মারিসল এস্পিনোজা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মারিসল এস্পিনোজা
পেরুর প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট[১]
কাজের মেয়াদ
২৮ জুলাই ২০১১ – ২৮ জুলাই ২০১৬
রাষ্ট্রপতিওলান্টা হুমালা
পূর্বসূরীলুইস গিয়ামপিয়েত্রী
উত্তরসূরীমার্টিন ভিজকারা
পেরু প্রজাতন্ত্রের কংগ্রেস সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২০০৬
সংসদীয় এলাকাপিউরা
সংখ্যাগরিষ্ঠ১৪,১০১ ভোট
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1967-07-30) ৩০ জুলাই ১৯৬৭ (বয়স ৫৬)
পিউরা, পেরু
রাজনৈতিক দলAlliance for Progress (since 2015)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীপিউরা বিশ্ববিদ্যালয়
জীবিকাসাংবাদিক

মারিসল এস্পিনোজা ক্রুজ (জন্ম ৩০ জুৃলাই ১৯৬৭) একজন পেরুভিয়ান রাজনীতিবিদ যিনি হুমালা প্রশাসনের ২০১১-২০১৬ সময়ে পেরুর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে তিনি পিউরা-এ প্রতিনিধিত্বকারী একজন সাংসদ ছিলেন। এস্পিনোজা পেরুর জাতীয়তাবাদী পার্টির অনুসারী।

শিক্ষা ও কর্ম জীবন[সম্পাদনা]

মারিসোল এস্পিনোজা পিউরাতে জন্মগ্রহণ করেন যেখানে তিনি তার নিজ শহরের "সান হোসে দে টারবস" স্কুলে পড়ালেখা করেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তিনি পিউরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষত সাংবাদিকতায় এবং তথ্য বিজ্ঞান ও লিবারেল আর্টসে পড়া-লেখা করেন।১৯৮৮ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি স্থানীয় দৈনিক লা ইন্ডাস্ট্রিয়া এর শিক্ষানবিস সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি আরবিসি চ্যানেল ১১ এর খসড়া ও সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আমেরিকা টেলিভিশন এর জন্য আন্তর্জাতিক সংবাদ সম্পাদনা করেছেন। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে তিনি আমেরিকা টেলিভিশন থেকে পদত্যাগ করেন, ২০০২ সালে পিউরর এল টিম্পো পত্রিকার অর্থনীতি পৃষ্ঠার প্রধান হয়েছিলেন। এস্পিনোজা ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে অংশ নেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি অর্থনীতিতে স্নাতকের ডিগ্রি অর্জনের জন্য তার আলমা ম্যাটারে ফিরে এসেছিলেন।

জানুয়ারি ২০০৫-এ মারিসোল এস্পিনোজা ইউনিয়ন ফর পেরু দলের সাথে যোগ দেন। ২০০৬ সালের সংসদীয় নির্বাচনে তিনি পিউরার প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে কংগ্রেসম্যান নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের জুলাই থেকে তিনি কংগ্রেসে জাতীয়তাবাদী বেঞ্চের স্পিকার ছিলেন। ২০১১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এস্পিনোজা "পেরু উইনস" এর টিকেটে পেরুর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ওলান্টা হুমালার চলমান সঙ্গী ছিলেন। ৫ জুন হুমালা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, এবং এস্পিনোজা প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন ৫১.৫% ভোট নিয়ে, এবং ২৮ জুলাই ২০১১-এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এস্পিনোজা ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয়তাবাদী দল থেকে বেরিয়ে আসেন এবং এক মাস পর সংসদে পেরু উইনস বেঞ্চ ত্যাগ করেন।[২] ২০১৬ সালের কংগ্রেসের নির্বাচনে তিনি এলায়েন্স ফর প্রোগ্রেজ স্লেটের হয়ে স্বাধীন হিসাবে কাজ করেন।[৩]

বিতর্ক[সম্পাদনা]

২০১৮ সালের পেরুভিয়ান অ্যাটর্নি জুয়ান ক্যারাসকো জানান যে সাংসদ জাভিয়ার ভ্যালাসেক্জ কুয়েজকুইন এবং হেক্টর বেছেরিল অপরাধমূলক সংস্থা ওয়াচিটুরোস দে তুমানকে রাজনৈতিক সমর্থন দেয়েছেন বলে সন্দেহ করেন।[৪]

২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে সাপ্তাহিক প্রকাশনা হিল্ডব্রান্ড এন সাস ট্রেসে প্রকাশিত হয়েছিল যে একজন সুরক্ষিত সাক্ষী ঘোষণা করেছিলেন যে এডউইন ওভিয়েডো, লস ওয়াচিটুরোস দে তুমানের অপরাধের সংগঠনের অংশ হিসেবে অভিযুক্ত তিনি জাভিয়ের ভেলাসকিস কুইকুইন এবং মরিসোল এস্পিনোজাকে দুর্নীতির অর্থ প্রদান করেছিলেন।[৫][৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Presidentes y vicepresidentes desde 1980 en Perú, crisis y realidades"। ২৬ জুলাই ২০১৮। 
  2. "Marisol Espinoza renuncia a la bancada de Gana Perú"LaRepublica.pe। ১৯ অক্টোবর ২০১৫। ১১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৯ 
  3. "Vicepresidenta Marisol Espinoza se une a partido de César Acuña"El Comercio। ৬ জানুয়ারি ২০১৬। ২৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৯ 
  4. "Fiscalía: Oviedo y "Los Wachiturros de Tumán" tenían el apoyo político de Becerril y Velásquez Quesquén"। Diario Correo। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  5. "Colaborador eficaz acusa a dos congresistas de recibir dinero del Grupo Oviedo"। Diarion la República। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  6. "Juan Sheput: "Velásquez Quesquén had to withdraw from the Chávarry case" politics"। ৬ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]