বৈজ্ঞানিক অঙ্কপাতন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্যাল্কুলেটরে বৈজ্ঞানিক অঙ্কপাতন

বৈজ্ঞানিক অঙ্কপাতন (ইংরেজি: Scientific notation) বা বৈজ্ঞানিক সংখ্যালিখন পদ্ধতি বলতে দশমিক অঙ্কপাতনে সুবিধাজনকভাবে লেখা সম্ভব নয়, এমন অতিবৃহৎ বা অতিক্ষুদ্র বাস্তব সংখ্যাগুলিকে (যেগুলিকে অতিদীর্ঘ অঙ্কের সারি দিয়ে লিখে প্রকাশ করতে হয়), সেগুলিকে লেখায় প্রকাশের একটি উপায়। এটিকে বৈজ্ঞানিক রূপ (scientific form), মান সূচকীয় রূপ (standard index form), মান রূপ (standard form), ইত্যাদি নামেও ডাকা হতে পারে (বিশেষত যুক্তরাজ্যে)। এই দশের ঘাত-ভিত্তিক অঙ্কপাতন পদ্ধতিটিই সচরাচর বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও প্রকৌশলীরা ব্যবহার করে থাকেন, কেননা এটি ব্যবহার করলে কিছু গাণিতিক ক্রিয়া সম্পাদন সহজ হয়। বৈজ্ঞানিক গণনাযন্ত্রগুলিতে এটি "সাই" (SCI) প্রদর্শন পন্থা হিসেবে পরিচিত। বৈজ্ঞানিক অঙ্কপাতনে অশূন্য সংখ্যাগুলিকে নিম্নোক্ত রূপে লেখা হয়:

× ১০

বা -এ দশের -তম ঘাতের গুণ, যেখানে একটি পূর্ণসংখ্যা, এবং একটি অশূন্য বাস্তব সংখ্যা (যার পরম মান সাধারণত ১ থেকে ১০-এর মধ্যে থাকে, এবং প্রায় সর্বদাই এটিকে দশমিক বিন্দুর পরে সসীমসংখ্যক অঙ্কবিশিষ্ট একটি দশমিক সংখ্যা হিসেবে লেখা হয়)। পূর্ণসংখ্যাটিকে "সূচক" (এক্সপোনেন্ট) এবং বাস্তব সংখ্যাটিকে "সার্থক অংশ" (সিগনিফিক্যান্ড) বলা হয়।[১] যদি সংখ্যাটি ঋণাত্মক হয়, তাহলে সার্থক অংশ -এর আগে একটি বিয়োগচিহ্ন বসে, ঠিক দশমিক অঙ্কপাতনের অনুরূপে। স্বভাবীকৃত অঙ্কপাতনে (normalized notation) সূচকটিকে এমনভাবে নির্বাচন করা হয় যাতে সার্থক অংশটির পরম মান কমপক্ষে ১ হয়, কিন্তু এর সর্বোচ্চ মান ১০-এর কম হয়।

দশমিক ভাসমান বিন্দু একটি পরিগণকীয় অঙ্কপাতন (computer arithmetic system) যা বৈজ্ঞানিক অঙ্কপাতনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Caliò, Franca; Alessandro, Lazzari (সেপ্টেম্বর ২০১৭)। Elements of Mathematics with Numerical Applications। Società Editrice Esculapio। পৃষ্ঠা 30–32। আইএসবিএন 978-8893850520