পানিদর্শন
পানি নিয়ে সর্বপ্রথম দর্শনমত প্রচারিত হয়েছে প্রাচীন গ্রিসে। দার্শনিক থেলিস (Thales) এ-দর্শনের জনক। থেলিসের মতে, পানি সমস্ত দ্রব্যের মূল ও আদি কারণ। পানি থেকেই সবকিছুর উৎপত্তি এবং পানিতেই সবকিছু বিলীন হচ্ছে। পৃথিবী মহাসমুদ্রে ভাসমান এবং পানি থেকেই সার সংগ্রহ করে। এ-বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবকিছুই পানির নানা রূপান্তর মাত্র।[১]
থেলিস বলেন, জগতে যে সমস্ত দ্রব্য আমাদের গোচরীভূত হচ্ছে তার মধ্যে পানির গুণ এই যে, কঠিন, তরল, বায়বীয়- এই তিন রকম অবস্থা পানি সহজে ধারণ করতে পারে। পানি কখনো বাষ্প হচ্ছে, কখনো বা জমে বরফ হচ্ছে। নদী, হ্রদ ইত্যাদি জলাশয় গ্রীষ্মকালে শুকাতে থাকে, বর্ষায় আবার প্লাবিত হয়। এ-ছাড়াও সমুদ্রবক্ষে দ্বীপের উৎপত্তি, নদীগর্ভে নতুন ভূভাগের সৃষ্টি, ভূমিকম্পে জলরাশির আবির্ভাব ও তিরোভাব এ-সমস্ত ঘটনা পানির ক্রিয়ারূপ নামেই গণ্য। বস্তুত, পানিই সৃষ্টির মূল উপাদান। বস্তুমাত্রই পানির অবস্থাভেদে উৎপন্ন।
পানিই যে সমস্ত বস্তুর উৎপত্তির উৎস, পানিই যে দ্রব্যের মূল ও আদি উপাদান- এই কথাসম্বলিত থেলিসের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণযুক্ত বক্তব্যকেই দর্শনে পানিদর্শন (Water Philosophy) বলা হয়।
উৎস
[সম্পাদনা]- ↑ মো. আবদুল হালিম (মে ২০০৩)। দার্শনিক প্রবন্ধাবলি : তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ। ঢাকা: বাংলা একাডেমি। অজানা প্যারামিটার
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)