বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম৬ মার্চ ১৮৫১
সাতগাছিয়া, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ)
মৃত্যু৩ এপ্রিল ১৯৩২ (বয়স ৮১)
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তনগভর্নমেন্ট আর্ট কলেজ, কলকাতা
পেশাচিত্রশিল্পী

বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায় (৬ মার্চ ১৮৫১ - ৩ এপ্রিল ১৯৩২) খ্যাতনামা বাঙালি চিত্রশিল্পী ।[১]

জীবনী[সম্পাদনা]

বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার মাতুলালয়ে। বাল্যকাল থেকেই ছবি আঁকায় অনুরাগ ছিল। সরকারি আর্ট কলেজে শিক্ষা লাভ করেন। খ্যাতনামা চিত্রকর প্রমথনাথ মিত্রের কাছে তৈল চিত্রাঙ্কন এবং জার্মান চিত্রকর বেকারের কাছে পুরাতন চিত্রের পুনরুদ্ধার পদ্ধতি শেখেন। ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দ হতে তিনি স্বাধীনভাবে ব্যবসা শুরু করেন। ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে উত্তর ভারত পরিভ্রমণ করেন এবং এলাহাবাদ (বর্তমানের প্রয়াগরাজ), লাহোর, অমৃতসর, গোয়ালিয়র, জয়পুর, যোধপুর প্রভৃতি স্থানের দেশীয় রাজ্যের রাজা-মহারাজাদের চিত্র অঙ্কন করে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন ও অর্থ লাভ করেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র, যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর প্রমুখের তৈলচিত্র অঙ্কন করে যশস্বী হন। তার অঙ্কিত ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ হস্তে বঙ্কিমচন্দ্রের মূল প্রতিকৃতি কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে রক্ষিত আছে।

চিত্রকর্ম[সম্পাদনা]

বামাপদর অন্যান্য বিখ্যাত চিত্র হল -

  • 'জাগলার অ্যান্ড মংকি'
  • 'দুর্বাসা ও শকুন্তলা'
  • 'শান্তনু ও গঙ্গা'
  • 'উত্তরা ও অভিমন্যু'

নিজের আঁকা পৌরাণিক চিত্রগুলির ওলিয়োগ্রাফ (oleograph) বা নকল-তৈলচিত্রও প্রচার করেছিলেন। বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গীয় কলা-সংসদের কার্যকরী সমিতির অন্যতম সদস্য ছিলেন।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায় ৮১ বৎসর বয়সে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ৩রা এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ৪৬০, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