মেলানকলিয়া (২০১১-এর চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মেলানকলিয়া একটি লারস ভন ট্রাইয়ার নির্মিত ২০১১ সালের সায়েন্স ফিকশন ড্রামাধর্মী চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছে কিরস্টন ডানস্ট, শার্লট গেইন্সবার্গ এবং কাইফার সাথারল্যান্ড এবং পার্শ চরিত্রগুলোতে আলেকজান্ডার স্কারসগার্ড, ব্র্যাডি কর্বেট, ক্যামেরন স্পার, শার্লোট র‌্যাম্পলিং, জেস্পার ক্রিস্টেনসেন, জন হার্ট, স্টেলান স্কারসগার্ড এবং উদো কিয়ার অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটির কাহিনী দুটি বোনকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন সৌরজগতে প্রবেশকারী একটি নিঃসঙ্গ গ্রহের সাথে পৃথিবীর সংঘর্ষের আগেই বিবাহের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মেলানকলিয়া
থিয়েটারে মুক্তিপ্রাপ্ত পোস্টার
পরিচালকলারস ভন ট্রাইয়ার
প্রযোজক
  • মেটা লুইস ফোল্ডেগার
  • লুইস ভেস্থ
রচয়িতালারস ভন ট্রাইয়ার
প্রযোজনা
কোম্পানি
মুক্তি
  • ২৬ এপ্রিল ২০১৯ (2019-04-26) (যুক্তরাষ্ট্র)
স্থিতিকাল১৩০ মিনিট
দেশডেনমার্ক
ভাষাইংরেজি
নির্মাণব্যয়$৯.৪ মিলিয়ন[১]
আয়$২১.৮ বিলিয়ন

কাহিনী সংক্ষেপ[সম্পাদনা]

প্রথম অংশ (জাস্টিন): বিবাহের দিন নিজ পরিবার এবং সকল অতিথিদের সামনে মনের গহীনে আচ্ছাদিত তীব্র বিষণ্ণতাকে ছাপিয়ে হাসিখুশি থাকার অভিনয় করে জাস্টিন। কিন্তু বিয়ের খরচ বহন করা তার দুলাভাইয়ের চাপ এবং তার পরিকল্পিত অনুষ্ঠানসূচী বজায় রাখতে হিমশিম খেতে থাকে জাস্টিন। তার এই বিষণ্ণতা আর কেউ না বুঝলেও তার বোন ক্লেয়ার বুঝতে পারে এবং তাকে কোনোমতে রাত শেষ করতে সাহায্য করে। এর পর যতো দিন যায় ততোই জাস্টিনের বিষণ্ণতা ও ক্ষিপ্রতা বাড়তে থাকে এবং উদ্ভট সব কর্মকাণ্ড ঘটাতে লাগে। এসব দেখে জাস্টিনের বড় বোন ক্লেয়ার চিন্তিত হয়ে পড়ে।

দ্বিতীয় অংশ (ক্লেয়ার): সৌরজগতে একটা নিঃসঙ্গ গ্রহ (Rouge Planet) প্রবেশ করেছে। পৃথিবীর চেয়ে দশ গুন বড় গ্রহটির নাম মেলানকলি। গ্রহটি সূর্যের খুব কাছ দিয়ে প্রদক্ষিণ করার পর একদম পৃথিবীর পাশ ঘেষে চলে যাবে। কিন্তু কিছু বিজ্ঞানী বলছে যে এটা পৃথিবীর পাশ দিয়ে ফ্লাই বাই করার সময় একে অপরের মহাকর্ষীয় বলে বাঁধা পড়বে এবং পৃথিবী ও মেলানকলি মরণ নিত্যে মেতে উঠবে। অর্থাৎ মেলানকলি কিছুদূর গিয়ে আবার পৃথিবীর দিকে ফিরে এসে পৃথিবীকে আঘাত করবে। যার ফলে ধ্বংস হয়ে যাবে আমাদের চিরচেনা পৃথিবী। পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে প্রাণের স্পন্দন। অপরদিকে প্রকৃত বিজ্ঞানীদের মতে এমনটি ঘটার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবুও অজানা বিপদের আশঙ্কায় বিষণ্ন হয়ে পরে ক্লেয়ার। তার বিজ্ঞানী স্বামী তাকে আশ্বস্ত করে যে এমন কিছু হবে না। কিন্তু তবুও ক্লেয়ার তার ছোট ছেলের কথা ভেবে দিন দিন মনমরা পড়ে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Melancholia"। The Numbers। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০২০