দি ইম্পেরিয়াল, নয়া দিল্লী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দি ইম্পেরিয়াল, নয়া দিল্লী
মানচিত্র
সাধারণ তথ্য
অবস্থানJanpath, নতুন দিল্লী
কার্যারম্ভ১৯৩৬
স্বত্বাধিকারীAkoi Family
কারিগরী বিবরণ
তলার সংখ্যা
নকশা এবং নির্মাণ
স্থপতিBlomfield
অন্যান্য তথ্য
কক্ষ সংখ্যা২৩৩
সংকলনের সংখ্যা৪৪
রেস্তোরাঁর সংখ্যা
ওয়েবসাইট
দি ইম্পেরিয়াল, দাপ্তরিক ওয়েবসাইট

দি ইম্পেরিয়াল, নয়া দিল্লী হলো ১৯৩১ সালে নির্মিত ভারতের একটি বিলাস বহুল হোটেল। এটি জনপথে অবস্থিত, যে স্থানটি পূর্বে কুইন্সওয়ে নামে পরিচিত ছিল এবং এটি নয়া দিল্লীর কনাউট প্লেসে সন্নিকটে। মূলত এটি ছিল নয়া দিল্লীর প্রথম বিলাশ বহুল গ্র্যান্ড হোটেল।[১][২]

আজকে এই হোটেলটিতে রয়েছে ব্রিটিশ এবং ব্রিটিশ পূর্ব সময়কার চিত্রকর্মের সুবিশাল এবং সর্ববৃহৎ সংগ্রহশালা, এবং এটার অভ্যন্তরে আছে একটি চমৎকার মিউজিয়াম এবং একটি আর্ট গ্যালারী।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

Palm trees lining the entrance of Imperial Hotel

হোটেলটির যাত্রা আরম্ভ হয়েছিল ১৯৩৬ সালে, ভিক্টোরিয়ান এবং ব্রিটিশ আমলের চিত্রকর্মের সংমিশ্রনের সাথে পুরকৌশলবিদ ডি.জে. ব্লুমফিল্ডের আর্ট ডেকো স্টাইল এর মিশেলে, যিনি ছিলেন এডউইন লুটিইনস এর সহকারী, যিনি পরবর্তিতে নতুন রাজধানী ব্রিটিশ রাজ, নয়াদিল্লীর নকশাবিদ হয়েছিলেন, যা কিনা একই বছরে উদ্ভোধনকৃত, এবং লুটিইনস, দিল্লীর ভেতরেই তার অবস্থান ছিল।[৪] ইম্পেরিয়াল আসলে ছিলেন এস. বি. এস রনজিৎ সিং, আর.বি.এ. নারাইন সিং এর সন্তান। পরবর্তিতে ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লীকে ভারতের নতুন রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। [৫][৬]

হোটেলটি নতুন করে পূনর্গঠন করেন এটার জেনারেল ম্যানেজার এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব হার্বিন্দার শেখন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের ভেতর এই কাজটি করা হয়। এই সমকালের মধ্যে, ইম্পেরিয়াল নেদাল্যান্ডের রাণী, হলিউডের অভিনেত্রী, অভিনেতাদের, অনেক বিত্তশালীদেরকে অতিথিয়তা প্রদান করে ফেলে। তিনি ছয়টি রেস্তোরা চালু করেন হোটেলটির অভ্যন্তরে যেগুলির নামগুলি ছিল “স্পাইস রুট”, “পাতালিয়া পেগ বার”, “১৯১১ রেস্টুরেন্ট এবং বার”, “ডেনিয়েলস্ ট্যাভার্ন” এবং “সান গিমিগনানো”।

হোটেলটিতে সর্ব মোট ২৩৩ টি রুম রয়েছে যেখানে স্যুট রয়েছে ৪৪ টি। হোটেলটিতে ৬ টি রেস্তোরা রয়েছে যা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। হোটেলটি মূলত ৩ তলা বিশিষ্ট।

ঐতিহ্য[সম্পাদনা]

হোটেল ইম্পেরিয়াল, নয়া দিল্লী বিশেষ করে নামকরা এটার ঐতিহ্য এবং রাজকীয়তার জন্য। এটার আছে একটি বেশ ভালো ভাবে সুপরিচিত পানশালা যেখানে পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু, মাহাত্মা গান্ধি, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং লর্ড মাউন্টব্যাটেন একত্রিত হয়েছিলেন ভারতের বিভক্তি এবং পাকিস্তানের জন্মের উদ্দেশ্যে নিয়ে আলোচনা করার জন্য। এটি আবার আলীগরের স্কুল নামে পরিচিত।[২]

রেফরেন্স সমূহ[সম্পাদনা]

১) দি ইম্পেরিয়াল, নয়া দিল্লী। নিউ ইয়র্ক টাইমস্। ২) ফেমাস হোটেলস:ইম্পেরিয়াল নয়া দিল্লী-দি ম্যাকিং অব বাই এন্ড্রিয়াস অগাস্টিন।১১ ডিসেম্বর ২০০৬। ৩) দি ইম্পেরিয়াল দিল্লী, বাই পেট্রিক হর্টন, রিচার্ড প্লান্কেট, হিউগ ফিনলে, ২০০২, আইএসবিএন ১-৮৬৪৫০২৯৭-৫. ৪) গ্রেট, গ্রান্ড এন্ড ফেমাস হোটেল, বাই ফ্রিটজ গুবলার, রাউইন গ্লাইন, প্রকাশক: গ্র্যাট, গ্রান্ড এন্ড ফেমাস হোটেল, ২০০৮।আইএসবিএন ০-৯৮০৪৬৬৭-০-৯ পি। ৫) দি ইম্পেরিয়াল এশিয়ার লিজেন্ডারি হোটেলস: দি রোমান্স অব ট্রাভেল, বাই উইলিয়াম ওয়ারেন, জিল গুচার, টাটল পাবলিশিং ২০০৭। আইএসবিএন ০-৭৯৪৬-০১৭৪। ৬) হোটেলস ইন নিউ দিল্লী। নিউ দিল্লী হোটেলস।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "The Imperial, New Delhi"। nytimes.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-০৯ 
  2. "Famous Hotels: Imperial New Delhi - the making of By Andreas Augustin"। 4hoteliers.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-০৯ 
  3. The Imperial Delhi, by Patrick Horton, Richard Plunkett, Hugh Finlay. Lonely Planet, 2002. আইএসবিএন ১-৮৬৪৫০-২৯৭-৫. p. 107-108.
  4. "About The Imperial New Delhi"। cleartrip.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-০৯ 
  5. Great, grand & famous hotels, by Fritz Gubler, Raewyn Glynn. Publisher: Great, Grand & Famous Hotels, 2008. আইএসবিএন ০-৯৮০৪৬৬৭-০-৯.p. 250.
  6. The Imperial Asia's Legendary Hotels: The Romance of Travel, by William Warren, Jill Gocher. Tuttle Publishing, 2007. আইএসবিএন ০-৭৯৪৬-০১৭৪-X. p. 28.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]