রুর

স্থানাঙ্ক: ৫১°৩০′ উত্তর ৭°৩০′ পূর্ব / ৫১.৫০০° উত্তর ৭.৫০০° পূর্ব / 51.500; 7.500
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(রুর অঞ্চল থেকে পুনর্নির্দেশিত)
রুর
জার্মান: Ruhrgebiet
রুর মহানগর
জার্মান: Metropole Ruhr
রুরের অফিসিয়াল সীলমোহর
লোগো
জার্মানিতে রুর অঞ্চলের মানচিত্র
জার্মানিতে রুর অঞ্চলের মানচিত্র
স্থানাঙ্ক: ৫১°৩০′ উত্তর ৭°৩০′ পূর্ব / ৫১.৫০০° উত্তর ৭.৫০০° পূর্ব / 51.500; 7.500
দেশ জার্মানি
রাজ্যউত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া
বৃহত্তম শহর
সরকার
 • শাসকরুর আঞ্চলিক সংঘ (Regionalverband Ruhr)
আয়তন
 • মহানগর৪,৪৩৫ বর্গকিমি (১,৭১২ বর্গমাইল)
সর্বোচ্চ উচ্চতা৪৪১ মিটার (১,৪৪৭ ফুট)
সর্বনিন্ম উচ্চতা১৩ মিটার (৪৩ ফুট)
জনসংখ্যা (২০২২)
 • পৌর এলাকা৫১,৪৭,৮২০
 • পৌর এলাকার জনঘনত্ব১,১৬০/বর্গকিমি (৩,০০০/বর্গমাইল)
 • মহানগর১,০৬,৮০,৭৮৩
জিডিপি[১]
 • মহানগর€১৬৯.৭ বিলিয়ন (২০২০)
সময় অঞ্চলমধ্যাঞ্চলীয় ইউরোপীয় সময় (ইউটিসি+০১:০০)
ওয়েবসাইটwww.rvr.ruhr

রুর (জার্মান: Ruhrgebiet, রূঅ্যগেবীট্, [ˈʁuːɐ̯ɡəˌbiːt] (শুনুন), কিংবা Ruhrpott, রূঅ্যপট্ জার্মান উচ্চারণ: [ˈʁuːɐ̯pɔt]) জার্মানির উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের এক বহুকেন্দ্রিক পৌর এলাকা। এটি জার্মানির সবচেয়ে বড় পৌর এলাকা এবং ২০১৭ সালে এর জনসংখ্যা ৫০ লাখের বেশি এবং জনঘনত্ব ২,৮০০ প্রতি বর্গকিমি।[২] বিভিন্ন বড় শহর নিয়ে গঠিত এই অঞ্চলের দক্ষিণে রুর নদী, পশ্চিমে রাইন নদী ও উত্তরে লিপে নদী। এটি বৃহত্তর রাইন-রুর মহানগর এলাকার একটি অংশ, যার জনসংখ্যা ১ কোটির বেশি এবং লন্ডনপ্যারিসের পর এটি পশ্চিম ইউরোপের তৃতীয় সবচেয়ে বড় মহানগর এলাকা।

পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে রুর অঞ্চলের শহরগুলি নিম্নরূপ: ডুইজবার্গ, ওবারহাউজেন, বটরপ, মুলহাইম আন ডার রুর, এসেন, গেলসেনকিরখেন, বখুম, হারনে, হাগেন, ডর্টমুন্ডহাম। এর মধ্যে ডর্টমুন্ড (জনসংখ্যা প্রায় ৬,১২,০৬৫), এসেন (জনসংখ্যা প্রায় ৫,৮৩,০০০) ও ডুইজবার্গ (জনসংখ্যা প্রায় ৪,৯৭,০০০) সবচেয়ে জনবহুল।[৩]

রুর অঞ্চলের কোনো প্রশাসনিক কেন্দ্র নেই; এখনকার প্রত্যেক শহরের নিজস্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থা রয়েছে, যদিও এসেন শহর ভিত্তিক রুর আঞ্চলিক সংঘ (জার্মান: Regionalverband Ruhr, সংক্ষেপে RVR) রয়েছে।[৪]

ভূগোল[সম্পাদনা]

রুর অঞ্চলের মানচিত্র। রুর অঞ্চলের সবচেয়ে সীমিত বা সংকীর্ণ বিস্তৃতি সবুজ রং দিয়ে চিহ্নিত, যা রুর আঞ্চলিক সংঘের সদস্য পৌরসভাগুলো নিয়ে গঠিত।

রুর অঞ্চলের পৌর ভূমিরূপ নিম্ন রাইন অববাহিকা থেকে পূর্বদিকে ওয়েস্টফালিয়া সমভূমি অবধি বিস্তৃত।

