সারি ধরম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে


সারি ধরম বা সারি ধর্ম (সাঁওতালি: ᱥᱟᱹᱨᱤ ᱫᱷᱚᱨᱚᱢ) সাঁওতাল জাতির ধর্মের নাম [১][২] ও ভারতের প্রাচীন ধর্মের মধ্যে অন্যতম। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড আসাম, ওড়িশা,ও ত্রিপুরা, এছাড়াও বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান -এর সাঁওতাল জাতি দ্বারা প্রকৃতির উপাসনা করা হয়। এই ধর্মের প্রতিষ্ঠা ইষ্টদেবতা স্বয়ং মারাংবুরু। ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে সর্বপ্রাণবাদী ও প্রকৃতি উপাসক [৩] "ঠাকুরজিউ অথবা ঠাকুওয়ারজিউ" ও "ঠাকরাণ" কে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে মান্য করে। ধর্মাচরণে মূর্তিপূজার প্রচলন নেই।

সারিধরম
মোট জনসংখ্যা
৫৬০০০০(২০১১)
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
🇮🇳ভারত 🇧🇩বাংলাদেশ 🇳🇵নেপাল 🇧🇹ভূটান
পশ্চিমবঙ্গ৪৮০০০০০(২০২৩)
ঝাড়খণ্ড৭০০০০
ওড়িশা১০০০০
ধর্মগ্রন্থ
জমসিম বিন্তী
ভাষা
সাঁওতালি

সারি শব্দটি সাঁওতালি ভাষা সারিসারজম থেকে এসেছে, যার অর্থ শালগাছ। সারি শব্দের বাংলা অর্থ হলো সত্য। 'ধরম' মানে ধর্ম, এই দুটি শব্দ মিলিয়ে সারিধরম কথাটি এসেছে।

পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণীর কল্যাণ বিভাগ, মেমো নং- 942CRI/ 1-3CRI 2000 তারিখ: 21/10/2000 স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে সারি ধরম সাঁওতালদের একটি স্বীকৃত উপজাতীয় ধর্ম এবং তারা বিবাহ আইন 1954 এর পূর্বরূপের অধীনে এসেছে .

1991 সালের আদমশুমারিতে, 1,63,070 জন সাঁওতাল লোক সারি ধরমকে সমর্থন করেছিল এবং ভারতীয় আদমশুমারি বোর্ড 2002 সালে সারি ধরমকে স্বীকৃতি দেয়৷ এই বিষয়ে সরকার৷ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে সারি ধরমকে উন্নত করতে সচেতন করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে (নোটিস নম্বর - TAB. 11015(R)/ 1991/6074/ (30.10.2002)

উৎসব[সম্পাদনা]

সহরায় হল বৃহত্তম উৎসব। এছাড়াও বাহা, দাঁশায়, এরঃ, মাঃমড়ে, আষাড়িয়া, সাকরাত, প্রভৃতি উৎসবও পালিত হয়।

ধর্মতত্ত্ব[সম্পাদনা]

সারিধর্ম অনুযায়ী সাঁওতালদের প্রত্যেক গ্রামে একটি মাঝিথান ও জাহেরথান থাকে, সেই গ্রাম কে পরিচালনা করে পাঁচ জন পদস্হ ব্যক্তি এদের বলা হয় "আতু মঁড়ে হড়"৷ তারা হল - ১.মাঝিবাবা গ্রামের সর্বময় কর্তা, ২-.জগমাঝি ,৩.পারানিক,৪.গোডেৎ, ৫.নায়কে৷

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. SagunDD (২০২০-০৪-১৭)। "'সারি ধরম' পরিবেশ ও মানব সভ্যতা বাঁচানোর পাঠ দেয়"Sar Sagun Patrika (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৩-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২০ 
  2. বম্বেDuck। "সাঁওতাল ধর্মের জমসিম বিন্তি :: ডঃ স্বপন সরেন"বম্বেDuck বর্ষা সংখ্যা ২০২০ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২০ 
  3. নূর, রাজীব। "অধিকার আছে নেই স্বীকৃতি, নিভু নিভু ধর্মের বাতি"bdnews24। ২০২৩-০৩-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২০