ইউনিট ৭৩১

স্থানাঙ্ক: ৪৫°৩৬′ উত্তর ১২৬°৩৮′ পূর্ব / ৪৫.৬° উত্তর ১২৬.৬৩° পূর্ব / 45.6; 126.63
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইউনিট ৭৩১
ইউনিট ৭৩১ ভবন: মূল ঘরটির মধ্যে দুটি গোপন কারাগার আছে।
স্থানপিংফাং, হার্বিন, চীন
স্থানাংক৪৫°৩৬′ উত্তর ১২৬°৩৮′ পূর্ব / ৪৫.৬° উত্তর ১২৬.৬৩° পূর্ব / 45.6; 126.63
তারিখ১৯৩৫-১৯৪৫
হামলার ধরনমানব গবেষণা
জৈবিক যুদ্ধ
রাসায়নিক যুদ্ধ
ব্যবহৃত অস্ত্রজৈবিক অস্ত্র
রাসায়নিক অস্ত্র
বিস্ফোরক
নিহতমধ্যের পরীক্ষার থেকে ৩,০০০-রও অধিক এবং বাইরের পরীক্ষার থেকে দশ হাজারেরও অধিক
হামলাকারী দলSurgeon General Shirō Ishii
Lt. General Masaji Kitano
Epidemic Prevention and Water Purification Department
ইউনিট ৭৩১-র হার্বিন জৈবিক অস্ত্র গবেষণাগারের একটি ঘর।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধের(১৯৩৭-১৯৪৫) সময়পর্বে প্রাণনাশী মানব গবেষণা করা জাপানী সেনার একটি গোপন জৈবিক এবং রাসায়নিক অস্ত্র গবেষণা এবং বিকাশ গোষ্ঠীকে ইউনিট ৭৩১ (জাপানি: 731部隊, হেপবার্ন: Nana-san-ichi Butai) বলা হয়। রাজকীয় জাপানী সেনার করা কিছু কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধের জন্য এটি দায়ী ছিল। এই ইউনিটের স্থান ছিল হার্বিনের পিংফাং জেলা (এখনকার উত্তর-পূর্ব চীনে)।

আনুষ্ঠানিকভাবে একে Epidemic Prevention and Water Purification Department of the Kwantung Army (関東軍防疫給水部本部, Kantōgun Bōeki Kyūsuibu Honbu) (কুবাংটুং সেনার মহামারী প্রতিরোধ এবং জল পরিষ্কারকরণ বিভাগ) নাম দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে জাপানের কেম্‌পিটাই সামরিক আরক্ষীর অধীনে গঠিত এই বিভাগটির দায়িত্ব পড়ে জেনারেল শিরো ইশির হাতে। ১৯৩৪ সাল থেকে ১৯৩৯ সালের মধ্যে এর ভবনটি নির্মাণ করা হয় এবং ১৯৪১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে "ইউনিট ৭৩১" নাম হয়।

অতি কমেও ৩,০০০ পুরুষ, মহিলা এবং শিশুর[১][২] উপরে পিংফাঙের ভবনে ইউনিট ৭৩১ নানা পরীক্ষা চালিয়ে হত্যা করেছিল। এর মধ্যে কেম্‌পিটাই প্রতি বছরে প্রায় ৬০০ জনকে যোগান দিয়েছিল।[৩] ইউনিট ১০০-র মতো অন্য পরীক্ষার স্থানের হিসাব এখানে ধরা হয়নি।[৪]

ইউনিট ৭৩১-র জাপানী অংশগ্রহণকারীদের মতে বেশি সংখ্যক ভুক্তভোগী চীনের, এবং কম সংখ্যক সোভিয়েট, মঙ্গোলীয়, কোরিয়ান এবং অন্য মিত্র পক্ষের যুদ্ধবন্দী ছিল। ১৯৪৫ সালের শেষ পর্যন্ত এই ইউনিট জাপানী সরকারের সাহায্য লাভ করেছিল।

যুদ্ধের শেষে অপরাধের জন্য বিচারের পরিবর্তে মানব পরীক্ষাতে পাওয়া তথ্যের বিনিময়ে ইউনিট ৭৩১-র গবেষকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গোপনে রেহাই দেয়।[৫] সোভিয়েট সেনার ধরা অন্য গবেষকদের ১৯৪৯ সালের খাবারস্ক যুদ্ধ অপরাধ বিচারে শোধবোধ করা হয়। আমেরিকা এমন বিচার করেনি যাতে পরী‌ক্ষায় পাওয়া তথ্য এবং পারদর্শিতা তাঁদের জৈবিক অস্ত্র কার্যসূচিতে খামতি থেকে যায়।[৬] ১৯৪৭ সালের ৬ মে'তে মিত্র শক্তির সর্বোচ্চ কমান্ডার ডগ্‌‌লাস ম্যাক্‌আর্থার ওয়াশিংটনে লেখেন যে "জাপানীদের এই তথ্যগুলি 'যুদ্ধ অপরাধ'-এর প্রমাণ বলে গণ্য না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশির ভাষ্যকে ধরে কিছু অতিরিক্ত তথ্য আহরণ করতে পারা যায়।"[৫] ভুক্তভোগীদের ভাষ্যকে সাম্যবাদী প্রচার বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. David C. Rapoport. "Terrorism and Weapons of the Apocalypse". In James M. Ludes, Henry Sokolski (eds.), Twenty-First Century Weapons Proliferation: Are We Ready? Routledge, 2001. pp. 19, 29
  2. Khabarovsk War Crime Trials. Materials on the Trial of Former Servicemen of the Japanese Army Charged with Manufacturing and Employing Biological Weapons, Moscow: Foreign Languages Publishing House, 1950. p. 117
  3. Yuki Tanaka, Hidden Horrors, Westviewpress, 1996, p.138
  4. "[IAB8] Imperial Japanese Medical Atrocities"osaka-cu.ac.jp 
  5. Hal Gold, Unit 731 Testimony, 2003, p. 109
  6. Harris, S.H. (2002) Factories of Death. Japanese Biological Warfare, 1932—1945, and the American Cover-up, revised edn. Routledge, New York, U.S.
  7. The World: Revisiting World War II Atrocities; Comparing the Unspeakable to the Unthinkable. New York Times