বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র, পায়রাবন্দ, রংপুর

বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র ঊনবিংশ শতাব্দীর খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নামে স্থাপিত একটি গণউন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে বেগম রোকেয়ার পৈতৃক ভিটায় ৩ দশমিক ১৫ একর ভূমির ওপর এই কেন্দ্রটি অবস্থিত। একটি সরকার প্রতিষ্ঠান। এতে আছে অফিস ভবন, সর্বাধুনিক গেস্ট হাউজ, ৪ তলা ডরমেটরি ভবন, গবেষণা কক্ষ, লাইব্রেরি ইত্যাদি। সরকারী উদ্যোগে নির্মিত এই কেন্দ্রটির পরিচালনায় বর্তমানে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়[১]

প্রতিষ্ঠা[সম্পাদনা]

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার আদর্শ, কর্ম ও জীবন সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে অবহিতকরণ এবং এবং তার যুগস্রষ্টা অবদানকে স্মরণীয় ক’রে রাখার উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে নব্বুই দশকের মাঝামাঝি। এর জন্য বাজেট ধরা হয় ৫ কোটি টাকা। এই কেন্দ্র স্থাপনের দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলা একাডেমীকে। ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জুন ‘বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রের’ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। নির্মাণ সমাপনান্তে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই ক্নেদ্র আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। স্মৃতি কেন্দ্রটিতে রয়েছে ২শ ৬০ আসন বিশিষ্ট একটি আধুনিক মিলনায়তন, ১শ আসন বিশিষ্ট একটি সেমিনার কক্ষ, ১০ হাজার পুস্তক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন লাইব্রেরী, ৪ হাজার বিভিন্ন বইপত্র-পত্রিকা, গবেষণা কেন্দ্র, সংগ্রহশালা, ২৫টি সেলাই মেশিনসহ একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস, কেন্দ্র চত্বরে বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্য ও উপ-পরিচালকসহ কর্মচারীদের আবাসন ব্যবস্থা।[১]

ভাড়া প্রদান[সম্পাদনা]

২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সরকারের নিকট থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি ভাড়া নিয়ে পোশাক শ্রমিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করে আসছে।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র এখন শ্রমিক তৈরির কারখানা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]