বিশ্ব হাসি দিবস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বিশ্ব হাসি দিবস প্রতিবছর মে মাসের প্রথম রবিবারে পালন করা হয়।[১] ১৯৯৮ সালের ১০ মে তারিখে মুম্বাইতে প্রথমবার বিশ্বব্যাপী হাস্যযোগ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ মদন কাটারীয়া এই দিবস উদ্‌যাপন করেছিলেন।[২] ফেসিয়াল ফিডব্যাক হাইপোথিসিস দ্বারা তিনি অনুপ্রাণিত হয়ে লাফটার যোগ বা হাস্য যোগ আন্দোলন আরম্ভ করেছিলেন। ফেসিয়াল ফিডব্যাক হাইপোথিসিস ধারণা অনুসারে, একজন মানুষের মুখের অভিব্যক্তি তার আবেগকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশ্ব হাসি দিবসের উদ্দেশ্য হল হাসির মাধ্যমে সৌভ্রাতৃত্ব এবং বন্ধুত্বের বিশ্বজনীন সচেতনতা সৃষ্টি করা। এই দিবসটি সাধারণত জনস্থানে হাসার উদ্দেশ্যে মানুষ একত্রিত হয়ে পালন করে।

বর্তমানে গোটা বিশ্বে এই দিবস পালন করা হয়।[২][৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৯৮ সালে ভারতের মুম্বাই শহরে ডাঃ মদন কটারিয়া বিশ্ব হাস্য দিবসের পত্তন করেন। ফেসিয়াল ফিডব্যাক হাইপোথিসিস দ্বারা তিনি অনুপ্রাণিত হয়ে “লাফটার যোগ” আন্দোলন আরম্ভ করেছিলেন।[২][৪] ফেসিয়াল ফিডব্যাক হাইপোথিসিস ধারণা অনুসারে, একজন মানুষের মুখের অভিব্যক্তি তার আবেগকে প্রভাবিত করতে পারে। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বের ১০৫ টি দেশের লাফিং ক্লাব লাফটার যোগ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত।

উদ্‌যাপন[সম্পাদনা]

বিশ্ব হাস্য দিবস উদ্‌যাপন সাধারণ নিয়ম অনুসারে উক্ত দিনটিতে লাফটার ক্লাবের সদস্যবৃন্দ পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবের সাথে শহরের কোনো এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেমন সরকারি উদ্যান অথবা প্রেক্ষাগৃহ ইত্যাদিতে জড়ো হয়ে একসঙ্গে হাসেন। সেদিন তারা বিশ্বশান্তির জন্য প্রার্থনা করেন এবং ডাঃ কটারিয়ার বার্তা পড়েন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"Seattle Post-Intelligencer। ২০০৯-০৫-০১। ২০১২-০৭-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-০৬ 
  2. Nerenberg, Albert। "World Laughter Day: How a Laughing Fit Sparked an International Movement"Huffingtonpost.com। জুলাই ২৪, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৪, ২০১৫ 
  3. Ritman, Alex (মে ৬, ২০১২)। "It's World Laughter Day"The National। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৪, ২০১৫ 
  4. Grinnell, Renee। "Facial Feedback Hypothesis"psychcentral.com। জানুয়ারি ১১, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৪, ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]