মারিয়া মতিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মারিয়া মতিন
জন্ম
মারিয়া আশরাফ মতিন

(1984-01-18) ১৮ জানুয়ারি ১৯৮৪ (বয়স ৪০)
করাচি, পাকিস্তান
পেশামডেল
মডেলিং তথ্য
চুলের রঙবাদামী
চোখের রঙবাদামী
ওয়েবসাইটwww.mariyahamoten.com

মারিয়া মতিন একজন পাকিস্তানি-আমেরিকান সুন্দরী প্রতিযোগি যিনি ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত মিস পাকিস্কতান ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় রানার্স আপ হন।[১][২]

জীবনী[সম্পাদনা]

মারিয়া পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন। যখন তার বয়স মাত্র পাঁচ বছর তখন তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে পারি জমান। বর্তমানে তারা যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা।[৩] মারিয়া মতিন হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে তার ডিগ্রি রয়েছে।[৪] যুক্তরাষ্ট্রে তিনি একজন আমেরিকানকে বিয়ে করেন। বর্তমানে তারা টেক্সাসের হিউস্টনে বসবাস করছেন।

সুন্দরী প্রতিযোগি[সম্পাদনা]

মিস পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় মারিয়া শীর্ষ পাঁচ জনের মধ্যে স্থান করে নেন।[৫] তার এই সাফল্যে অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষ তাকে ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত মিস ট্যুরিজম কুইন ইন্টারন্যাশনাল পাজ্যান্ট প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠায়। সেখানে তিনি ৮৭ টি দেশের মধ্যে মিস চ্যারিটি টাইটেল পুরস্কার জিতে নেনে।

এরপরের বছর তিনি মিস বিকিনি অব দ্যা ইউনিভার্স পাজ্যান্ট-এ অংশগ্রহণ করেন।[৬] চীনের বেইহাই-এ এটি অনুষ্ঠিত হয়।[৭] এটি পাকিস্তান ও সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছুটা কড়া সমালোচনার জন্ম দেয়। কারণ এটিই ছিল পাকিস্তান হতে প্রথম কোন নারীর বিকিনি পাজ্যান্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।[৮] এ ব্যাপারে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়,

আমরা এ ব্যাপারে আমাদের ওয়াশিংটন ও বেইজিং দূতাবাসকে জানিয়েছি। কারণ এটি আমাদের সংস্কৃতি, নীতি, ধর্মের পরিপন্থী

— আব্দুল হাফিজ চৌধূরী, সংস্কৃতি মন্ত্রী [৯]

যেহেতু মারিয়া একটি ইসলামিক জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করছিল তাই এই প্রতিযোগীতায় তাকে নিয়ে অনেক আলাপ-আলোচনাও বেশি ছিল। সভাবতই মারিয়া মতিন এই প্রতিযোগিতায় সেরা মিস প্রেস টাইটেল জিতে নেয়।[১০][১১]

এরপরে মারিয়া মতিন পাকিস্তানের হয়ে আরো কিছু আন্তর্জাতিক পাজ্যান্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।[১২][১৩]

সমালোচনা[সম্পাদনা]

২০০৬ সালে পাকিস্তান সরকার হতে মারিয়ার বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করা হয় কারণ তিনি মিস পাকিস্তান বিকিনি শব্দটি ব্যবহার করেন। কারণ মারিয়াই প্রথম কোন নারী যে ইসলামিক প্রথার বিরুদ্ধে গিয়ে কোন আন্তর্জাতিক বিকিনি বিউটি পাজ্যান্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। সারাবিশ্বের মুসলিম নেতারাও তার বিরুদ্ধে কথা বলেন যখন তিনি মিস প্রেস পুরস্কার পান।[১৪][১৫] মারিয়াকে নিয়ে এতো কড়া সমালোচনার জন্য তিনি ২০০৭ সালের সেক্সি সাউথ এশিয়ান গার্লস পুঞ্জিকার কভারে স্থান পান।[১৬][১৬][১৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৪-০৮-৩১ তারিখে Houston Press
  2. [২] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে Fashion Central
  3. "Mariyah Moten"। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৪ 
  4. Oaklander, Mandy. Houston Press. Tuesday August 16, 2011. 1 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ মার্চ ২০১৪ তারিখে. Retrieved on October 20, 2011.
  5. "Archived copy"। ২০১১-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-১৬  The Asian Today
  6. [৩] China Daily
  7. "A first: Pak Miss Bikini" 
  8. "Archived copy"। ২০০৭-০২-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-০৪  Tribune (Pakistan)
  9. "হাউস্টনে বিখ্যাত ৫ জন ভারতীয় ও পাকিস্তানি ব্যক্তি"। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২০ 
  10. "Archived copy"। ২০০৭-০৪-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-০৪  Daily Times
  11. [৪] Dawn
  12. "MissIntercontinental.com - The most beautiful women of all continents" 
  13. [৫] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে Tribune (India)
  14. [৬] Daily Mail
  15. [৭] Times of India
  16. [৮] Gulf News
  17. [৯] DNA India

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]