রাগমোচন নিয়ন্ত্রণ
রাগমোচন নিয়ন্ত্রণ[১] হচ্ছে একটি যৌন কৌশল যা একা বা স্ত্রীর সঙ্গে চর্চা করা যায় এবং এই কৌশলটিতে যৌন উত্তেজনার শীর্ষবিন্দু-তে না পৌঁছে কিছু সময়ের জন্য প্রচুর যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে হয়। এভাবে রাগমোচনকে বিলম্বিত করে সঙ্গমের সময় বৃদ্ধি করা যায়।
পুরুষরা যখন এই কৌশলটি চর্চা করে, তখন এই রাগমোচন নিয়ন্ত্রণ করার ফলে তারা সরাসরি যৌন উত্তেজনা উপভোগ করতে পারে; কিন্তু যেহেতু বীর্যপাত হয় না, তাই পুরুষরা কোন বিরতি ছাড়াই যৌন উত্তেজনা উপভোগ করতে পারে। দীর্ঘক্ষণ ধরে রাগমোচন করার ফলে যখন কোন পুরুষ বীর্যপাত করে তখন তার যৌন উত্তেজনা অনেক বেশি হয়ে থাকে এবং তার আনন্দও অনেক বেশি হয়ে থাকে।
যেহেতু রাগমোচন নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি যৌন সংবেদনশীলতা জাগায়, তাই পুরুষ নিজেকে যৌন উত্তেজনার মধ্যে বেশিক্ষণ রাখতে পারে। এর ফলে পুরুষ যৌন সঙ্গমের সময় তার স্ত্রী যতক্ষণ না যৌন-সুখের শীর্ষে পৌঁছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সঙ্গম চালিয়ে যেতে পারে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
সঙ্গীর সাথে সঙ্গমের সময়
[সম্পাদনা]যখন পুরুষ তার সঙ্গী অর্থাৎ স্ত্রীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত থাকবে, তখন পুরুষ সঙ্গমের যেই মুহূর্তে যৌন উত্তেজনার চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে, ঠিক সেই মুহূর্তে পুরুষ তার লিঙ্গ-চালনা বন্ধ করে দিবে বা লিঙ্গটিকে যোনির ভেতর থেকে বের করে আনবে, যাতে করে অধিক উত্তেজনার সৃষ্টি না হয়। অল্প কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই শিশ্ন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে এবং শিশ্নকে আবার দ্রুত উত্তেজিত করা সম্ভব হবে। এভাবে বেশ কয়েকবার শিশ্নকে এরকম উত্তেজিত ও স্তিমিত করতে হবে এবং এক পর্যায়ে দেখা যাবে যে যৌন উত্তেজনা আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ও আনন্দদায়ক হয়ে উঠেছে।
হস্তমৈথুনের সময়
[সম্পাদনা]হস্তমৈথুনের সময় রাগমোচনকে অনেক সহজে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে উঠে, এটা অনেক বিশেষজ্ঞের মতামত। কারণ এতে যৌন-সঙ্গীর সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। হস্তমৈথুনের দ্বারা শিশ্নকে উত্তেজিত করতে করতে বীর্যপাতের পূর্বেই আগমুহুর্তে হস্তমৈথুন বন্ধ করে দিবে। হস্তমৈথুনকারী নিজেই বুঝতে পারবে যে, তার যৌন উত্তেজনা শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছাচ্ছে কিনা অর্থাৎ বীর্যপাতের দিকে গড়াচ্ছে কিনা। এভাবে সপ্তাহে দুই বা তিন দিন করে রাগমোচন নিয়ন্ত্রণ করলে পরবর্তীতে নারী-সঙ্গমের সময় আলাদা করে এটি করার প্রয়োজন পড়বে না; আপনাআপনিই রাগমোচন বিলম্বিত হয়ে দীর্ঘক্ষণ সঙ্গম করা সম্ভব হবে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ বাড়ানো, বিশাল, প্রচণ্ড উত্তেজনা, স্টিভ এবং Vera Bodansky, (2000), পৃ. 91, 92, 94-98, আইএসবিএন ০-৮৯৭৯৩-২৮৯-৭.