ব্যবহারকারী আলাপ:M R U Sarker

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্প্রতিক মন্তব্য: ZI Jony কর্তৃক ৪ বছর পূর্বে "ব্যবহারকারীর পাতা" অনুচ্ছেদে

বীরাঙ্গনা সখিনা ও ফিরোজ খাঁ এর প্রেম কাহিনী[সম্পাদনা]

সৃষ্টির উষালগ্ন থেকে নরনারীর মাঝে চলে আসছে প্রেম। প্রেমের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরন্তন। যুগে যুগে প্রেম জন্ম দিয়েছে নানা ঘটনার, নানা কিংবদন্তীর। জীবন ক্ষণস্থায়ী কিন্তু প্রেম শ্বাশত। তেমনি এক প্রেমের ঘটনা ঘটেছিল অনেক অনেক দিন আগে, সম্রাট জাহাঙ্গীর এর শাসনামলে। বাংলাদেশের এক ঐতিহ্যবাহী জেলা ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা এর কেল্লাতাজপুর গ্রামে। যুগ যুগ ধরে সেই প্রেম কাহিনী বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসী তথা বাংলাদেশের মানুষের মনে গেঁথে আছে। সেই প্রেম কাহিনী নিয়ে রচিত হয়েছে পালাগান এবং পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।

কেল্লা তাজপুরের নবাব ওমর খাঁ[সম্পাদনা]

মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে কেল্লাতাজপুরেরনবাব ছিলেন ওমর খাঁ। বর্তমান ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুরে ছিল তার রাজপ্রাসাদ। বিশাল এলাকা জুড়ে কারুকার্যময় প্রাসাদটি ছিল ৪০ ফুট উঁচু ও ৪০ ফুট প্রশস্ত দেয়াল দিয়ে ঘেরা এবং সুরক্ষিত। এই কেল্লাতাজপুরের নবাব ওমর খাঁর কন্যা ছিলেন বীরাঙ্গনা সখিনা ওমর খাঁ তার কন্যাকে পূঁথিগত বিদ্যা ছাড়াও যুদ্ধবিদ্যাসহ যাবতীয় বিদ্যায় শিক্ষা দান করেন। ফলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে সখীনা যুদ্ধবিদ্যায় যথেষ্ট পারদর্শী হয়ে ওঠেন। রূপে, গুণে ও বীরত্বে সখিনার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে। কতশত বীর যুবকদের মনে দোলা দিত বীরাঙ্গনা সখিনা নামটি! তেমনি একজন ছিলেন কিশোরগঞ্জ এর জঙ্গলবাড়ির নবাব ফিরোজ খাঁ।

বাংলার বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম বীর ঈশা খাঁ[সম্পাদনা]

বাংলার বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম বীর ঈশাখাঁ এর কথা আমরা সকলেই জানি। ঈশা খাঁর পিতা ছিলেন কালীদাস গজদানী। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে গৌড়ের শাসনকর্তা ছিলেন হোসেন শাহ। তার পরামর্শে কালিদাস গজদানী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং তার কন্যার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই

বংশেরই সন্তান ছিলেন ফিরোজ খাঁ। তিনি ছিলেন ঈশাখাঁর নাতি। বীরাঙ্গনা সখিনার রূপ গুণের কথা পৌঁছেছিল ফিরোজ খাঁর কানেও। তার মনেও জন্ম নেয় বীরাঙ্গনা সখিনার প্রতি প্রণয় আসক্তি। অপরূপ সুন্দরী সখিনাকে এক পলক দেখার জন্য তার মন প্রাণ ব্যাকুল হয়ে ওঠে। কিন্তু দেওয়ান ওমর খাঁর পরিবারের কঠোর পর্দাপ্রথা ফিরোজের ভালোবাসার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। অধিকন্তু কেল্লা তাজপুরের নবাব ওমর খাঁর পরিবারের সাথে জঙ্গলবাড়ীর নবাবদের পারিবারিক বিরোধ ছিল তুঙ্গে। তবু ফিরোজ খাঁ এক কৌশলের আশ্রয় নিয়ে বীরাঙ্গনা সখিনার সাথে যোগাযোগ করেন। দরিয়া নামক এক সুন্দরী নারীকে তসিব বিক্রেতা সাজিয়ে ওমর খাঁর প্রাসাদে সখিনার বাসগৃহে পাঠান তিনি। দরিয়ার মুখে ফিরোজ খাঁর অসামান্য রূপ-গুণের কথা শুনে সদ্য যৌবন প্রাপ্তা সখিনা নিজের অজান্তেই মন প্রাণ সপে দেয় ফিরোজের চরণতলে। তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রণয়ের সম্পর্ক।

ব্যবহারকারীর পাতা[সম্পাদনা]

@M R U Sarker: একজন ব্যবহারকারীর পাতায় কী থাকতে পারে এবং কী থাকা উচিত নয় ভালো ভাবে জানুন এবং তারপর আপনার ব্যবহারকারীর পাতা পরিবর্তন করুন। সম্পন্ন বিস্তারিত জানতে এখানে দেখুন। ধন্যবাদ! জনি (আলাপ) ০৯:৫৬, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন