বোহেমীয় ওয়াক্সউইং

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বোহেমীয় ওয়াক্সউইং
pink and grey bird
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা করুন
অপরিচিত শ্রেণী (ঠিক করুন): বম্বিসিল্লা
প্রজাতি: টেমপ্লেট:শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যা/বম্বিসিল্লাব. গারুলাস
দ্বিপদী নাম
টেমপ্লেট:শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যা/বম্বিসিল্লাবম গারুলাস
(লিনিয়াস, ১৭৫৮)
      গ্রীষ্মকালে বাস করে      সারা বছরের বাসিন্দা      শীতকালীন অতিথি

(সকল সীমানা সম্ভাব্য এবং অনেক পাখি সীমার বাইরে বাস করে।)

বম্বিসিল্লা গারুলাস অন্টারিও, কানাডা
Bombycilla garrulus

বোহেমীয় ওয়াক্সউইং (বৈজ্ঞানিক নাম: Bombycilla garrulus) হচ্ছে প্যাসারিন জাতের পাখি যারা ইউরেশিয়ার উত্তরাঞ্চলের জঙ্গলে এবং উত্তর আমেরিকায় বাস করে। এদের পালকে লাল মোমের মত আভা থাকায় এদের ইংরেজি নাম এরকম। আকার এবং পাখনার পার্থক্যের কারণে এরা সিডার ওয়াক্সউইং এবং জাপানী ওয়াক্সউইং থেকে আলাদা পাখি।

শ্রেণীবিন্যাস[সম্পাদনা]

ওয়াক্সউইং বম্বিসিলিডি পরিবারের ছোট লেজের পাখি। ক্যারোলাস লিনিয়াস ১৭৫৮ সালে তার সিস্টেমা ন্যাচারাই গ্রন্থে এদেরকে উল্লেখ করেন Lanius Garrulus নামে। ১৮০৮ সালে লুই জ্য পিয়েরে ভিয়েইল্লট এদেরকে বর্তমান গোত্র বোম্বিসিল্লাতে স্থানান্তরিত করেন। গোত্র নাম বোম্বিসিল্লা এসেছে গ্রীক শব্দ বোমবাক্স থেকে যার অর্থ সিল্ক এবং আধুনিক লাতিন সিল্লা থেকে যার অর্থ লেজ।

বর্ণনা[সম্পাদনা]

বোহেমিয় ওয়াক্সউইং এর দৈর্ঘ্য ১৯-২৩ সেমি এবং ডানার বিস্তৃতি ১২.৬-১৪ সেমি এবং গড় ওজন ৫৫ গ্রাম। এদের লেজ খাঁটো। এরা পরিচর্যার মাধ্যমে এদের নরম ঘন পালককে সবসময় ভালো অবস্থায় রাখে।

বাসস্থান[সম্পাদনা]

এরা ইউরেশিয়ার উত্তরাঞ্চলে এবং উত্তর আমেরিকায় বাস করে। ইউরেশিয়া তে এরা গাছেই বাসা বাঁধে। এরা অভিবাসী ধরনের পাখি। খাবার থাকলে এরা থাকে। খাবার ফুরিয়ে গেলে এরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়।

স্বভাব[সম্পাদনা]

ফেব্রুয়ারি/মার্চে এরা এদের শীতকালীন আবাস থেকে ফিরতে শুরু করে। উত্তরাঞ্চলের পাখিরা এপ্রিল/মে'র আগে নিজেদের আবাসভূমিতে ফিরতে পারে না। এরা জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে বাসা বাঁধে। ভালো বাসা বাঁধার জায়গা পেলে কয়েক জোড়া পাখি পাশাপাশি বাসা বাঁধে। এরা -৭ টি ডিম পাড়ে। স্ত্রী পাখি ১৩/১৪ দিন একাই ডিমে তা দেয়। পুরুষ পাখিটি স্ত্রী পাখিটির জন্য খাবার নিয়ে আসে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Bombycilla garrulus"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]