বিষয়বস্তুতে চলুন

ব্যবহারকারী:Owais Al Qarni/খেলাঘর ৬

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

২০০৮ সালের হিসাব অনুযায়ী শুধুমাত্র বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ নিন্মলিখিত পর্যায়ের প্রায় ৯০০০টি মাদ্রাসা তত্বাবধান করে থাকেন।:

কওমী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মাদ্রাসাগুলি
ধরন অ্যানালগ / বিবরণ # বিদ্যালয়*
তাকমিল মাস্টার্স ডিগ্রী ৩০০
ফাযিল স্নাতক ২০০
সানুভিয়া আম্মাহ মাধ্যমিক ১০০০
মুতা্ওয়াছসিতাহ নিম্ন মাধ্যমিক ২০০০
ইবতিদাইয়্যা প্রাথমিক ৩০০০
তাহফিজুল কুরআন বা হিফজুল কুরআন কুরআন এর মেমোরাইজেশন বা কুরআর মুখস্থবিদ্যা ২০০০
*মাদ্রাসাগুলিকে কিছু একাধিক স্তরের প্রস্তাব করা হয়, যেহেতু সর্বোচ্চ শিক্ষা স্তর অনুযায়ী তালিকাভুক্ত করা হয়ে থাকে।

পাঠ্যক্রম[সম্পাদনা]

(ফিকহ ২৪১-২৪৩) কওমী মাদ্রাসার বর্তমান পাঠ্যসূচি ও শিক্ষাস্তর: বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসাসমূহ দরসে নিজামিয়া সিলেবাসকে অনুসরণ করে থাকে। বড় বড় অনেক মাদ্রাসা ৯টি শ্রেণিতে, আবার কোনো কোনো মাদ্রাসা ১৫টি শ্রেণীতে বিভক্ত করে শিক্ষাকার্যক্রম শেষ করে। প্রতি আরবী মাসের শাওয়াল মাসে তাদের শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়ে রমজান মাসের পূর্বেই বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করে। কোনো কোনো মাদ্রাসা তাদের নিজস্ব উদ্যেগে গঠিত বেসরকারী ‘কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে’র’৩০ অধীনে পরীক্ষা গ্রহণ করে সনদ দিয়ে থাকে।৩১ তবে অধিকাংশ মাদ্রাসাই নিজস্ব উদ্যোগে পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকে। ৯টিশ্রেণি নিম্নরূপ, ১. ইবতেদায়ী আউয়াল, ২. ইবতিদায়ী সানী, ৩.উসতানী আউয়াল, ৪.উসতানী সানী, ৫. ছানুবী আউয়াল, ৬. ছানুবী সানী, ৭.নেহারী আউয়াল, ৮.নেহারী সানী ও ৯. তাকমিল।৩২ যে সকল মাদ্রসায় ১৫টি শ্রেণি রয়েছে তারা সাধারণত বাংল, আরবী ও উদুর্ পড়ার প্রান্তিক যোগ্যতা থাকলে মক্তব আউয়ালে ভর্তি করে। মক্তব শিক্ষায় মক্তব আঊয়াল থেকে পাঞ্জম পর্যন্ত ৫বছরে ৫টি শ্রেণীর পড়া সমাপ্ত হয়। বাকী ১০টি শ্রেণির নাম: কোনো কোনো মূল কিতাবের (বইয়ের) নামানুসারে করা হয়ে থাকে। সাথে আনুসাঙ্গিক কিতাবাদিও পড়ানো হয়। ১ম পঁাচটির পরবতর্ী শ্রেণীসমূহের নাম হল: ৬ষ্ঠ শ্রেণি: মূল কিতাব ‘আজিজুল মুবতাদী’। এর কওমী নাম ‘ছাফেলা আউয়াল’। এ শ্রেণির পাঠ্যে অন্যান্য কিতাব হল: কাওয়াইদে ছাদী, তাইছিরুল মোবতাদী, ফাসর্ী কী পহেলী, কারীমা, তারিখুল ইসলাম ১ম খন্ড, ইরশাদুল কারী, কুরআন মাজীদ নাজেরা ১ম পারা ও ৬ষ্ঠ শ্রেণি উপযোগী বাংলা, ইংরেজী ও গণিত। ৭ম শ্রেণি: মূল কিতাব ‘মিজানুচ্ছরফ’। এর কওমী নাম ‘ছাফেলা দুয়োম’। এ শ্রেণির পাঠ্যে অন্যান্য কিতাব হলো: মিজান, মুনশায়ীব, পাঞ্জেগঞ্জ, মালাবু্দ্দা মিনহু-১ম থেকে যাকাত পর্যন্ত, আরবী ছাফওয়াতুল মাছাদীর, গোলেস্তান২৯. ঝযড়নধ-ঊ-ঞধসরৎ-ঙ-ঞধৎধহয়র ফধঃৎষ ঁষড়ড়স ঘড়ফধিঃঁষ, ওঁপশহড়, ওহফরধ, গধৎপয-১৯৯০। ৩০. বেসরকারীভাকে যেসকল কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডসমূহ রয়েছে তা হল: ১. দারুল মাদারিস আল-ইসলামীয়া আলআহলিয়া বাংলাদেশ, পটিয়া, ২. দীনী শিক্ষা বোর্ড, হবিগঞ্জ, ৩. আজাদ দীনী এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ, বারকোট, সিলেট, ৪. আজাদ দীনী এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ, কানাইঘাট, সিলেট, ৫. এদারায়ে তালিমিয়া, বিবাড়িয়া, ৬. বেফাকুল মাদারেসিল গহরডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, উল্লিখিত বোর্ডসমূহ নিকটবতর্ী আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কোর্স কারিকুলাম নির্ধারণ ও পরীক্ষাসমূহ গ্রহণ করে থাকে। আর সমগ্রদেশের কওমী মাদ্রাসাসমূহের একটি বড় অংশ সম্মিলিতভাবে ঢাকায় একটি শিক্ষা বোর্ড গঠন করেছে যার নাম ৭. বেফাকুল মাদারেসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ) ৩১. এ-সকল বোর্ড সমূহের অধীনে কওমী শিক্ষাধারাকে সাধারণ শিক্ষা ধারার অনুরূপ ১৬টি শ্রেণীতে বিভক্ত করে পরীক্ষাসমূহ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। যেমন: ১. প্রাইমারী বা মারহালাতুল ইবতিদাইয়্যাহ, ২. নিম্ন মাধ্যমিক বা মারহালাতুল মুতাওয়াসসিতাহ, ৩. মাধ্যমিক বা মারহালা সানুবিয়া উলইয়া, ৪. স্নাতক বা মারহালাতুল ফযীলত ও ৫. স্নতকোত্তর বা মারহালাতুত তাকমীল। (কওমী মাদ্রাসা পরিচিতি, ঢাকা: বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ১৯৮৪ , পৃ. ১৫ ) ৩২. শ্রেণীসমূহের নাম ঢাকার লালবাগ ‘জামেয়া-ই-কুরঅনিয়া আরাবিয়ায়’ সংরক্ষিত রুটিন থেকে সংগৃহীত


