দেলোয়ার জাহান ঝন্টু
দেলোয়ার জাহান ঝন্টু | |
|---|---|
 | |
| জন্ম | ১৯৪৮ |
| অন্যান্য নাম | ঝন্টু |
| মাতৃশিক্ষায়তন | পাক-জার্মান টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট |
| পেশা | পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার |
| কর্মজীবন | ১৯৭৮–বর্তমান |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | নিচে দেখুন |
| শৈলী | লৌকিক, কাল্পনিক, বিজ্ঞাননির্ভর |
| আত্মীয় | সারোয়ার জাহান (ভাই), আনোয়ার জাহান নান্টু (ভাই) |
দেলোয়ার জাহান ঝন্টু হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, গীতিকবি, সুরকার, চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার, চলচ্চিত্র সম্পাদক, চিত্রগ্রাহক, সঙ্গীত পরিচালক এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।[১][২] তিনি লিডার চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ করেন, পাশাপাশি এটি প্রযোজনাও করেছেন তিনি। তার পরিচালিত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র বন্দুক, এবং এটি মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে। মার্চ ২০২১-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], চার দশকেরও বেশি কর্মময় জীবনে তিনি ৭৬টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন, যা বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে কোনো একক পরিচালকের সর্বাধিক চলচ্চিত্র পরিচালনা এবং সাড়ে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লিখেছেন।[১][২][৩] তার সর্বশেষ পরিচালিত চলচ্চিত্র সুজন মাঝি, যা ২০২৩ সালে মুক্তি পায়।
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
দেলোয়ার জাহান ঝন্টু লিডার চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ করেন তিনি, এটি প্রযোজনাও করেন তিনি। তার পরিচালিত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র বন্দুক, যা মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র শিমুল পারুল, প্রেমগীত, হারানো প্রেম, ঝিনুকমালার প্রেম, বউমা, সকাল-সন্ধ্যা, পালকি, জজ ব্যারিস্টার, মুজাহিদ, হাতি আমার সাথী, কন্যাদান, রূপসী নাগিন, নাচে নাগিন, রূপের রানী গানের রাজা, বিষে ভরা নাগিন, হেডমাস্টার, সবাই তো ভালবাসা চায় প্রভৃতি। তার পরিচালিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র সুজন মাঝি, যা ২০২৩ সালে মুক্তি পায়।[৪] তিনি গরিবের রাজা চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
নির্বাচিত চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]
- লিডার (১৯৭৮)
- বন্দুক (১৯৭৯)
- ওমর শরিফ (১৯৮০)
- সেলিম জাভেদ (১৯৮১)
- আল হেলাল (১৯৮২)
- নাগরানী (১৯৮৩)
- মহাল (১৯৮৪)
- ঝিনুকমালার প্রেম
- বউমা
- সকাল-সন্ধ্যা
- মুজাহিদ (১৯৮৫)
- মাটির কোলে (১৯৮৬)
- শশী পুন্নু (১৯৮৭)
- সুখ শান্তি (১৯৮৭)
- হাতি আমার সাথী (১৯৮৭)
- পরিবার (১৯৮৭)
- অমর (১৯৮৮)
- কোহিনুর (১৯৮৮)
- ভাই আমার ভাই (১৯৮৮)
- ঘর বাড়ি (১৯৮৯)
- শিমুল পারুল (১৯৯০)
- পালকি (১৯৯০)
- জাদরেল বউ (১৯৯০)
- দুঃখিনী মা (১৯৯০)
- স্ত্রীর স্বপ্ন (১৯৯১)
- নাচে নাগিন (১৯৯১)
- নিঃশ্বার্থ (১৯৯১)
- ভাবীর সংসার (১৯৯১)
- রূপসী নাগিন (১৯৯২)
- সুখ শান্তি নাগিনীর প্রেম (১৯৯২)
- শান্তি অশান্তি (১৯৯২)
- গরিবের বন্ধু (১৯৯২)
- ভাইয়ের আদর (১৯৯৩)
- রূপের রানী গানের রাজা (১৯৯৩)
- সত্যবাদী (১৯৯৩)
- প্রেমগীত (১৯৯৩)
- নাচ নাগিনা নাচ (১৯৯৩)
- জালিমের দুশমন (১৯৯৩)
- জজ ব্যারিস্টার (১৯৯৪)
- ডাকাত (১৯৯৪)
- দেশী রংবাজ (১৯৯৪)
- চাকরানী (১৯৯৫)
- কন্যাদান (১৯৯৫)
- বুকের ধন (১৯৯৫)
- রাগ অনুরাগ (১৯৯৫)
- হাবিলদার (১৯৯৫)
- বীর বাহাদুর (১৯৯৫)
- হারানো প্রেম (১৯৯৬)
- বাঘা বাঘিনী (১৯৯৬)
- গরিবের সংসার (১৯৯৬)
- ফাঁসির আসামি (১৯৯৬)
- ২০ বছর পর (১৯৯৭)
- ফাইভ রাইফেলস (১৯৯৭)
- নীল সাগরের তীরে (১৯৯৭)
- প্রেম (১৯৯৭)
- জল দস্যু (১৯৯৭)
- রাজা বাংলাদেশী (১৯৯৮)
- গরিবের রাজা রবিন হুড (১৯৯৯)
- বিষে ভরা নাগিন (২০০০)
- দুই নাগিন (২০০১)
- বাপ বেটির যোদ্ধ (২০০১)
- বীর সৈনিক (২০০৩)
- বিজলী তুফান (২০০৪)
- সার্কাস কন্যা (২০০৪)
- নাচ রূপসী (২০০৫)
- বকুল ফুলের মালা (২০০৬)
- সবাই তো ভালোবাসা চায় (২০০৯)
- সাথী হারা নাগিন (২০১১)
- হেডমাস্টার (২০১৪)
- এপার ওপার (২০১৫)
- ৫২ থেকে ৭১ (২০১৬)
- আকাশ মহল (২০১৯)
- তুমি আছো তুমি নেই (২০২১)
- সুজন মাঝি (২০২৩)
- অপারেশন জ্যাকপট
- বউ
- চানাচুরওয়ালা
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "ঝন্টু তাঁহার নাম | কালের কণ্ঠ"। কালের কন্ঠ। ১৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ "চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব দেলোয়ার জাহান ঝন্টু"। মাছরাঙা টিভি। ১৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "ঝন্টুর ৭৫ | কালের কণ্ঠ"। কালের কন্ঠ। ৩০ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ খান, মারুফ (২ আগস্ট ২০১৯)। "মুক্তি পেয়েছে 'আকাশ মহল'"। রাইজিং বিডি.কম। ১৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০২০।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু (ইংরেজি)
- বাংলা মুভি ডেটাবেজে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু