ব্যবহারকারী:এন আই শামীম
শোক সংবাদ
১০ মহররম ১৪৪৩ হিজরী
পবিত্র আশুরার দিন ও রোজ শুক্রবার পবিত্র জুম্মার দিন সকাল ০৮টা ৩০ মিনিটে আমার ' মা ' ইন্তেকাল করেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ্ তাআলা আমার মা'কে বেহেশত নসিব করুন, আমিন। আমার মা'য়ের আত্মার শান্তি কামনা করে দোআ করবেন, সকলের কাছে এই অনুরোধ।
ইহকাল ত্যাগের দিনক্ষণঃ ১০ মহররম ১৪৪৩ হিজরী, ২০ শে আগস্ট ২০২১ খ্রীষ্টাব্দ, ০৫ ই ভাদ্র ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, শরৎকাল, পবিত্র আশুরার দিন একই সাথে রোজ শুক্রবার পবিত্র জুম্মার দিন সকাল ০৮ টা ৩০ মিনিটে আমার " মা " শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।الله
'বিসমিল্লা্হীর রাহমানির রাহীম'
আমি " এন আই শামীম " আমার ডাকনাম "শামীম" ও তাছাড়া আমার আরেকটি ডাকনাম আছে 'মনু' । আমার জন্মস্থান ভালুকা পশ্চিম বাজার ক্ষীরু-নদী সংলগ্ন এলাকায়, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। ক্ষীরু-নদীর কোলঘেঁষা ভালুকা পশ্চিম বাজারে আমি শৈশব, কৈশরকাল কাটিয়েছি। আমার শৈশব স্মৃতি-বিজড়িত ক্ষীরু-নদী ও তার তীরবর্তী খেলার মাঠ ও বন্ধুসকল সবই আমার অতি আপন। আমি চিরঋণী ও চিরকৃতজ্ঞ আমার মা-এর কাছে, আমার জীবনের সকল কিছুই উনার অবদান।
আমার আত্ন-সমন্ধিত উক্তি,,
সত্য-প্রিয়, শান্তি-প্রিয়, মঙ্গল-প্রিয় আমি।
আমার কাছে এই-তিন (সত্য,শান্তি,মঙ্গল) অনেক বেশি দামি।
লেখকঃ এন আই শামীম
আমার শখঃ কবিতা লেখা, বাগান করা, বই পড়া, নদীতে নৌকা চালানো।
প্রিয় খেলাঃ দাবা, তাছাড়া ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট, ও ফুটবল।
প্রিয়স্থানঃ ক্ষীরু-নদীর পার।
প্রিয় শব্দঃ " মা "
পৃথিবী সমন্ধ্যে আমার উক্তিঃ
অনিন্দ্য সুন্দর এ-ভুবন, স্রষ্টার অপুর্ব সৃজন।
দেখে তার রূপ, হয় বিমোহিত মন।
এন আই শামীম লেখার তাং- ০৮/০৭/২০১৭ ইং
আমি গর্বিত আমার প্রিয় বাংলাদেশ-কে নিয়ে, লাল সবুজের গৌরবময় ইতিহাস আমার প্রেরণা, আমি ভালবাসি আমার মাতৃভূমি এই চির-সবুজ, সুজলা- সুফলা বাংলা-কে।
আমি বলিঃ আমি ধন্য, বাংলাদেশ তোমার জন্য।
আমার বাড়ি/স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানাঃ
৫ নং ওয়ার্ড, পূর্ব ভালুকা গফরগাঁও রোড, ফায়ার সার্ভিসের পশ্চিমে-কানার বাজার, এর দক্ষিণে অগ্রসর পৌরঃরাস্তা সংলগ্ন, ভালুকা পৌরসভা, উপজেলাঃ- ভালুকা, থানাঃ- ভালুকা, পোস্ট অফিসঃ- ভালুকা-২২৪০, জেলাঃ- ময়মনসিংহ, বিভাগঃ ময়মনসিংহ, রাজধানীঃ ঢাকা, দেশঃ বাংলাদেশ।
★★★ আমার লেখা কবিতা সমূহ ★★★
(১)
ক্ষীরু-নদীর পার
(এন আই শামীম)
গ্রামটি আমার ছবির মত আঁকা,
জন্মভূমির এ-গ্রামটি আমার প্রিয় ভালুকা।
হেথা ক্ষীরু-নদীর পারে,
শৈশব কৈশর কাটাইয়াছি বহু শান্তি ভরে।
নদীর জ্বলে সাঁতার কাটতাম মনের আনন্দে,
আবার এই নদীর পারে, ঘুরে বেড়াতাম সকাল ও সন্ধ্যে।
নদীর ধারের খেলার মাঠে কতই করতাম খেলা,
খেলাধুলা করে মোরা কাটিয়েদিতাম বেলা।
নদীর বুকে তরী বেঁয়ে, পেতাম কতই সুখ,
বর্ষাএলে চওড়া হত, নদীর বিশাল বুক।
বসত ছিল ক্ষীরু নদীর পারে,
নদীর বাতাস লাগত গাঁয়ে, আর লাগত মোদের ঘরে।
এখন আমি বসত করি নদী হতে দূরে,
নদীর প্রতি নিত্যটান এখনও অন্তরে।
আজও আমার পুর্বের মত, নদীর প্রতি প্রীতি,
নদীর পারে গেলে আজও, মনেপরে শৈশবের ঐ স্মৃতি।
( কবিতাটি লিখেছিলাম-: ২৫/০১/২০১৭ ইং বোধ বার সকাল ৯টা হতে ১১:১০ মিনিটের মধ্যে।)
(২)
ঋতুশ্রেষ্ঠ
(এন আই শামীম)
গাছে গাছে ফুটিলরে ফুল,
কৃষ্ণচূড়া, গাঁদা, কনকচাঁপা, পলাশ ও শিমুল,
দক্ষিণা হাওয়ায় মন, গন্ধ্যে আকুল।
কোকিলের কুহু-কুহু ডাক, বলে দিয়ে যায়,
আবার ফাগুন যে এসেছে ধরায়।
ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী আজ,
প্রকৃতি সাঁজিবে নতুন সাঁজ,
বিরহী হৃদয়ে বাঁজে, কান্নার আওয়াজ।
আকাশে রঙিন ঘুড়ি, শিশুরা উড়ায়,
রাখাল মনের সুখে বাঁশুরী বাঁজায়।
আজি এলরে বসন্ত, এলরে ফাগুন,
প্রকৃতির বুকে আজ, রূপেরই আগুন।
শতরূপে প্রকৃতির সাঁজ, তোমারই বৈশিষ্ট্য,
শুভেচ্ছা তোমায়, হে ঋতুশ্রেষ্ঠ।
( পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষ্যে লিখেছিলাম,, লেখার তারিখঃ - ১৩/০২/ ২০১৭ইং সোম বার, পহেলা ফাল্গুন ১৪২৩ বঙ্গাব্দ সকাল ০৭:১০ হতে ০৯:১৫ মিনিটের মধ্যে।)
(৩)
আমার প্রার্থনা
এন আই শামীম
-----------------------------------
হে করুনা সিন্ধু,
তব দয়া কর, মোর প্রতি এক বিন্দু।
তোমার অনুগত, রাখ মোর মন,
দিবানিশি এই আকুল নিবেদন।
আকাশ, বাতাস, ভূলোক সকল,
তোমারই মহিমায়, সবই উজ্জ্বল।
সৃষ্টির স্রষ্টা, তুমি সর্বজ্ঞানী,
তোমারই ইশারায়, চলে এ ধরণী।
পাপ হতে রক্ষা কর, পূণ্য কর দান,
ত্রিভুবনে নেই কেউ, তোমার সমান।
তোমার গুন বর্ণনা অশেষ,
সকলই তোমাতেই শুরু, তোমাতেই শেষ।
মানব জীবন মোরে, করেছ যে দান,
তোমারই প্রতি, রেখ মোর ঈমান।
চলার পথে, হয় যদি পাপ,
করিও ক্ষমা, দিয়ো না অভিশাপ।
(কবিতাটি লিখেছিলাম ১৬/০৩/২০১৭ইং তারিখে)
(৪)
আত্নসত্ত্বা
এন আই শামীম
-----------------------------
আমার মধ্যে বসত করে একজনা,
সে আমার ভিতর বাইন্দাছে ঘর,
সে-ই আপন অন্যসব পর।
সে চলে গেলে শূন্য এ ঘর,
থাকেনা আর দেহের খবর।
আমি তারে খুঁজি, সে দেয়না পাত্তা,
সে আমার সর্বসত্ত্বা,
লোকে তারে কয় যে আত্তা।
(কবিতাটি লিখেছিলাম ০৯/০২/ ২০১৭ ইং তারিখে)
(৫)
প্রকৃতির প্রতি ঋণ
এন আই শামীম
---------------------------
প্রকৃতির কাছে মানবের অফুরান ঋণ,
বাস অযোগ্য-হত, এ পৃথিবী প্রকৃতি বিহীন।
প্রকৃতির আর্শিবাদে মানুষের মঙ্গল,
আবার এই প্রকৃতির অভিশাপে স্থবির সকল।
ফুল, ফসল, বায়ু, পানি প্রকৃতির দান,
প্রয়োজনে পেতে চাইলে প্রকৃতি বাঁচান।
জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত প্রকৃতিতেই বাস,
প্রকৃতির মাঝেই নেই মোরা, বুক ভরা নিঃশ্বাস।
বাড়ির কোনে ও খালি ময়দানে,
চল বৃক্ষ লাগাই অতি সযতনে।
এই ভাবে চল মোরা সুধি কিছু ঋণ,
জীবন অচল প্রকৃতি বিহীন।
(কবিতাটি লিখেছিলাম ২৫/০১/২০১৭ ইং তারিখে)
()()()()()()()()() এন আই শামীম ()()()()()()()()()
(★)(★)(★)(★)(★)(S)(★)(★)(★)(★)(★)