মার্টেলিওয়ের নিয়ম
মরটেলিওর নিয়ম হচ্ছে মধ্যযুগে আবিষ্কার করা দিক নির্ণয়ের একটি গাণিতিক সূত্র। এখানে কম্পাস এবং একটি সাধারণ ত্রিকোণমিতিক সারনি ব্যবহার হয়, যার নাম "তলেত দে মরতেলিও'। এই নিয়ম নাবিকদের বলে দেয় কীভাবে দুটী চলার পথের মাঝখানে কীভাবে বৈপ্যরিত্য তৈরি করতে হয় সাধারণ পাটিগণিত, তলেত এবং ত্রিভুজের সমাধানের মাধ্যমে। যারা সংখ্যার মাধ্যমে সমাধান করতে অক্ষম তারা তন্দ এ কুয়াদ্র (বর্গও বৃত্ত) নামে একটি বিকল্প পধতি ব্যবহার করেন।মরতেলিওর পদ্ধতি মূলত ১৪ ও ১৫ শতকে নাবিকরা ব্যবহার করতেন।
পরিভাষা
[সম্পাদনা]শব্দটি ভেনেশীয় পরিভাষা থেকে এসেছে।ভেনিশীয় নাবিক আন্দ্রে বিয়াঙ্কা এই টেবিলটি আবিষ্কার করেন।এই নামের উতস সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। কেউ কেউ বলেন যে মরতেলিয় শব্দটি এসেছে ভেনেশীয় শব্দ মরতেলি থেকে যার মানে হাতুরি, যার থেকে বোঝা যায় এটি তৎকালীন ভেনিসে যে জাহাজ গুলো চলত সেখানে ব্যবহৃত ছোট হাতুড়ির নাম থেকে এসেছে।[১] অনেকে বলে থাকেন যে জাহাজ চালানোর সময় জাহাজের পাইলটের দিক পরিবর্তনের থেকে বেয়ারিং এর যে পরিবর্তন হয় তার থেকে এর নাম মরতেলিও হয়েছে।[২]
উদ্দেশ্য
[সম্পাদনা]মরটেলিওর নিয়ম মধ্যযুগে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার হয়েছিল বিশেষ করে ভূমধ্যসাগরে।এটি মধ্যযুগে ইউরোপে সেলেস্টিয়াল নেভিগেশন এ ব্যাপক ভাবে ব্যবহার হয়েছিল।[৩]<.মধ্যযুগে জাহাজ চালনা দুটী বিষয়ের উপর নির্ভর করত, এরা হল দুরত্ব এবং দিক।জাহাজের মধ্যে নাবিকের কম্পাসের সাহায্যে দিক নিরনয় করা হত।(যা ১৩০০ সালের দিকে আবিষ্কার হয়)[৪]<. নাবিকের কম্পাসের সাহায্যে দিক নিরণ্যের সমস্যা পরিবর্তন করার জন্য এই নিয়ম আবিষ্কার করা হয়। মধ্যযুগে দেখা যেত যে দ্বীপ সমূহ সামুদ্রিক যাত্রায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করত।বিশেষ করে দিকনিরণয়ে সমস্যা হত যখন সঠিক দিক পাওয়া যেত না। এছাড়া এদিক সেদিক থেকে আসা বাতাস সমস্যা করত।যার জন্য সবসময় বেয়ারিং পরিবর্তন করতে হত। এই সমস্যা থেকে বাচার জন্যই মরটেলিওর নিয়ম আবিষ্কার হয়।
ট্র্যাবগারসের সমস্যা
[সম্পাদনা]দিক নিরনয়ের জন্য রকটি সমস্যা বা সূত্র ব্যবহার করা হয় যা হল ট্র্যাবগারসের সমস্যা বা সূত্র।সূত্রটি নিম্ন্রূপঃ-
কিন্তু মধ্যযুগে এত জটিল হিসাব করা সম্ভব ছিল না বলে মরতেলিওর[৫]< সূত্র বা নিয়ম আবিষ্কার হইয়।
নিয়মস্মূহ
[সম্পাদনা]- র্যামন লুলির মিলিয়ারিয়া
- আন্দ্রে বিয়াঙ্কার ততেলো
- রুল অফ থ্রি
- বৃত্ত ও বর্গ
অন্যান্য ব্যবহার
[সম্পাদনা]- ত্রিকোন্মিতিক মান নিরণয়
- অবস্থান খুজে বের করা