তারাশঙ্কর তর্করত্ন
তারাশঙ্কর তর্করত্ন | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৫ নভেম্বর, ১৮৫৮ |
তারাশঙ্কর তর্করত্ন (ইংরেজি: Tarashankar Tarkaratna) (? - ১৫ নভেম্বর, ১৮৫৮) ছিলেন উনিশ শতকের একজন লেখক। তিনি কলকাতার সংস্কৃত কলেজের কৃতী ছাত্র ছিলেন। বহু বৃত্তি ও পুরস্কার লাভ করেন। ১৮৫১ সালের ১২ নভেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সুপারিশে সংস্কৃত কলেজে গ্রন্থগারিকের পদ পান এবং বিদ্যাসাগর মহাশয় অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনস্পেক্টর অফ স্কুলস নিযুক্ত হলে তাকে সাব-ইনস্পেক্টর নিযুক্ত করেন। তার রচিত গ্রন্থসমূহ হচ্ছে, ভারতবর্ষীয় স্ত্রীগণের বিদ্যাশিক্ষা, পশ্বাবলী, কাদম্বরী (বঙ্গানুবাদ) রাসেলাস (ইংরেজির অনুবাদ) স্বল্পায়ু এই পণ্ডিত ৩০ বছর বয়সের আগেই মারা যান।[১]
জন্ম
[সম্পাদনা]তারাশঙ্কর তর্করত্ন নদিয়ার কাঁচাকুলিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মধুসূদন চট্টোপাধ্যায়।[১]
নারীর দুরবস্থার বিবরণ
[সম্পাদনা]তারাশঙ্কর তর্করত্ন তার ভারতবর্ষীয় স্ত্রীগণের বিদ্যাশিক্ষা গ্রন্থে বাঙালি সমাজে মেয়েদের দুরবস্থা ও অসহায় অবস্থার চিত্রায়ন প্রসঙ্গে সে সময়ের কৌলীন্যের অত্যাচারের বিবরণ দিয়েছেন। আশি বছরের বুড়োর সঙ্গে পাঁচ বছরের মেয়ের বিয়ে, কিংবা 'স্বীয় কুলোচিত পাত্রের অভাবে' পঞ্চাশ বছরের মেয়েকে আইবুড়ো রাখা, এক পাত্রকে পাঁচ-ছয় কন্যা সম্প্রদান ছিলো উনিশ শতকের বাংলার সমাজচিত্র। তারাশঙ্কর বিবাহ ব্যবসায়ী কৌলিন্যের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বহুবিবাহেরও বিরোধিতা করে লিখেছিলেন। তারাশঙ্কর সমাজসচেতন ব্যক্তি ছিলেন এবং কৌলিন্যের দোষ অনুভব করেছিলেন।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, সংশোধিত ও সংযোজিত পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ২৭০-২৭১, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ স্বপন বসু, বাংলায় নবচেতনার ইতিহাস, পুস্তক বিপণি, কলকাতা, ডিসেম্বর, ১৯৮৫, পৃষ্ঠা-২৯৩-২৯৪।