ননীগোপাল চক্রবর্তী
ননীগোপাল চক্রবর্তী | |
---|---|
জন্ম | আড়কান্দি গ্রাম, যশোরব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) | ১২ ডিসেম্বর ১৯০৫
মৃত্যু | ১১ আগস্ট ১৯৯০ | (বয়স ৮৪)
পেশা | সাহিত্যিক |
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা | বি.এ |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | কৃষ্ণনগর কলেজ |
ধরন | শিশু সাহিত্য |
উল্লেখযোগ্য রচনা | আমাদের প্রতিবেশী কীটপতঙ্গ |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | ভুবনেশ্বরী পদক |
সন্তান | ড. পার্থসারথি চক্রবর্তী |
ননীগোপাল চক্রবর্তী (ইংরেজি: Nanigopal Chakraborty) (১২ ডিসেম্বর, ১৯০৫ - ১১ আগস্ট ১৯৯০) ছিলেন একজন বাঙালি শিশুসাহিত্যিক। [১]
জন্ম ও শিক্ষা জীবন
[সম্পাদনা]ননীগোপাল চক্রবর্তীর জন্ম অধুনা বাংলাদেশের যশোহর জেলার আড়কান্দি গ্রামে তার মাতুলালয়ে। পৈতৃক নিবাস ছিল যশোহর জেলারই মামুদপুরে। পিতা বঙ্কুবিহারী চক্রবর্তী ও মাতা কাদম্বিনী দেবী। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি যশোহরের নড়াইলের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আই.এ পাশ করে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে কৃষ্ণনগরে চলে আসেন। সেখান থেকে ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে বি.এ পাশ করেন।
সাহিত্যকর্ম
[সম্পাদনা]ননীগোপাল চক্রবর্তী ছোটোদের জনপ্রিয় পত্রিকা 'শিশুসাথী', 'মৌচাক', 'রামধনু' পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। তিনি গল্প, অ্যাডভেঞ্চার, ভ্রমণকাহিনী, বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা-সহ অনুবাদেও পারদর্শী ছিলেন। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তার লেখা শিশুপাঠ্য গ্রন্থ 'শিকারী শশী ও লাঠিয়াল রামরতন' প্রকাশিত হয়। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ গুলি হল-
- ' ' পার্কিং বুড়ো ' '
- ' ' চরকাবুড়ি ' '
- ' ' আকাশগঙ্গা ' '
- ' ' হাবুল চন্দোর ' '
- ' ' আমার বন্ধু ভাস্কর ' '
- ' ' দুচোখ যে দিকে যায় ' '
- ' ' বাদলা দিনের গল্প ' '
- ' ' ফুড়ুৎ গুড়গুড়ি ' '
- ' ' দুর্গমপথের যাত্রী ' '
বিজ্ঞান বিষয়ক ছোটোদের রচনাতেও তিনি কৃতিত্বের উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন। 'আমাদের কীটপতঙ্গ' গ্রন্থের জন্য রাষ্টীয় পুরস্কার লাভ করেছিলেন। শিশুসাহিত্য পরিষদ তাঁকে "ভুবনেশ্বরী পদক" দিয়ে সম্মানিত করে। তার লেখা "বাংলার কুটীর শিল্প" বইটির ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। এছাড়া হাস্যরসের বিখ্যাত সাপ্তাহিক পত্রিকা 'সচিত্র ভারত' -এ তার অনেক হাসির গল্প প্রকাশিত হয়েছে। কৃষ্ণনগর থেকে প্রকাশিত 'হোমশিখা' মাসিক সাহিত্য পত্রিকার তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক। কৃষ্ণনগর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সংবাদ পত্রিকা 'নদীয়ার মানুষ'ও তিনি দীর্ঘদিন সম্পাদনা করেন। কৃষ্ণনগরের সাহিত্য-সংস্কৃতিমূলক প্রতিষ্ঠান 'কৃষ্ণনগর সাহিত্য সংগীতি' ও 'বাণী পরিষদের' সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের ছোটদের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার কৃতি সন্তান অধ্যাপক ড. পার্থসারথি চক্রবর্তীও বাংলা কিশোর সাহিত্যের অতি প্রিয় ও অপরিহার্য একটি নাম। পিতার ন্যায় তিনিও বিজ্ঞানের রহস্যকে ছোটদের কাছে গল্পে মনোগ্রাহী করে তুলেছেন।
জীবনাবসান
[সম্পাদনা]শিশুসাহিত্যিক ননীগোপাল চক্রবর্তী ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ১১ই আগস্ট প্রয়াত হন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ১৮২, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