ষার জন্য পূর্ণ বৃত্তি গ্রহণ করতে নিরুৎসাহীত করে। কারণ, তারা চেয়েছে যে ভেরোনিকা এমন একটি ডিগ্রী গ্রহণ করুক যার মাধ্যমে সে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। কিন্তু এর ফলে যে সে হতাশ হয়ে গিয়েছিল, তা তারা বুঝতে পারে নি।

নিজেকে নিয়ে এবং নিজের বৈষয়িক জীবন নিয়ে হতাশা থাকা সত্ত্বেও ভেরোনিকা আশ্রমের পিয়ানো বাজানোর মাধ্যমে এবং সিজোফ্রিনিয়ায় আক্রান্ত এডওয়ার্ডের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে জীবনের নতুন উদ্দেশ্য আবিষ্কার করে। সে শুধু তার নিজের বেঁচে থাকার ইচ্ছাকেই পুনরুদ্ধার করে না, বরং এডওয়ার্ডকেও তার বিপর্যয়কর পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে সহায়তা করে। পরবর্তীতে ভেরোনিকার শেষ দিনগুলো দম্পতি হিসেবে কাটানোর জন্য তারা দুজন একসাথে "পালিয়ে যায়"। ড. ব্লেক জানালা দিয়ে তাদেরকে পালিয়ে যেতে দেখলেও ফিরিয়ে আনার জন্য কাউকে পাঠাননি।

ভেরোনিকা জানত না যে তার আসলে অ্যানিউরিজম হয়নি। এটি তার সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. ব্লেকের আবিষ্কার, যিনি পরীক্ষা করে দেখতে চেয়েছেন যে, 'বেঁচে থাকার জন্য মাত্র কয়েক সপ্তাহ আছে' – এ ধারণা তাকে সুস্থ করে তুলবে এবং আত্মহত্যা করার ইচ্ছা হ্রাস করবে। তিনি একটি চিঠির মাধ্যমে তার এই চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যাখ্যা তার বিচ্ছেদপ্রাপ্ত স্ত্রীকে জানান, যিনি আবার আশ্রমে ডা. ব্লেকের একজন সহকর্মী। তিনি ব্যাখ্যা করেন, যতক্ষণ না সে সত্যটি জানতে পারবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে প্রতিটি দিনকেই নিজের সম্ভাব্য শেষ দিন বলে বিবেচনা করবে। ফলে দিনগুলো তার কাছে মূল্যবান মনে হবে। তিনি আরো লিখেছেন যে, এটি বাস্তবেও সত্য; কারণ মানুষের মৃত্যু কখন আসবে তা কেউ জানে না।

ভেরোনিকা যখন এক সকালে সূর্যোদয়ের সময় বেঞ্চে ঘুমিয়ে যায়, তখন এডওয়ার্ড মনে করে যে, সে মারা গিয়েছে। কিন্তু যখন ভেরোনিকা জেগে ওঠে, তখন তার দুঃখ আনন্দে পরিণত হয়। তারা বুঝতে পারে যে তারা হয়তো আরও একটি দিন একসাথে বাঁচতে পারবে। এটি উৎযাপন করতে তারা পরস্পরকে আলিঙ্গন করে এবং সকালের আলোয় তারা সৈকতে হাত ধরে ও হাসাহাসি করতে করতে হাঁটতে থাকে।

শ্রেষ্ঠাংশে[সম্পাদনা]

নির্মাণ[সম্পাদনা]

২০০৮ সালের ১২ মে নিউ ইয়র্ক শহরে চলচ্চিত্রটির দৃশ্যধারণ শুরু হয় এবং ২১ জুন তা শেষ হয়। উপন্যাস থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছিল মিউস প্রোডাকশন্স, দাস ফিল্মস এবং ভেলভেট স্টিমরোলার এন্টারটেনমেন্ট।[৫] বলা হয়ে থাকে, কেট বসওয়ার্থ শুরুতে এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত ছিলেন।[৬]

মুক্তি[সম্পাদনা]

পেশাদারী মূল্যায়ন
পর্যালোচনা স্কোর
উৎসমূল্যায়ন
অলমুভি৫/৫ তারকা[৭]
আইএমডিবি৬.৪/১০ তারকা[৮]
আলোসিনে৩.৩/৫ তারকা[৯]

২০০৯ সালের ৭ আগস্ট ব্রাজিলে চলচ্চিত্রের একটি বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ২১ আগস্ট চলচ্চিত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়। প্রথম সপ্তাহেই এটি ৬১টি প্রেক্ষাগৃহের হিসেবে মোট ৯০,৪৫৫ মার্কিন ডলার উপার্জন করে।[১০] এরপর চলচ্চিত্রটি ২০০৯ সালের ২ অক্টোবর পোল্যান্ডে,[১১] ৩০ অক্টোবর সুইডেনে,[১২] এবং ১৯ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় মুক্তি পায়।[১০][১৩] ২০১০ সালের ১১ মার্চ রাশিয়ায়, ২৩ এপ্রিল লিথুয়ানিয়ায়, ১ জুলাই আর্জেন্টিনায়, ১৮ নভেম্বর অস্ট্রিয়ায়, ১০ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোয় এবং ৩০ সেপ্টেম্বর জার্মানিতে চলচ্চিত্রটি মূক্তি দেওয়া হয়।[২][১৪]

এন্টারটেইনমেন্ট ওয়ান ফিল্মস ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু নির্বাচিত প্রেক্ষাগৃহ ও ভিওডি এবং ১৭ মার্চ ডিভিডি সংস্করণে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়। চলচ্চিত্রের প্রচারের জন্য এর একটি দৃশ্য ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে দ্য হলিউড রিপোর্টারের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হয়েছিল।[১৫] একই বছর চলচ্চিত্রটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি দেওয়া হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Murray Gold Will Score “Veronika Decides to Die” :: Film Music Magazine
  2. "ভেরোনিকা ডিসাইড্‌স টু ডাই"বক্স অফিস মোজো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০ 
  3. "Casting Call for 'Veronika'"। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১১, ২০০৮ 
  4. "Young Hollywood Awards"Interview। মার্চ ৩, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৭, ২০০৮ 
  5. Fleming, Michael (২০০৮-০৫-১৬)। "Das Films teams for adaptation"Variety। সংগ্রহের তারিখ মে ১৭, ২০০৮ 
  6. Siegel, Tatiana (২০০৮-০৩-১৩)। "Variety Gellar in talks for 'Veronika"। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৬, ২০০৮ 
  7. "ভেরোনিকা ডিসাইড্‌স টু ডাই (২০০৯)"অলমুভি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০ 
  8. "ভেরোনিকা ডিসাইড্‌স টু ডাই (২০০৯)" (ইংরেজি ভাষায়)। ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০ 
  9. "Veronika décide de mourir"আলোসিনে (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০ 
  10. "ভেরোনিকা ডিসাইড্‌স টু ডাই (প্রারম্ভিক)"বক্স অফিস মোজো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০ 
  11. "Vision"www.vision.pl। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৮ 
  12. "Filmer & Trailer"www.filmstaden.se (সুইডিশ ভাষায়)। ২০২০-১০-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৮ 
  13. "veronika2009-co-kr"। ২০০৯-১২-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-০৫ 
  14. "ভেরোনিকা ডিসাইড্‌স টু ডাই - মুক্তির তথ্য" (ইংরেজি ভাষায়)। ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০ 
  15. "Sarah Michelle Gellar Rants in 'Veronika Decides to Die' Clip | Hollywood Reporter"দ্য হলিউড রিপোর্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]