বিষয়বস্তুতে চলুন

শাহ পরান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শাহ পরান
হযরত শাহ পরানের মাজার
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম
কোনিয়া, রুম সালতানাত, (বর্তমানে তুরস্কে) বা হাদ্রামাউত, ইয়েমেন (বিরোধপূর্ণ)
মৃত্যুখাদিম পাড়া (বর্তমানে খাদিম নগর)
ধর্মইসলাম
আখ্যাসুফিবাদ
মুসলিম নেতা
ভিত্তিকসিলেট
কাজের মেয়াদ১৩শ শতাব্দী থেকে ১৪শ শতাব্দী
পূর্বসূরীশাহজালাল
পদদার্শনিক ও সুফি সাধক

শাহ পরান ছিলেন ১৪শ শতাব্দীর একজন সিলেট অঞ্চলের সুফি সাধক।[] তিনি শাহজালালের বোনের ছেলে। ১৩০৩ সালে শাহজালালের সিলেট বিজয়ের সময়ে তিনি সামিল ছিলেন।[]

জীবনী

[সম্পাদনা]

তার জন্ম ইয়েমেনের হাদ্রামাউত অঞ্চলে এবং তিনি ছিলেন শাহজালালের ৩৬০ আউলিয়ার মধ্যে অন্যতম। তিনি তার মামা শাহজালালের সাথে ভারতবর্ষে আসেন। সেখান থেকে তিনি সিলেট শহরে আসেন। তার মাজারও সিলেট জেলায় অবস্থিত।

শাহ পরাণের পূর্ব পুরুষগণ মুলত বোখারা শহরের অধিবাসী ছিলেন। তার উধ্বতন ৪র্থ পুরুষ শাহ জামাল উদ্দিন, বোখারা হতে ধর্ম প্রচারের জন্য প্রথমে সমরখন্দ ও পরে তুর্কিস্থান এ এসে বসবাস করেন। বংশ সূত্রে শাহ পরানের পিতা মোহাম্মদ ও একজন খ্যাতনামা ধার্মিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সে হিসেবে শাহ পরাণ হচ্ছেন শাহ জালালের ভাগ্নে। শাহ পরাণের বয়স যখন ১১ বৎসর তখন তিনি তাঁর পিতাকে হারান। পরবর্তিকালে তার আত্মীয় প্রখ্যাত দরবেশ সৈয়দ আহমদ কবিরের কাছে তিনি ধর্ম শিক্ষায় দীক্ষিত হন। সেখান থেকে তিনি আধ্যাত্মিক দীক্ষা লাভে নেশাপুরের বিখ্যাত দরবেশ পাগলা আমীনের স্মরণাপন্ন হয়ে আধ্যাত্মিক শিক্ষায় দীক্ষিত হন। শাহ জালাল যখন বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রার উদ্যোগ নেন। এ সময় তিনি (শাহ পরান) খবর পেয়ে মামার সাহচার্য লাভের আশায় হিন্দুস্থানে এসে মামার সঙ্গী হন।[] সিলেট বিজয়ের পর শাহ জালালের আদেশে তিনি ইসলাম প্রচারের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। শাহ পরাণ সিলেটের নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থানে ইসলাম প্রচার করেন। পরবর্তিকালে অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ হলে শাহ জালালের নির্দেশে তিনি (শাহ পরান) সিলেট শহর হতে ছয় মাইল দূরবর্তি দক্ষিণ কাছ পরগণাস্থিত খাদিম পাড়া বর্তমান নাম খাদিম নগর এলাকায় এসে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে বসতি স্থাপন করেন এবং এখানেই জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত ইসলাম প্রচার করে বর্তমান মাজার টিলায় চির নিদ্রায় শায়িত হন।

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Kānunago, Sunīti Bhūshaṇa (১৯৮৮)। A History of Chittagong: From ancient times down to 1761 (ইংরেজি ভাষায়)। Dipankar Qanungo। পৃষ্ঠা ৪৭। 
  2. Department, East Pakistan (Pakistan) Services and General Administration (১৯৭১)। East Pakistan District Gazetteers: Sylhet (ইংরেজি ভাষায়)। East Pakistan Government Press। পৃষ্ঠা ১১৬। 
  3. "1997 CHT Peace Accord"www.londoni.co। ২০২২-০২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৬