লায়লা তাকলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ড. লায়লা তাকলা একজন কপ্টিক মিশরীয় রাজনীতিবিদ, লেখক, এবং ইতিবাচক মুসলিম-খ্রিস্টান সম্পর্কের প্রবর্তক।

আন্তঃসংসদীয় ইউনিয়ন[সম্পাদনা]

তাকলা মিশরীয় গণ-পরিষদের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির প্রথম মহিলা সভাপতি। তিনি আন্তঃসংসদীয় ইউনিয়নের একটি অধিবেশনের সভাপতি হওয়া প্রথম মহিলা ছিলেন এবং এটির সদস্যও তিনি।[১] উপরন্তু, তিনি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির একজন সদস্য।[২]

পেশাদারী কর্মজীবন[সম্পাদনা]

তাকলা আইন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক, কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনি পড়ান। তাকলা মিশরের কায়রোতে আন্তর্জাতিক আইনি পরামর্শদাতা হিসাবেও কাজ করেন। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি লকহেড কর্পোরেশনের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন।

মুসলিম-খ্রিস্টান সম্পর্ক[সম্পাদনা]

তাকলার ২০১০ সালের বই, খ্রিস্টান-ইসলামী ঐতিহ্য-এ, তিনি দুই ধর্মের মধ্যে আরো অধিক উপলব্ধি এবং সহানুভূতির জন্য আহ্বান জানান। তিনি অন্ধবিশ্বাসী ধর্মযাজকদের দৃশ্যে ঐতিহাসিক ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন করেন খ্রিস্টানদের তাদের গীর্জা নির্মাণ এবং তাদের নিজস্ব উপাসনালয়ে উপাসনা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি, জানান যে ইসলামের নবী মুহাম্মদ খ্রিস্টান উপায়ে মদিনায় তার মসজিদে প্রার্থনা করার জন্য নাজরান খ্রিস্টানদের একটি প্রতিনিধিদলকে অনুমতি দেন।[৩]

তাকলা অনুনয় করেন "আপনি খৃস্টান বা মুসলমান যাই হোন না কেন, আপনার হৃদয়, মন, এবং আচরণে ধর্মান্ধতা, ঘৃণা, এবং বর্জনকে কোন অনুমতি দিবেন নাহ।"[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Dr.Laila Takla: The First Female President of Inter-Parliamentary Union"। Egypt Magazine। Winter ২০০৮। ২০১১-১১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৬-০৪ 
  2. "Egypt State Information Service Winter 2008"। ১৩ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৯ 
  3. "Al-Ahram Weekly, Culture, "Between Conflict and Reconciliation""। ২৩ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৯