সরোজ গুপ্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সরোজ গুপ্ত
২০০৭ সালে সরোজ গুপ্ত
জন্ম(১৯২৯-১২-০৫)৫ ডিসেম্বর ১৯২৯
মৃত্যু২১ মে ২০১০(2010-05-21) (বয়স ৮০)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাপেশাদার স্বাস্থ্যকর্মী
পরিচিতির কারণবাংলার প্রথম বেসরকারি ক্যান্সার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা,[১] রেডিয়েশন অনকোলজি ও নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান
দাম্পত্য সঙ্গীইলা গুপ্ত[২]
সন্তানঅঞ্জন গুপ্ত, ডাঃ অর্ণব গুপ্ত,[২] সুস্মিতা রায়
পিতা-মাতা
  • প্রয়াত সত্যচরণ গুপ্ত (পিতা)
  • প্রয়াত পতিত পাবনি দেবী (মাতা)

সরোজ গুপ্তা এফআরসিআর (৫ ডিসেম্বর ১৯২৯ - ২১ মে ২০১০) ছিলেন একজন ভারতীয় ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এবং পশ্চিমবঙ্গের ক্যান্সার সেন্টার ওয়েলফেয়ার হোম অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ।[৩] তিনি ১৯৮৭ সালে ভারতের চতুর্থ-সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী লাভ করেন এবং ১৯৮৯ সালে কলকাতার শেরিফ হন।[৪]

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

সরোজ গুপ্ত ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব মেডিসিন, ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৫ সালে ইংল্যান্ডে যান এবং ইংল্যান্ড রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে ফেলোশিপ (এফআরসিআর) সম্পন্ন করেন।[৪]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

সরোজ গুপ্ত ১৯৫৬ সালে এমবিবিএস পাশ করার পর চিত্তরঞ্জন জাতীয় ক্যান্সার প্রতিষ্ঠানে কনসালটেন্ট রেডিওথেরাপিস্ট হিসেবে যোগ দেন।

চিত্তরঞ্জন জাতীয় ক্যান্সার প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় তিনি প্রত্যক্ষ করেছিলেন যে, কীভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ক্যান্সার রোগীরা প্রায়শই শয্যার অভাবের কারণে ভর্তি হতে পারে না। যখন রোগীদের শেষ পর্যন্ত ভর্তি করা হয়, তগন তারা প্রায়শই ক্যান্সারের উন্নত পর্যায়ে ছিল। ডাঃ সরোজ গুপ্ত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের জন্য শয্যা ও চিকিৎসা প্রদানের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন।

তিনি ক্যান্সার রোগীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য একটি জায়গা তৈরি করতে চেয়েছিলেন যেখানে তারা শান্তিতে থাকতে পারে, প্রকৃতি দ্বারা বেষ্টিত এবং আধুনিক চিকিত্সা থাকবে। একটি আধুনিক হাসপাতাল স্থাপনের বিষয়ে তাঁর স্পষ্ট দৃষ্টি ছিল, যদিও সেই সময়ে কলকাতা শহরে খুব কম বেসরকারি সুবিধা ছিল।

সরোজ গুপ্তর মূর্তি

১৯৭০ এর দশকের প্রথমদিকে, ডাক্তার ও সমাজকর্মীদের একটি দলের সহায়তায়, সরোজ গুপ্ত ১৬ একর জমিতে একটি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি করতে শুরু করেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি বাড়ি তৈরির স্বপ্ন ১৯৭৩ সালে পূরণ হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালটিতে ২৫টি শয্যা ছিল, কিন্তু তিন দশক পর শয্যা সংখ্যা ২৫৪-এ উন্নীত হয় এবং শিশু ক্যান্সারের জন্য আলাদা সুবিধা তৈরি করা হয়। তিনি নামমাত্র মূল্যে কলকাতার প্রথম আধুনিক ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য একটি নাটক রচনা করেন এবং নিজে একজন ক্যান্সার রোগীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সিনিয়র অনকোলজিস্ট সুবীর গাঙ্গুলীর মতে, "অনকোলজিতে তার অবদান অতুলনীয়।"

১৯৮০ সালে, চিত্তরঞ্জন জাতীয় ক্যান্সার প্রতিষ্ঠান থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের পর, তিনি ঠাকুরপুকুর হাসপাতালে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নিযুক্ত করেন।

পুরস্কার এবং স্বীকৃতি[সম্পাদনা]

সরোজ গুপ্ত ১৯৮৭ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন।[৫][৬] তাকে ১৯৮৯ সালে কলকাতার শেরিফ পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল।[৭]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Bengal's first private cancer hospital ostracised as patient tests Covid-19+"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০২০ 
  2. "নতুন পরিচয় ডাক্তার সরোজ গুপ্তের, মানুষ চিনল সুলেখক সাহিত্যরসিককে"KhaborOnline। ২১ মে ২০১৭। ২৬ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০২০ 
  3. "Our Founder"SGCC&RI (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৭ 
  4. May 22, TNN। "Pioneering oncologist passes away at 80 | Kolkata News - Times of India"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০২০ 
  5. "Padma Awards Directory (1954–2014)" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs (India)। ২১ মে ২০১৪। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০২০ 
  6. "Padma Awards - Interactive Dashboard"www.dashboard-padmaawards.gov.in (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৪-২০। ২০২০-০৭-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২১ 
  7. "Padma Awards Directory (1954–2014)" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs (India)। ২১ মে ২০১৪। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]