রুর আঞ্চলিক সংঘের মতে, এই অঞ্চলের ৩৭.৬% অংশ বিল্ট-আপ, অর্থাৎ এই অংশ প্রচুর ঘরবাড়ি দ্বারা নির্মিত। এই অঞ্চলের ৪০.৭% অংশ কৃষিক্ষেত্র, ১৭.৬% অংশ অরণ্য এবং বাকি অংশ জলাশয় ও অন্যান্য কারণে ব্যবহৃত জমি। শিল্পপ্রধান রুর অঞ্চলে চারটি গ্রামীণ জেলার অন্তর্ভুক্তির জন্য অঞ্চলটির এক বড় অংশ কৃষিক্ষেত্র ও অরণ্য। এছাড়া রুর অঞ্চলের শহর বরোগুলোর বহিঃস্থ অংশে গ্রামীণ চরিত্র বিরাজ করছে।

মানচিত্রে রুর অঞ্চলকে একক শহর বলে মনে হবে, কারণ সেখানে প্রত্যেক শহর বরোর মধ্যে কোনো স্পষ্ট বিভাজন নেই। সুতরাং রুর অঞ্চলকে এক বহুকেন্দ্রিক পৌর এলাকা বলে অভিহিত করা হয় এবং এই অঞ্চল জুড়ে একইরকম পৌর ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ইতিহাস বিরাজ করেছে।

এর ইতিহাসের জন্য রুর অঞ্চলের কাঠামো মিউনিখের মতো এককেন্দ্রিক পৌর এলাকার তুলনায় ভিন্ন, যেখানে একটি বড় শহর তার চারিদিকের বিভিন্ন ছোট শহরগ্রামকে গ্রাস করে নিয়েছে। বরং রুর অঞ্চলের প্রত্যেক শহর বরো ও পৌর জেলা শিল্প বিপ্লবের সময় পৃথকভাবে ও দ্রুতগতিতে বেড়ে উঠেছিল। কেন্দ্রীয় রুর অঞ্চলের জনঘনত্ব প্রায় ২,১০০ জন প্রতি বর্গকিমি, যা অন্যান্য জার্মান শহরের তুলনায় তেমন বেশি নয়।

জলবায়ু[সম্পাদনা]

রুর অঞ্চলের জলবায়ু সামুদ্রিক, যদিও এর অবস্থান অন্তর্দেশীয়। আটলান্টিক মহাসাগর থেকে নিম্নভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ুপ্রবাহ চরম তাপমাত্রাকে প্রশমিত করে, যদিও উচ্চ অক্ষাংশের জন্য সূর্যালোকের সময়কালের যথেষ্ট হেরফের ঘটে। এই সামুদ্রিক প্রভাবের ফলে এই অঞ্চলের জলবায়ু মেঘলা ও সিক্ত এবং এখনকার সূর্যালোক ঘণ্টা কম। গ্রীষ্মকালে গড় তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির ঘরে থাকে এবং শীতকালে গড় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কিছুটা উপরে থাকে।

একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। এই অঞ্চল তীব্র খরা (যেমন ২০১৮ সালের খরা), ৪০.০ °সে (১০৪.০ °ফা)-এর বেশি তাপমাত্রায় তাপপ্রবাহের (২০১৯) শিকার হয়েছিল।[৫]

