রাওধা আতিফ

রাওধা আতিফ
জন্ম	মালদ্বীপ
জাতীয়তা	মালদ্বীপ
পেশা	মডেল অভিনেত্রী
উচ্চতা	৫ ফুট ৩ ইঞ্চি (১.৬০ মিটার)
পিতা-মাতা	মোহাম্মদ আতিফ (পিতা)

রাওধা আতিফ (১৮ মে ১৯৯৬ – ২৯ মার্চ ২০১৭) মালদ্বীপের একজন মডেল, অভিনেত্রী এবং রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী ছিলেন। যিনি রাজশাহীতে আত্মহত্যা করে মারা যান।

শিক্ষা ও কর্মজীবন

রাওধা মালদ্বীপের হিরিয়া স্কুল এবং ভিলা আন্তর্জাতিক উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি ১৪ বছর বয়সে মালদ্বীপের জাতীয় টেলিভিশনে পরিবেশ বিষক প্রচারণার মডেল ছিলেন। মালদ্বীপের ফটোগ্রাফারের ফটোশুটে অংশ নিয়ে ২০১৪ সালে মালদ্বীপে পরিচিত হন। অক্টোবর ২০১৬-এ তিনি ভোগ (ম্যাগাজিন) প্রচ্ছদে তার চিত্র প্রকাশ পায়। তিনি বাংলাদেশের রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়শোনা করেন। তিনি মালদ্বীপের উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে বৃত্তি পেয়েছিলেন।

মৃত্যু ও বিতর্ক

২৯ মার্চ ২০১৭ তারিখে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের আবাসিক হলের একটি কক্ষে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তার মৃতদেহ সহপাঠিরা প্রথম দেখতে পায় হয়। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয় । তার পিতা ও মালদ্বীপ দূতাবাস এ তদন্তে সম্মতি দেয়। তার পরিবার অভিযোগ করেছে যে চরমপন্থীগোষ্ঠি তাকে "ইসলামী পোশাক পরিধান করতে অস্বীকার করার" জন্যে হত্যা করেছিল। তবে তিনজন চিকিৎসক ময়নাতদন্ত শেষে বলেছেন রাওধা আত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যু প্রাথমিকভাবে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ, তদন্তকারী মালদ্বীপ পুলিশ সেবা দলের দ্বারা তদন্ত করা হয়। তাকে রাজশাহীর হেতেমখা কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার জানাযা ও দাফনের সময় পরিবারের সদস্যরাসহ মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত এশথে শান শাকির উপস্থিত ছিলেন।

রাওধার বাবা মোহাম্মদ আতিফও একজন ডাক্তার, তিনি এ মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলতে অস্বীকার করে। তিনি এ মৃত্যুর ঘটনায় কাশ্মিরের ছাত্র ও তার রুমমেট সিরাত পারভিনের বিরুদ্ধে ১০ এপ্রিল ২০১৭ সালে একটি মামলা দায়ের করেন। ২৪ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে তার দেহটি দ্বিতীয় তদন্ত সংস্থা সিআইডি কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডি তদন্ত বিভাগের তদন্ত অনুযায়ী রাওধা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রমাণ মিলে। অস্ট্রেলিয়ায় ৬০ মিনিটস এ মৃত্যুর তদন্ত করে জানায় এতে অসাধুতা জড়িয়ে থাকতে পারে।