ব্যবহারকারী:1S1A1I1K1A1T1S/খেলাঘর
এটি 1S1A1I1K1A1T1S-এর ব্যবহারকারী খেলাঘর। ব্যবহারকারী খেলাঘর হচ্ছে ব্যবহারকারী'র ব্যবহারকারী পাতার একটি উপপাতা। এটি ব্যবহারকারীর জন্য একটি তৎক্ষণাৎ পরীক্ষা এবং পাতা উন্নয়নের স্থান হিসেবে কাজ করে এবং এটি বিশ্বকোষীয় নিবন্ধ নয়। আপনি এখানে নিজস্ব খেলাঘর তৈরি করতে বা সম্পাদনা করতে পারেন। অন্যান্য খেলাঘরগুলি: প্রধান খেলাঘর | খেলাঘর ২, খেলাঘর ৩ | টেমপ্লেট খেলাঘর একটি নিবন্ধ লিখেছেন এবং তা সৃষ্টির অনুরোধ করতে প্রস্তুত? |
স্থাপিত | 1997 |
---|---|
অবস্থান | পঞ্চগড়, বাংলাদেশ |
সংগ্রহ |
|
রকস মিউজিয়াম পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ এ অবস্থিত বাংলাদেশের প্রথম কোন পাথরের যাদুঘর। ১৯৯৭ সালে উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ ড. নাজমুল হক ব্যক্তিগত উদ্যোগে এটি গড়ে ওঠে। পঞ্চগড় অঞ্চলের ভূখণ্ডের বয়স নির্ণয়, প্রাগৈতিহাসিক নমুনা সংগ্রহ, নৃতাত্তি্বক নিদর্শন সংগ্রহ ও গবেষণার জন্য এ মিউজিয়াম স্থাপন করা হয়।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৯৯৭ সালে পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ এর অধ্যক্ষ ড. নাজমুল হক ব্যক্তিগত উদ্যোগে পঞ্চগড় রকস মিউজিয়াম গড়ে তোলেন । পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক, এ.এফ.এম. সাইফুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে ২৫ অক্টোবর ১৯৯৭ সালে এই জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন।
বিবরণ[সম্পাদনা]
রকস মিউজিয়ামে অভ্যন্তরীণ ও উন্মুক্ত দুই রকমের গ্যালারি রয়েছে। অভ্যন্তরীণ গ্যালারিতে রয়েছে বিভিন্ন আকৃতি, রং ও বৈশিষ্ট্যের আগ্নেয়শীলা, পাললিক শীলা ও নুড়ি পাথর, সিলিকা নুড়ি ও সিলিকা বালি, হলুদ ও গাঢ় হলুদ বালি, খনিজবালি, সাদা মাটি, তরঙ্গায়িত চ্যাপ্টা পাথর, লাইমস্টোন, পলি ও কুমোর মাটি এবং কঠিন শীলা। এ গ্যালারিতে একটি জাতিতাত্তি্বক সংগ্রহশালাও স্থাপন করা হয়েছে। এখানে রয়েছে পঞ্চগড়ের আদিবাসীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র এবং নদীর নিচে ও ভূগর্ভে প্রাপ্ত অশ্মীভূত কাঠ, তিনশ থেকে দুই হাজার বছরের পুরনো ইমারতের ইট-পাথরের মূর্তি এবং পোড়ামাটির নকশা। উন্মুক্ত গ্যালারিতে রয়েছে বিশাল আকৃতির বেলে পাথর, গ্রানাইট পাথর, কোয়ার্জাহিট, ব্যাসল্ট, শেল, মার্বেল বিভিন্ন নামের ও বর্ণের শিলা, সিলিকায়িত কাঠ বা গাছ থেকে পাথর, নকশা করা অলংকৃত খিলান ও বিভিন্ন রেখা, লেখা ও চিত্রাঙ্কিত শিলা এবং ধূসর ও কালো রঙয়ের কাদা। এখানে রয়েছে দুটি প্রত্নতাত্ত্বিক নৌকা। একটি শালগাছ কেটে বিশাল আকারের নৌকা দুটি তৈরি করা হয়েছে। নৌকার দৈর্ঘ্য ২২ ফুট ৬ ইঞ্চি। এর বয়স প্রায় তিনশ' বছর। এ ধরনের নৌকা প্রাচীনকালের আদিবাসীরা প্রশান্ত মহাসাগরের দীপপুঞ্জে ব্যবহার করত বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। এখানে রয়েছে পাথরে খোদিত 'তীর-ধনুক' ও দেবীর চোখের চিত্র। একটিতে রয়েছে তিব্বতী, চাইনিজ বর্ণমালা। একটি পাঁচফুট লম্বা কোয়ার্জাইট পাথর স্থাপিত হয়েছিল সম্ভবত কোনো সমাধিক্ষেত্রে। পাথরগুলোর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, পার্শ্ববর্তী দার্জিলিংয়ের সমকালে পঞ্চগড় অঞ্চলেও নব্য প্রস্তর যুগের সংস্কৃতি ও জীবনাচরণ ভালোভাবেই বিস্তার ছিল। আরও রয়েছে সংরক্ষিত শাল কাঠ, প্রাচীন অঙ্কিত বাঁশ, বিভিন্ন প্রাচীন লেখা।
পাথরের সংগ্রহ[সম্পাদনা]
উল্লেখযোগ্য পাথর সমুহ । এই পাথর গুলির আকার প্রায় ৩-৪ ইঞ্চি থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত।
- কোয়ার্টজাইট
- গ্রানাইট
- নকশাখচিত প্রস্তরখন্ড
- গাছের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে সৃষ্টি হওয়া পাথর (Petrified Wood)--১
- গাছের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে সৃষ্টি হওয়া পাথর (Petrified Wood)--২
- গাছের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে সৃষ্টি হওয়া পাথর (Petrified Wood)--৩। এখানে এক সাথে অনেক গুলো পাথর দেখা যায়।
- নীলচে গ্রানাইট
- পাথর খোদাই করে তৈরী স্লাব
- মাইকাসিস্ট
- সেতুতে ব্যবহৃত স্লাব: ১
- সেতুতে ব্যবহৃত স্লাব: ২
- রেখা, লেখা ও মিথযুক্ত প্রস্তরখণ্ড
- ব্যাসাল্ট
- জাতিতাত্ত্বিক ডিঙ্গি নৌকা।