এসেন-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য
মাস জানু ফেব্রু মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টে অক্টো নভে ডিসে বছর
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) ৪.৫
(৪০.১)
৫.৫
(৪১.৯)
৯.১
(৪৮.৪)
১২.৭
(৫৪.৯)
১৭.৬
(৬৩.৭)
১৯.৯
(৬৭.৮)
২২.২
(৭২.০)
২২.৩
(৭২.১)
১৮.৩
(৬৪.৯)
১৩.৭
(৫৬.৭)
৮.২
(৪৬.৮)
৫.৬
(৪২.১)
১৩.৩
(৫৫.৯)
দৈনিক গড় °সে (°ফা) ২.৪
(৩৬.৩)
২.৯
(৩৭.২)
৬.০
(৪২.৮)
৮.৯
(৪৮.০)
১৩.৪
(৫৬.১)
১৫.৮
(৬০.৪)
১৮.০
(৬৪.৪)
১৮.০
(৬৪.৪)
১৪.৭
(৫৮.৫)
১০.৭
(৫১.৩)
৫.৯
(৪২.৬)
৩.৬
(৩৮.৫)
১০.০
(৫০.০)
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) ০.২
(৩২.৪)
০.৩
(৩২.৫)
২.৯
(৩৭.২)
৫.০
(৪১.০)
৯.১
(৪৮.৪)
১১.৬
(৫২.৯)
১৩.৭
(৫৬.৭)
১৩.৭
(৫৬.৭)
১১.১
(৫২.০)
৭.৬
(৪৫.৭)
৩.৬
(৩৮.৫)
১.৬
(৩৪.৯)
৬.৭
(৪৪.১)
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) ৮৪.৫
(৩.৩৩)
৫৮.১
(২.২৯)
৭৮.২
(৩.০৮)
৬১.০
(২.৪০)
৭২.২
(২.৮৪)
৯২.৮
(৩.৬৫)
৮১.২
(৩.২০)
৭৮.৮
(৩.১০)
৭৮.০
(৩.০৭)
৭৫.১
(২.৯৬)
৮১.১
(৩.১৯)
৯৩.১
(৩.৬৭)
৯৩৪.১
(৩৬.৭৮)
অধঃক্ষেপণ দিনগুলির গড় ১৪.১ ১০.৫ ১৩.৬ ১১.১ ১১.১ ১২.০ ১০.৪ ৯.৯ ১১.২ ১০.৯ ১৩.৬ ১৪.১ ১৪২.৫
আপেক্ষিক আদ্রতার গড় (%) ৮৩ ৮২ ৭৮ ৭৫ ৭৪ ৭৬ ৭৮ ৮০ ৭৯ ৮১ ৮২ ৮০ ৭৯
মাসিক সূর্যালোক ঘণ্টার গড় ৪৩.৪ ৭৮.৩ ১০২.৩ ১৪৭.০ ১৯২.২ ১৮৩.০ ১৮৬.০ ১৮২.৯ ১৩৫.০ ১১১.৬ ৫৭.০ ৪০.৩ ১,৪৫৯
উৎস: বিশ্ব আবহাওয়াবিজ্ঞান সংগঠন (জাতিসংঘ),[৬] হংকং মানমন্দির[৭] সূর্যালোক ঘণ্টার জন্য

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Gross domestic product (GDP) at current market prices by metropolitan regions"ec.europa.eu 
  2. Ruhr, Regionalverband (২০১৮-০১-০৯)। "Zensus 2011" (জার্মান ভাষায়)। www.metropoleruhr.de। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৫ 
  3. {{cite web|url=https://statistikportal.dortmund.de/bevoelkerung/bevoelkerunginzahlen/#bev%C3%B6lkerungsstand)
  4. "Ruhr Regional Association"www.rvr.ruhr (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-২৮ 
  5. Schunck, Britta (২০২০-১২-১৭)। "41,2 Grad im Sommer 2019: Duisburg und Tönisvorst sind neue Hitze-Spitzenreiter in Deutschland"RP ONLINE (জার্মান ভাষায়)। ২৪ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২০ 
  6. "World Weather Information Service - Essen"worldweather.wmo.int। ১০ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০২১ 
  7. "Climatological Information for Essen, Germany" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে – Hong Kong Observatory

উদ্ধৃত উৎস[সম্পাদনা]

  • Botting, Douglas (১৯৮৫), From the Ruins of the Reich: Germany 1945–1949বিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন, New York: Crown Publishing, আইএসবিএন 978-0-517-55865-2 
  • Dickinson, Robert E. (১৯৪৫), The Regions of Germany, 7, London: Routledge, পৃষ্ঠা 70 
  • French Directorate for Economic Affairs (৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫), Memorandum on the separation of the German industrial regions 
  • Gareau, Frederick H. (জুন ১৯৬১), "Morgenthau's Plan for Industrial Disarmament in Germany", Western Political Quarterly, 14 (2): 517–53, জেস্টোর 443604, ডিওআই:10.2307/443604 
  • GI staff (১৯৬৬), German International, 10, পৃষ্ঠা 30 
  • Osmańczyk, Edmund Jan; Mango, Anthony (২০০৩), Encyclopedia of the United Nations and International Agreements: A to F, পৃষ্ঠা 1970 
  • Lane, Kathryn (২০০১), Germany: The Land, পৃষ্ঠা 24 
  • Levine, Alan J (১৯৯২), "Second Battle of the Ruhr", The Strategic Bombing of Germany: 1940–1945 (illustrated সংস্করণ), Greenwood Publishing Group, পৃষ্ঠা 172–174, আইএসবিএন 9780275943196 
  • Yoder, Amos (জুলাই ১৯৫৫), "The Ruhr Authority and the German Problem", Review of Politics, 17 (3): 345–358, এসটুসিআইডি 145465919, জেস্টোর 1404797, ডিওআই:10.1017/s0034670500014261 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]