মুস্তাফা আকিনচি
মুস্তাফা আকিনচি | |
---|---|
Mustafa Akıncı | |
উত্তর সাইপ্রাসের ৪র্থ রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল ২০১৫ – ২৩ অক্টোবর ২০২০ | |
প্রধানমন্ত্রী | Özkan Yorgancıoğlu Ömer Kalyoncu Hüseyin Özgürgün Tufan Erhürman এরসিন তাতার |
পূর্বসূরী | Derviş Eroğlu |
উত্তরসূরী | এরসিন তাতার |
উত্তর সাইপ্রাসের উপ-প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৩০ ডিসেম্বর ১৯৯৮ – ৮ জুন ২০০১ | |
পূর্বসূরী | সরদার দেঙ্কতাস |
উত্তরসূরী | সালিহ কোসার |
উত্তর নিকোসিয়ার মেয়র | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৬ – ১৯৯০ | |
পূর্বসূরী | জিভের কেমাল |
উত্তরসূরী | বুরহান ইয়েতকিলি |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | লিমাসল, ব্রিটিশ সাইপ্রাস | ২৮ ডিসেম্বর ১৯৪৭
রাজনৈতিক দল | কমিউনাল ডেমোক্রেসি পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | মেরাল আকিনচি |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | মিডল ইস্ট টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি |
ওয়েবসাইট | www |
মুস্তাফা আকিনচি (ইংরেজি: Mustafa Akıncı তুর্কি উচ্চারণ: [mustafa akɯnd͡ʒɯ]; জন্ম ২৮ ডিসেম্বর ১৯৪৭) হলেন একজন তুর্কি সাইপ্রিয়টর্স (তুর্কি জাতিগত সাইপ্রাসীয়) রাজনীতিবিদ এবং উত্তর সাইপ্রাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি। তিনি ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এ দ্বায়িত্ব পালন করেন।[১]
আকিনচি পেশায় একজন স্থপতি ছিলেন, তিনি ১৯৭৬ সালে ২৮ বছর বয়সে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রউফ ডেনক্টাসের কমিউনাল লিবারেশন পার্টি (টিকেপি) থেকে নিকোসিয়া টার্কিশ মিকনিসিপালিটির মেয়র নির্বাচিত হন। আকিনচি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৪ বছর এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, এ সময় তিনি শহরের ব্যাপক উন্নয়ন কাজের নেতৃত্বদানের ফলে স্থাপত্যে আগা খান পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি টিকেপির সেক্রেটারি জেনারেল হিসাবে নিয়োগ পান, একইসাথে আকিনচি ১৯৯৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০১ পর্যন্ত উপ - প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সালে মুস্তাফা টিকেপি দলের নেতৃত্ব থেকে বেড়িয়ে আসেন। ২০০৩ সালে তিনি অ্যান্ড ডেমোক্রেসি মুভমেন্ট গঠন করেন এবং এর নেতা নির্বাচিত হন।
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]আকিনচি ১৯৪৭ সালে ২৮ ডিসেম্বর লিমাস্সোলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মিডল ইস্ট টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্থাপত্য বিদ্যায় পড়াশুনা করেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়েই তার সহধর্মিনী মিরাল আকিনচির সাথে প্রথম দেখা হয়। ১৯৭৩ সালে তিনি সাইপ্রাসে ফিরে আসেন এবং ১৯৭৪ বিয়ে করেন। তাদের প্রথম সন্তান দোজা ১৯৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করে।
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]মুস্তাফা আকিনচি ১৯৯৩ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত উত্তর সাইপ্রাসের সংসদ সদস্য ছিল। ১৫ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আকিনচি অংশগ্রহণ করেছিলেন, সে নির্বাচনে তিনি টিকেপির প্রার্থী ছিলেন এবং ১৪.২৩% ভোট পেয়ে ৪র্থ স্থান অর্জন করেছিলেন। অগ্রজ তিন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সিটিপি প্রার্থী অজকার অজগুর, ইউপিবি প্রার্থী ডার্বিস এরোগলু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রউফ ডেনকটাস। ৩০ ডিসেম্বর ১৯৯৮ সালে আকিনচি উত্তর সাইপ্রাসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং ডার্বিস এরোগলুর ষষ্ঠ মন্ত্রিসভার উপ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। আকিনচি হয়ে উঠেছিলেন টিকেপির সর্বোচ্চ নেতা এবং ইউপিবি-টিকেপি জোটের দ্বিতীয় সারির নেতা।
পিচ অ্যান্ড ডেমোক্রেসি মুভমেন্ট
[সম্পাদনা]মুস্তাফা আকিনচি ২০০৩ সালে সামাজিক পিচ অ্যান্ড ডেমোক্রেসি আন্দোলন নামে নতুন দল গঠন করেন। যার উদ্দেশ্য ছিল সাইপ্রাস নিয়ে জাতিসংঘের আনান পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করা।
রাষ্ট্রপতি
[সম্পাদনা]মুস্তাফা আকিনচি ২০১৫ সালের ১৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য তার নমিনেশন পেপার সফলভাবে জমা করেন। ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মুস্তাফা আকিনচি ২৬.৯% ভোটে বিজয়ী হয়, তিনি ২য় ধাপে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডার্বিস এরোগলুকে পরাজিত করেছিলেন, যিনি ২৮.২% ভোট পেয়েছিলেন। আকিনচি ১ম ধাপে পিছিয়ে থাকলেও ২য় ধাপে এগিয়ে যায়, তিনি গড়ে ৬০.৫% ভোট পেয়ে উত্তর সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বই
[সম্পাদনা]আকিনচি ২০১০ সালে তার নিকোসিয়া তুর্কিশ মিউনিসিপালিটির মেয়রের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বই লিখেন "মেয়র অফিসের ১৪ বছর" (Belediye Başkanlığı'nda 14 yıl)।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "উত্তর সাইপ্রাসের নতুন প্রেসিডেন্ট মুস্তাফা আকিনচি"। নয়াদিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]