বাবে আউয়াল ও হাসতম, তালিখুল ইসলাম ২য় খণ্ড, নুযাহাতুল ক্বারী, কুরআন মাজীদ নাজেরা ১ম থেকে ১০ পারা ও হেফজ ফাতিহ থেকে সূরায় বুরুজ পর্যন্ত ও ৭ম শ্রেণীর উপযোগী বাংলা ও ইংরেজী। ৮ম শ্রেণি: মূল কিতাব ‘নাহুবে মীর’। এর কওমী নাম ‘ছাফেলা সুয়োম’। এ-শ্রেণির পাঠ্যে অন্যান্য কিতাব হলো: ইলমে নুহু শরহে মিয়াতে আমেল, ইলমুচ্ছিগাগ, তাইছিরুল মানতিক, তারিখুল ইসলাম ৩য় খণ্ড, মুফিদুত তালেবীন, মালাবুদ্দাহ মিনহু-যাকাত থেকে শেষ পর্যন্ত, আছান কাওয়াইদে উদুর্, জামালুল কুরআন, কুরআন মাজীদ নাজেরা মধ্যম ১০ পারা ও হেফজ সূরা ফাতির পর্যন্ত ও ৮ম শ্রেণী উপযোগী বাংলা ও ইংরেজী। ৯ম শ্রেণি: মূল কিতাব ‘হিদায়তুন্নাহু’। এর কওমী নাম ‘ছাফেলা চাহারম’। এ-শ্রেণীর পাঠ্যে অন্যান্য কিতাব হলো: হেদায়তুন্নাহু, মোফিদুত তুলাবা, মিরকাত ছিরতে খাতিমুল আম্বিয়া, ফসুলে আকবরী, নূরুল ইজাজে রাউজাতুল আদব, হিদায়াতুত তিলমিয ১ম খণ্ড, ফাওয়াঈদে মক্কীয়া, কুরআন মাজীদের নাজেরা শেষ ১০পারা ও হিফজ আমাপাড়া। ১০ম শ্রেণি: মূল কিতাব ‘কাফিয়া’। এর কওমী নাম ‘আলীয়া আউয়াল’। এ শ্রেণির পাঠ্যে অন্যান্য কিতাব হলো: কাফিয়া, কুদুরী, বুয়ুউ থেকে শেষ পর্যন্ত, নফহাতুল আরব, শরহে আহযিব, উসুলুশ্ শাশী, তরজমাতুল কুরআন মধ্যম পারা, হেদায়াতুত তিলমিয ২য় খণ্ড ও তারিখে মিল্লাত ১ম খণ্ড। একদশ শ্রেণি: মূল কিতাব ‘শরহে জা’মী’। এর কওমী নাম ‘আলীয়া দুয়োম’। এ-শ্রেণির পাঠ্যে অন্যান্য কিতাব হল: শরহু জা’মী, নূরুল আনোয়ার, ফনজুদ্দাকাইক, কুববী তাহদিকাত, সিরাজী, তরজামাতুল কুরআন শেষ ১০পারা, দুরুসুল বালাগাত ও হাদিয়াতুল মারাজিয়া ১ম খণ্ড। দ্বাদশ শ্রেণি: মূল কিতাব ‘মোখতাছারুল মা’য়ানী’। এর কওমী নাম ‘আলীয়া ছুয়োম’। এ-শ্রেণীর পাঠ্যে অন্যান্য কিতাব হলো: মাখতাছারুল মা’য়ানী ফন্নে মানি ও বয়ান, তালখিছুল মিপ্তাহ ফন্নেবদী, শরহে ওয়াকেয়া ১ম ও ২য় খণ্ড, কুতবী তাছাউরাত, মাকামাতে হারিরী, ১ম মোকাম হাদীয়াতুল মারজিয়া ২য় খণ্ড, হুছামী, তরজমাতুল কুরআন ১থেকে ১০ম পারা। ত্রয়োদশ শ্রেণি: মূল কিতাব ‘জালালাইন’। এর কওমী নাম ‘আলীয়া ছাহারাম’। এ-শ্রেণীর পাঠ্যে অন্যান্য কিতাব হলো:জালালাইন শরীফ, ফাউজুল কবির, হেদায়া ১ম ও ২য় খণ্ড, দেওয়ান-মোতানব্বি, ছুল্লামুল উলূম, মায়যুঝি, তরীকা ইলাল ইনসা ২য় খণ্ড।৩৩ ১৯৭১ সালের পর ইসলামী শিক্ষার উচ্চ স্তরে দরসে নিজামী বা কওমী মাদ্রসায় পূর্বের যে পাঠ্যক্রম অনুকরণ করা হত তা আর থাকে নি। সময়ের বিবর্তনে এ সংশোধন -সংযোজন করা হয়েছে। তখনকার সময় কেন্দ্রীয় ভাবে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় পরীক্ষা পদ্ধতি , সনদ প্রদান, শিক্ষক নিযুক্তি, শিক্ষার মান যাচাই ইত্যাদি বিষয়ে মাদ্রাসাগুলোতে বিভিন্ন অসু িবধা বিরাজ করছিল। ১৯৭৮ খ্রি. বেফাক প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পর থেকে দরসে নিজামী মাদ্রাসা শিক্ষার উচ্চস্তরের জন্য নিম্নবর্ণিত পাঠ্যসূচি অনুকরণ করা হচ্ছে। মারহালাতুল ফযীলত (স্নাতক ডিগ্রী) ১ম বর্ষ: ১। তাফসীর-১১ পারা-৩০ পারা, বাংলা অনুবাদ ২। হাদীস রিয়াদুস সালেহীন ৩। ফিক্হ হিদায়া -১ম খণ্ড ৪। ফিক্হ হিদায়া -২য় খণ্ড ৫। উসুলুল ফিক্হ নুরুল আনওয়ার -কিতাবুল্লাহ ৬।আরবী সাহিত্য মুখতারাত ৭। বালাগাত (অলংকার শাস্ত্র) দুরুসুল বালাগাত৮। ফরায়েয সিরাজী মারহালাতুল ফযীলত (স্নাতক ডিগ্রী) ২য় বর্ষ:

১। তাফসীর ২। তাফসীর ৩। উসুলুত তাফসীর ৪। হাদীস ৫। হাদীস ৬। উসুলল ফিক্হ ৭। কালাম তাফসীরে জালালাইন ১ম পত্র তাফসীরে জালালাইন ২য় পত্র আল ফাওযুল কাবীর মিশকাত শরীফ -১ম ভাগ মুকাদ্দিমাসহ মিশকাত শরীফ-২য় ভাগ নুরুল আনওয়ার- সুন্নাত থেকে শেষপর্যন্ত আকীদাতুত তাহাভী মারহালাতুল তাকমীল (স্নাতকোত্তর ডিগ্রী) ১ম বর্ষ দাওরায়ে হাদীস ১। সহীহ বুখারী (পূর্ণ) ২। সহীহ মুসলিম (পূর্ণ) ৩। জামি আত-তিরমিজি (পূর্ণ) ৫। সুনানু ইবনে মাজাহ পূর্ণ ৭। তাহাবী শরীফ পূর্ণ ৯। মুয়াত্তা ইমাম মুহাম্মাদ (পূর্ন) মারহালাতুল তাকমীল (স্নাতকোত্তর ডিগ্রী) ২য় বর্ষ দাওরায়ে হাদীস যে কোন একটি বিষয় (গবেষণার আলোকে) ১। উলুমুল কুরআন ২। উলুমুল হাদীস ৩। উলুমুশ শরীয়া ৪। লুগাতুল আরাবিয়া ৫। উলুমুদ দীন ৬। ক্বিরআত ও তাজভীদ

সমালোচনা[সম্পাদনা]