আমারাস উপাসনালয়
আমারাস উপাসনাল্য | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | আর্মেনিয়ান এপস্টোলিক চার্চ |
অবস্থান | |
অবস্থান | পাশ্ববর্তী সোস, মারতুনি প্রদেশ, নাগরনো-কারাবাখ প্রজাতন্ত্র (de facto); আজারবাইজান (দে জ্যুর); |
স্থানাঙ্ক | ৩৯°৪১′০২″ উত্তর ৪৭°০৩′২৫″ পূর্ব / ৩৯.৬৮৪° উত্তর ৪৭.০৫৭° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
স্থাপত্য শৈলী | আর্মেনিয়ান |
ভূমি খনন | ৪র্থ-১৯ শতক |
ওয়েবসাইট | |
www.amaras.org |
আমারাস উপাসনালয় (আর্মেনীয়: Ամարաս վանք) আজারবাইজানের খোজাভেন্দ জেলার দে জুর এর নাগরনো-কারাবাখ প্রজাতন্ত্রে অবস্থিত গ্রামের পাশে অবস্থিত একটি বিতর্কিত এলাকায় অবস্থিত একটি আর্মেনিয় উপাসনালয়। এটি মধ্যযুগীয় আর্মেনিয়ার একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। [১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মধ্যযুগীয় উপাখ্যান অনুযায়ী চতুর্থ শতকের প্রথম দিকে ফাস্তুস ব্যুযান্দ, মোভেস কাঘানকাতসভাতসি, সেন্ট গ্রেগরি ইলুমিনেটর আমারস উপাসনালয় তৈরী করেন। [২][৩]
আমারাস সেন্ট গ্রেগরি ইলুমিনেটরের নাতি সেন্ট গ্রিগরিস (মৃত্যুঃ ৩৩৮ খ্রিষ্টাব্দ) এর সমধিস্থল ছিল। উনিশ-বিশ শতকের এপ্স বিশিষ্ট সেন্ট গ্রিগরিস এর সম্মানে তৈরী গীর্জার মাঝে একটি মিনার এখনো টিকে আছে।
৫ম শতকের শুরুর দিক আর্মেনিয়ান বর্ণমালার প্রবর্তক মেসরপ ম্যাশটটস আমারাসে প্রথম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন যেখানে তার লিপি ব্যবহৃত হতো। [৪][৫]
উপাসনালয়টি ত্রয়োদশ শতকে মঙ্গল কর্তৃক লুন্ঠিত হয়, ১৯৩৭ সালে তৈমুর লং এর আক্রমণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং আবারো ষোড়দশ শতকে ধ্বংস হয়। সতের শতকের দ্বিতীয় ভাগে আত্মরক্ষামূলক দেয়াল প্রস্তুতের সময় এর ভিত্তিও পুনঃনির্মাণ করা হয়।
পরবর্তীতে আমারাসকে পরিত্যাগ করা হয়, এবং উনিশ শতকের প্রথম ভাগে উপাসনালয়টি রাশিয়ান রাজসেনার সীমান্ত-দুর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আর্মেনিয়ান এপস্টোলিক চার্চ ১৮৪৮ সালে উপাসনালয়টিকে পুনরুদ্ধার করে। উপাসনালয়টির গীর্জা সৈনিকদের অধিকারকালীন সময় ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একে বিস্তৃত করার জন্য একই স্থানে আরেকটি নতুন গীর্জা তৈরীর দরকার ছিল। এই নতুন গীর্জাটি সেন্ট গ্রেগরিসকে উত্সর্গ করা হয়। এটি ১৮৫৮ সালে নির্মিত হয় এবং শুশা শহরারে আর্মেনিয়ানরা এর জন্য অর্থ প্রদান করে। এটি এখন পর্যন্ত টিকে আছে এবং এটি তিন-চক্রনাভি (গীর্জার মূল অংশ)বিশিষ্ট অট্টালিকা যা শ্বেত পাথর দ্বারা তৈরী।
সোভিয়েত সময়কালে এই উপাসনালয়টিকে পরিত্যাগ করা হয়।
সেন্ট গ্রিগরিস এর সমাধি
[সম্পাদনা]সেন্ট গ্রিগরিস মূলত পূর্বে দেশীয় এককালের সেন্ট গ্রেগরী গীর্জায় সমাধিত হয়। ৪৮৯ সালে ককেশীয় আলবেনিয়ার ধর্মভীরু রাজা তৃতীয় ভাছাঘান আমারাসের গীর্জা পুনঃনির্মাণ করেন এবং একটি সেন্ট গ্রিগরিস এর সম্মানে একটি চ্যাপেল তৈরী করে দেন। পরবর্তী শতকে এই চ্যাপেল-কবরের উপরে একটি গীর্জা নির্মিত হয়।
সেন্ট গ্রিগরিস গীর্জার নিচে পূর্ব দিকের সিঁড়ির জোড়া পৃষ্ঠের শেষে রয়েছে একটি সমাধি কক্ষ। ইর পূর্ব দিকের একটি বাধাযুক্ত পথ বলে দেয় সেখানে আসলেই কোনো একসময় একই দিক থেকে কারো প্রবেশ ঘটেছে। পিপা-খিলানযুক্ত সমাধি কক্ষ ১.৯ মিটার প্রস্থ, ৩.৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং উচ্চতা ৩.৫ মিটার বিশিষ্ট। উক্ত কবরের উপরের অর্ধেক মূলত ভিত্তি স্তর থেকে ১.৫ থেকে ২ মিটার উপরে তৈরীর পরিকল্পনা করা হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে এটি পুরোপুরি মাটির নিচে চলে গেছে। অঙ্কিত রচনাশৈলীর বর্ণনা ৫ম শতককে নির্দেশ করে। [৬]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- Culture of Nagorno-Karabakh
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Hasratyan, M. M. (১৯৭৫)। "Ամարասի ճարտարապետական համալիրը [Architectural complex of Amaras]"। Lraber Hasarakakan Gitutyunneri (আর্মেনিয় ভাষায়) (5): 35–52। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ Pavstos Byuzand. Armenian History. Yerevan. 1987. page 17
- ↑ Movses Kaghankatvatsi. History of Aluank. Book I. Chapter XIV.
- ↑ Viviano, Frank. "The Rebirth of Armenia", National Geographic Magazine, March 2004
- ↑ John Noble, Michael Kohn, Danielle Systermans. Georgia, Armenia and Azerbaijan. Lonely Planet; 3 edition (May 1, 2008), p. 307
- ↑ M. Hasratyan, "Amaras", Yerevan 1990.