ভৃগুকুমার ফুকন

ভৃগুকুমার ফুকন
Member of Legislative Assembly Dispur constituency
কাজের মেয়াদ 1985–2001
পূর্বসূরী	Shah Jalal Ali
উত্তরসূরী	Himanta Biswa Sarma
সংসদীয় এলাকা	Jalukbari
Home Minister of Assam
কাজের মেয়াদ 1985–1990
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম	(১৯৫৬-০৪-০৭)৭ এপ্রিল ১৯৫৬ Sibsagar, Assam
মৃত্যু	২০ মার্চ ২০০৬(2006-03-20) (বয়স ৪৯) All India Institute of Medical Sciences, New Delhi
জাতীয়তা	Indian
রাজনৈতিক দল	Asom Gana Parishad (1985-1991), (1994-1996), (2001-2006)
অন্যান্য রাজনৈতিক দল	Natun Asom Gana Parishad (1991-1994) Nationalist Congress Party
দাম্পত্য সঙ্গী	Indira Phukan
সন্তান	Upasa Phukan
প্রাক্তন শিক্ষার্থী	Dibrugarh University Gauhati University
পেশা	Politician

ভৃগু ফুকন (৭ এপ্রিল ১৯৫৬ - ২০ মার্চ ২০০৬) ছিলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ যিনি অসম গণ পরিষদের নেতা ছিলেন এবং প্রথম মহন্ত মন্ত্রিসভায় আসাম সরকারের একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন আসাম চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী তিনজনের একজন। ফুকন ১৯৫৬ সালের ২৫ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি মর্যাদাপূর্ণ জালুকবাড়ি আসন থেকে আসাম বিধানসভায় পরপর তিনবার নির্বাচিত হন।

জীবনের প্রথমার্ধ

তিনি ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ছিলেন। তিনি গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ডিগ্রিও অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোতে তিনি ছাত্র ইউনিয়ন আন্দোলনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত হয়ে পড়েন যা তাকে নেতৃত্বে নিয়ে যায়। তিনি ছয় বছর ধরে বিদেশী বিরোধী আন্দোলনের অগ্রগামী ছিলেন যে সময়ে আসাম নজিরবিহীন রক্তপাত দ্বারা কেঁপে উঠেছিল যার ফলে প্রায় ৯০০ জন মারা গিয়েছিল।

রাজনৈতিক পেশা

তিনি ১৯৭৯-৮৫ সালে অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং বাংলাদেশিদের আগমনের বিষয়ে প্রফুল্ল কুমার মহন্তের সাথে যৌথভাবে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। তিনি প্রফুল্ল কুমার মহন্তের সাথে ১৯৮৫ সালের আসাম চুক্তির তিনজন স্বাক্ষরকারীদের একজন ছিলেন।

১৯৮৫ সালে ঐতিহাসিক আসাম চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে আসাম আন্দোলনের সমাপ্তির পর, রাজ্যে শান্তি পুনরুদ্ধার করা হয় এবং ফুকন অন্যান্যদের সাথে অসম গণ পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরে, মহন্তের মুখ্যমন্ত্রীত্বে অসম গণ পরিষদ ঐতিহাসিক বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তিনি ২৯ বছর বয়সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন। ফুকন পরে মহন্তের সাথে ছিটকে যান এবং ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অসম গণ পরিষদ থেকে বেরিয়ে এসে নতুন অসম গণ পরিষদ গঠন করেন।

দুই দল তিন বছর পর একত্রিত হয় এবং ফুকন অসম গণ পরিষদের কার্যকরী সভাপতি নিযুক্ত হন। মহন্তের সাথে মতপার্থক্যের কারণে ১৯৯৬ সালে তিনি আবার অসম গণ পরিষদ ছেড়ে দেন এবং অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দেন।

২০০১ সালে, ফুকন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী হিসাবে কংগ্রেসের হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছে হেরে যান, একজন ছাত্র নেতা যাকে তিনি আগে তৈরি করেছিলেন এবং যিনি ২০১৫ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।

ফুকন আবার ২০০৪ সালে অসম গণ পরিষদে ফিরে আসেন এবং গুয়াহাটি কেন্দ্র থেকে লোকসভা (সংসদ) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কিন্তু হেরে যান।

ব্যক্তিগত জীবন

তিনি ২০ মার্চ ২০০৬ সালে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস, নিউ দিল্লিতে একাধিক অঙ্গ ব্যর্থতার কারণে মারা যান এবং তার স্ত্রী ইন্দিরা এবং একটি কন্যা উপসা রেখে গেছেন।