সফ্রোলজী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

শরীর আর মনের নিবিড় সম্পর্কের ধারাবাহিকতাকে কায়োমনোবিজ্ঞান বলা হয়। মানুষের শরীরের সাথে মনের একটি বিশেষ সম্পর্ক আছে। আমরা জানি, মন ভালো থাকলে শরীর ভালো থাকে, শরীর ভালো থাকলে মন ভালো থাকে। পক্ষান্তরে শরীরে কোন সমস্যা দেখা দিলে মনের ওপর চাপ পড়ে আর মনের ওপর চাপ পড়লে সুস্থ শরীরকেও নির্জীব মনে হয়।

নামকরণ[সম্পাদনা]

ইংরেজি সফ্রোলজী  শব্দটা মূলত এসেছে গ্রীক তিনটি শব্দ sôs , phren ও  logo থেকে। sôs এর বাংলা অর্থ "তরঙ্গ", phren মানে "মন" বা "আত্মা" আর logo মানে "বিজ্ঞান"। এই তিনের সমন্বয় করা হলে আভিধানিক ভাবে বলা যেতে পারে "মনোতরঙ্গবিজ্ঞান"। 

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৬০ সালে কলম্বিয়ার আলফনসো কাইছেদো (Alfonso Caycedo) কর্তৃক আবিষ্কৃত "কায়োমনোবিজ্ঞান"  বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞান ও আত্মউন্নয়নে ব্যবহৃত হচ্ছে। 

যদিও ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৮ এর মধ্যে আলফনসো কাইছেদো কৌতূহল মেটাতে এশিয়ায় পদার্পণ করেন। ওই সময় তিনি ভারতের যোগব্যায়াম, তিব্বতি বৌদ্ধধর্ম এবং জাপানি জৈনধর্ম এর প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন। তিনি অনুধাবন করতে সক্ষম হন যে মানুষ স্বেচ্ছায় মানব শরীর ও মনের সাথে সন্ধি ঘটাতে সক্ষম। যার ফলশ্রুতিতে দেহের ও মনের মিলন মেলা ঘটাতে সক্ষম হন এবং এর মধ্য দিয়ে মানুষ তার অস্তিত্ব অনুধাবন ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

১৯৭০ সালে বার্সেলোনায় প্রায় ১৫০০ জন পেশদার নিয়ে সর্বপ্রথম স্মমেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্য দিয়ে সফ্রোলজী আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি লাভ করে।

১৯৮৫ সালে তিনি প্যারিসে আসেন এবং ৪° এর পদ্ধতিটি প্রদর্শন করেন যা ফ্রান্সে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। যদিও সেই সময় থেকে ফ্রান্সে সফ্রোলজী ব্যবহার হয়ে আসছিল কিন্তু এটির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতী ছিলনা কাঠামোগত কারণে। ২০০৪ সালে প্যারিসে Institut de Formation à la Sophrologie নামক এই প্রতিষ্ঠানটি মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় শর্ত পূরণ করে একটি ডিগ্রীর কোর্সে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়। এই প্রতিস্থানের পরিচালিকা Catherine Aliotta। বর্তমানে ফ্রান্সে কায়োমনোবিজ্ঞান বা সফ্রোলজী রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত।  

সফ্রোলজীর মূল তত্বের একাংশ ভারতবর্ষ থেকে পশ্চিমে এলেও সেখানে সফ্রোলজীর চর্চা তেমন পরিলক্ষিত হয়না। Chambre Syndicale de la Sophrologie এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের একমাত্র ও প্রথম বাংলাভাষী সফ্রোলজীস্ট হিসেবে স্বীকৃতী পেয়েছেন জনাব Golam Rabbane.