মাঝের চর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাঝের চর
স্থানীয় নাম:
মাঝের চর
ভূগোল
অবস্থানবলেশ্বর নদী
দৈর্ঘ্য২.৫ কিমি (১.৫৫ মাইল)
প্রস্থ১.৫ কিমি (০.৯৩ মাইল)
প্রশাসন
জনপরিসংখ্যান
জনসংখ্যা১২০০ (প্রায়)

মাঝের চর বাংলাদেশের সুন্দরবন-ঘেঁষা বলেশ্বর নদের মধ্যবর্তী একটি চর বা দ্বীপ। এ দ্বীপের আয়তন ৬৪০ একর। বলেশ্বর নদের বুকে গড়ে ওঠা মাঝের চর দৈর্ঘ্যে প্রায় ২.৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থে ১.৪ কিলোমিটার। ৪০ এর দশকে এ দ্বীপটি জেগে ওঠে।[১][২]

অবস্থান[সম্পাদনা]

সুন্দরবনের তটরেখা থেকে মাঝের চরের দূরত্ব প্রায় ৪ কিলোমিটার। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ী নামক স্থান থেকে নদীপথে মাঝের চরের দূরত্ব এক থেকে দেড় কিলোমিটার। এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে নদীপথে দূরত্ব ২ থেকে ৩ কিলোমিটার। এ চরের এক অংশ শরণখোলা ও অন্য অংশ মঠবাড়িয়া অঞ্চলে পরেছে।

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

এ দ্বীপে উপকুলীয় বিভিন্ন উপজেলা লোকজন এসে বসতি স্থাপন করছে। এক সময় এখানে বালুচর থাকলেও বিগত ৬০ থেকে ৭০ বছর আগে থেকে এখানে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ, গুল্ম-লতা, গোলপাতা জন্মাচ্ছে। বর্তমানে সুন্দরবন অঞ্চলে মাছ শিকার করে থাকেন এমন জেলেরা এ দ্বীপকে নানাভাবে কাজে লাগাচ্ছেন।[১][৩]

জীবন-যাত্রা[সম্পাদনা]

২০১৬ সালের হিসাবে মাঝের চরে ১২০ টি জেলে ও কৃষক পরিবার ও প্রায় ১২০০ মানুষ বসবাস করে। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে এ দ্বীপের চার বাসিন্দা নিহত হন এবং প্রায় শতাধিক আহত হন। এছাড়া প্রায় সব বাড়ি-ঘরই ভেঙ্গে গিয়েছিল। পরবর্তীতে পুনর্বাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এখানে পাকা ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, সাইক্লোন শেল্টার, হাসপাতাল, মসজিদ, প্রাথমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি নির্মাণ ও পুকুর খনন করা হয়। এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দারাই জেলে।[৪][৩]

সম্ভাবনা[সম্পাদনা]

জনকল্যাণে মাঝের চরকে কাজে লাগানোর জন্য এ দ্বীপ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে।[১] এখান থেকে একইসাথে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরের সৌন্দর্য অবলোকন করা যায় বলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এখানে পর্যটন কেন্দ্র করার উদ্যোগ নিয়েছে।[৫]

যাতায়াত[সম্পাদনা]

এ দ্বীপের সাথে একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে নৌকা বা ট্রলার।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "'মাঝের চর' ঘিরে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোনের পরিকল্পনা | বাংলাদেশ প্রতিদিন"Bangladesh Pratidin (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৪ 
  2. "তুষখালী ইউনিয়ন" |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)তুষখালি ইউনিয়ন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "মঠবাড়িয়ার মাঝের চর বিলীনের পথে | সারাদেশ | The Daily Ittefaq"archive1.ittefaq.com.bd। ২০২০-১০-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৪ 
  4. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "মাঝের চরে তামাশার ঘর"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৪ 
  5. "সুন্দরবনসহ তিন অঞ্চলে পর্যটন পার্ক হচ্ছে"সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৭-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৪