মাধুরী বরথওয়াল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাধুরী বরথওয়াল
জন্ম১০ই জুন ১৯৫০[১]
পৌড়ির যমকেশ্বর ব্লকের চাই দামরাদা গ্রাম, উত্তরাখণ্ড[১]
জাতীয়তাভারত
পেশাগায়ক, শিক্ষক
নিয়োগকারীআকাশবাণী
পরিচিতির কারণলোকগীতি গায়ক
পিতা-মাতাচন্দ্রমণি উনিয়াল (বাবা)[১]

মাধুরী বরথওয়াল (বিবাহপূর্ব উনিয়াল) হলেন ভারতের উত্তরাখণ্ডের একজন লোকশিল্পী। তিনি আকাশবাণীর সঙ্গীত রচয়িতা হিসেবে প্রথম মহিলা। তিনিই প্রথম মহিলা গাড়োয়ালি সঙ্গীতশিল্পী, যিনি একজন সঙ্গীত শিক্ষক হয়েছেন। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ তাঁকে নারী শক্তি পুরস্কারে ভূষিত করেন। তিনি ২০২২ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এই সম্মান পান।[২]

জীবন[সম্পাদনা]

বরথওয়ালের বাবা চন্দ্রমণি উনিয়াল ছিলেন একজন গায়ক এবং সেতারবাদক।[৩] উত্তরাখণ্ডের লেন্সডাউন থেকে মাধুরী মিউজিক কম্পোজিশনে ডিগ্রি লাভ করেছিলেন।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

ডিগ্রি নেওয়ার পর, মাধুরী লেন্সডাউনে তাঁর নিজের ইন্টারমিডিয়েট কলেজে সঙ্গীত শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান। সেখানে তিনি বহু বছর ধরে গান শিখিয়েছেন। তবে একইসাথে তিনি আকাশবাণী নাজিবাবাদে প্রথম সঙ্গীত রচয়িতা হিসাবে বহু বছর ধরে সঙ্গীত রচনা এবং পরিচালনার কাজ করে গেছেন।[৪] তিনি উত্তরাখণ্ডের লোকসঙ্গীতের একজন উৎসাহী পৃষ্ঠপোষক হয়ে ওঠেন। তাঁর রেডিও অনুষ্ঠান "ধরোহর" এই অঞ্চলের ঐতিহ্য এবং লোকসংগীতকে উৎসর্গ করে তৈরি হয়েছিল।[৫] তিনি উত্তরাখণ্ডে ব্যবহৃত প্রতিটি বাদ্যযন্ত্র জানেন বলে জানা যায়। তিনি অন্যান্য সঙ্গীতশিল্পীদের গান রেকর্ড করতে সাহায্য করেছেন।[৩] তিনি উত্তরাখণ্ডের প্রতিটি অংশে গিয়েছিলেন এবং বিপুল সংখ্যক শিশুদের বিশেষ করে উদীয়মান সংগীতশিল্পী এবং স্থানীয় উপভাষায় গায়কদের সঙ্গীত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করেছিলেন। আমাদের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের ভান্ডার হিসাবে বিবেচিত উত্তরাখণ্ডের প্রাচীন এবং পুরানো বাদ্যযন্ত্রগুলি যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করার কৃতিত্বও তাঁকে দেওয়া যায়। তাঁর অনুপ্রেরণাদাতা পিতা চন্দ্রমণি উনিয়াল একজন সঙ্গীত রচয়িতা হিসাবে নিজের মেয়ের ভবিষ্যৎ গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।[১]

একজন শিক্ষিকা হিসেবে যাদের তিনি শিখিয়েছেন, তাদের অনেককেই তিনি অনুপ্রাণিত করেছেন পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার জন্য।[৫] তিনি নিজের সহকর্মী গাড়োয়ালি গায়ক নরেন্দ্র সিং নেগির সাথে গান করেছেন।[৪]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

বরথওয়ালের কাজকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছিল নারী শক্তি পুরস্কার দিয়ে। ২০১৯ সালের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে এই পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেন, তাঁর জীবনের ষাট বছর সঙ্গীত, সম্প্রচার এবং শিক্ষাদানের জন্য উৎসর্গ করার জন্য।[৫] উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছিল যে তিনি সঙ্গীত সংরক্ষণের জন্য "নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন"।[৬] সেদিন প্রায় চল্লিশজন নারী পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন।[৪] এছাড়া এই পুরস্কার তিনটি গোষ্ঠীকেও দেওয়া হয়েছিল।[৭]

এর আগে ২০১৮ সালে, তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কার, উত্তরাখণ্ড রত্ন এবং উত্তরাখণ্ড ভূষণ সহ অন্যান্য পুরস্কার পেয়েছেন। ২০২২ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন।।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "President of India felicitates Dr. Madhuri Barthwal with prestigious "WOMEN EMPOWERMENT AWARD""। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  2. "Who is Madhuri Barthwal who was honored with Padma Shri award, know"। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  3. "Salute to this lady who saved Uttarakhand's folk culture, the folk culture of Devbhoomi"www.rajyasameeksha.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১২ 
  4. Negi, Sunil। "President of India felicitates Dr. Madhuri Barthwal with prestigious "WOMEN EMPOWERMENT AWARD""NewsViewsNetwork (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১২ 
  5. "Dr Madhuri Barthwal's citation"Official Account of the Ministry of Women and Child Development, Government of India। ৮ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২১ 
  6. "Dr Madhuri Barthwal"www.facebook.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১২ 
  7. P, Ambika; Mar 8, it / TNN /; 2019; Ist, 23:03। "From masons, barbers to creators of forests and sustainable homes, nari shakti takes charge"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৭ 

টেমপ্লেট:Nari Shakti Puraskar