সুভাষ চন্দ্র গোয়েল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুভাষ চন্দ্র গোয়েল
সুভাষ চন্দ্র গোয়েল ২০১৮
সংসদ সদস্য- হরিয়ানা রাজ্য, ভারত
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২ আগস্ট ২০১৬- বর্তমান
সংসদীয় এলাকাহরিয়াণা রাজ্য
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1950-11-30) ৩০ নভেম্বর ১৯৫০ (বয়স ৭৩)
জাতীয়তাভারতীয়
মাতাতারা দেবী গোয়েল
পিতানন্দকিশোর গোয়েল
বাসস্থানমুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত
পেশাচেয়ারম্যান- এসেল গ্রুপ
Propertiesজি টিভি
ওয়েবসাইটhttp://www.subhashchandra.com/ http://www.subhashchandrafoundation.org/

সুভাষ চন্দ্র গোয়েল ভারতের হরিয়ানা থেকে নির্বাচিত রাজ্য সভার সংসদ সদস্য। এসেল গ্রুপের চেয়ারম্যান। ভারতের নিজস্ব মিডিয়া মুঘল। "ভারতীয় টেলিভিশনের জনক" হিসেবেও অভিহিত করে থাকে।[১][২][৩]

জন্ম[সম্পাদনা]

সুভাষ চন্দ্র গোয়েলের জন্ম ৩০ নভেম্বর ১৯৫০ সালে। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের হিসার জেলার আদমপুরে।[৪]

কর্ম জীবন[সম্পাদনা]

১৯ বছর বয়সে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর প্রবেশ করেন পারিবারিক চাল ব্যবসায়। এছাড়া নিজস্ব একটি উদ্ভিজ্জ তেলের ব্যবসা শুরু করার। এর পর খাদ্যশস্য রপ্তানির ব্যবসাও শুরু করেন। ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন এসেল প্যাকেজিং লিমিটেড। পরবর্তীতে এসেল প্যাকেজিং লিমিটেড নতুন নাম হয় এসেল প্রোপ্যাক লিমিটেড। সম্প্রচার মাধ্যমের পাশাপাশি এসেল গ্রুপের কার্যক্রম বিস্তৃত হয়েছে বিনোদন পার্ক, প্যাকেজিং অবকাঠামো, লটারি প্রভৃতির ব্যবসাতেও। জাহাজের ব্যবসায় প্রবেশ করেছেন জালেশ ব্র্যান্ড হিসেবে। সব মিলিয়ে, ২১ এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত সুভাষের মোট সম্পদের পরিমাণ ২.৬ বিলিয়ন। ফোর্বস বিলিয়নিয়ার্স ২০১৯ এর তালিকা অনুযায়ী, তিনি বিশ্বের ৯১৬তম ধনী।[৫][৬][৭]

সম্প্রচার  জগৎ[সম্পাদনা]

স্টার টিভির মালিকানাধীন এশিয়াস্ট্যাটের ট্রান্সপন্ডার ইজারা নেয়ার ক্ষেত্রেও সফল হন তিনি। ১৯৯২ সালে ভারতে প্রথম স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল হিসেবে যাত্রা শুরু করে জি টিভি।[৮] আর সুভাষ চন্দ্র গোয়েলের হাত ধরে জি টিভির উদ্ভব ঘটেছিল। এছাড়া ওই বছরের অক্টোবরেই তিনি জি টেলিফিল্মস লিমিটেড চালু করেন, যেটির কাজ ছিল জি টিভির জন্য অনুষ্ঠান সরবরাহ করা। সম্প্রতি ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যমানের এক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তিনি। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ভারতের সর্ববৃহৎ মাল্টি সিস্টেম অপারেটর সিটিক্যাবল। যৌথ প্রকল্প শুরু করেন নিউজ কর্পের সাথে। ওই বছরই নতুন দুটি চ্যানেল, জি নিউজ ও জি সিনেমা নিয়ে আসেন তিনি। ফলে একাধারে যেমন ভারতীয় দর্শক প্রথমবারের মতো সারাদিন স্থানীয় সংবাদ দেখার একটি মাধ্যম পেয়ে যায়, ঠিক একইভাবে তাদের সুযোগ ঘটে অনবরত হিন্দি চলচ্চিত্র দেখারও। ওই বছরই নতুন দুটি চ্যানেল, জি নিউজ ও জি সিনেমা নিয়ে আসেন তিনি।[৯] জি-ই ভারতের প্রথম ক্যাবল কোম্পানি, যারা ২০০০ সালে ইন্টারনেট ওভার ক্যাবল সার্ভিস চালু করে। আর ২০০৩ সালে জি ভারতে প্রথম ডিরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) সার্ভিসও নিয়ে আসে। জি টিভি নেটওয়ার্কে রয়েছে প্রায় ৯০টি চ্যানেল, যার মাধ্যমে বিশ্বের ১৭৪টি দেশে ১.৩ বিলিয়নেরও বেশি দর্শক রয়েছে তাদের। ভারতে স্টার ও সনির পাশাপাশি জি-ই সবচেয়ে বড় টিভি নেটওয়ার্ক। [৭][১০]

সংবাদপত্র জগৎ[সম্পাদনা]

২০০৫ সালে দৈনিক ভাস্কর গ্রুপের সাথে মিলিয়ে বাজারে নিয়ে আসেন ইংরেজি সংবাদপত্র- ডিএনএ (ডেইলি নিউজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস)। [১১][১২]

রাজনীতিত[সম্পাদনা]

২০১৬ সালে জি মিডিয়া গ্রুপের ডিরেক্টর এবং নন-এক্সিকিউটিভ পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ওই বছরই হরিয়ানার রাজ্যসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি। তবে তার প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল ক্ষমতাসীন দল বিজেপির।[১৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Dr Subhash Chandra takes oath as Rajya Sabha member"ডিএনএ ইন্ডিয়া। ২১ নভেম্বর ২০১৬। ২১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৯ 
  2. "Subhash Chandra steps down as Zee Media chairman"indiatimes.com 
  3. "Zee group: Each brother to own 70–80% of business"। Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৫ 
  4. "Dish TV posts Q1 net profit of Rs 54.21 crore"। Economic Times। India Times। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৫ 
  5. "The Z Factor: Why Subhash Chandra's autobiography has failed | books"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০২-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৮ 
  6. "Subhash Chandra Biography- About family, children, education, wife, age, and more"business.mapsofindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৯ 
  7. "How Some Gather Silver In The Fog"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-২৭ 
  8. Adhikari, Anand (২৫ মে ২০১৪)। "Passing the Baton"। business today.intoday.in। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৫ 
  9. Ajwani, Deepak (১৪ মার্চ ২০১৪)। "At the Zee Group, Son Punit has taken the baton from Subhash Chandra"। Forbes India Magazine। ৫ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৫ 
  10. "BARC week 15: Star Sports 1 Hindi rides on IPL high to lead across genre viewership"Indian Television Dot Com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৪-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৮ 
  11. Ramesh, Randeep (২০০৫-০৭-২৭)। "Newspaper empires at war in India"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৮ 
  12. Khandekar, Vanitha Kohli (২৫ মার্চ ২০১৫)। "40 Years Ago... And now: Subhash Chandra's chutzpah shaped his media business"। Business Standard। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৫ 
  13. "Dr Subhash Chandra dons political hat; wins RS seat from Haryana - Exchange4media"Indian Advertising Media & Marketing News – exchange4media (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৮