প্রমোদ চন্দ্র দত্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

প্রমোদ চন্দ্র দত্ত ছিলেন একজন বাঙালী শিক্ষাসংস্কারক। তিনি আসামের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তার পৈতৃক নিবাস হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী গ্রামে৷

শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]

প্রমোদ চন্দ্র বাংলাদেশের হবিগঞ্জে চুনারুঘাট থানার মিরাশি গ্রামে ১৮৬৯ সালের ৬ অক্টোবর জন্মগ্রহন করেন। তিনি স্থানীয় ইংরেজি স্কুল (বর্তমান পাইলট হাই স্কুল) থেকে ১৮৮৯ সালে এন্ট্রাস পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন এবং আসাম প্রদেশের মধ্যে ১ম স্থান অধিকার করেন৷ কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮৯৪ সালে বিএ এবং ১৮৯৭ সালে বিএল পাশ করে সিলেট বারে যোগদান করেন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

প্রমোদ চন্দ্র দত্ত কেবল এমএলসি ছিলেন না, তিনি ছিলেন হবিগঞ্জ থেকে মন্ত্রীর দায়িত্ব করা প্রথম ব্যক্তি। ১৯১৫ সালে আসামের মন্ত্রী সৈয়দ আব্দুল মজিদ কাপ্তান আকস্মা মৃত্যুবরণ করলে করলে শূন্য পদে প্রমোদ চন্দ্র দত্ত স্থলাভিষিক্ত হোন।

অবদান এবং অর্জন[সম্পাদনা]

বৃটিশ সরকার থেকে তিনি রায়বাহাদুর ও সিআইএ খেতাব লাভ করেন৷[১] শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে তিনি সিলেটের মুকরারি চাঁদ ও বৃন্দাবন সরকারি কলেজের উন্নয়নের ভূমিকা রাখেন৷[২] বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ও মদন মোহন কলেজের তিনি ছিলেন গর্ভনিং বডির প্রথম সভাপতি৷ তৎকালীন আসাম সরকারের এক্সিকিউটিভ সদস্য থাকাকালে প্রমোদ চন্দ্র দত্তের প্রচেষ্টায় সিলেটের সুরমা নদীর উপর ক্বীন ব্রীজ তৈরী করা হয়৷[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সিলেটে রবীন্দ্রনাথ"। prothomalo.com। ১ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৭, ২০২০ 
  2. "এমসি কলেজ: বিস্মৃত কাপ্তান"। prothomalo.com। ৪ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৭, ২০২০ 
  3. "ক্বীনব্রীজ"সিলেট সিটি কর্পোরেশন। সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রশাসন। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০২০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]