প্রীতি সংকর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রীতি সংকর

প্রীতি সংকর (বিয়ের আগের নাম: প্রীতি মন্টেইরো; সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ - অক্টোবর ২০১১) ছিলেন একজন ভারতীয় শিক্ষক, গবেষক এবং শিক্ষাবিদ। তার গবেষণায় কম্পাইলার নকশা, প্রথাগত ভাষাতত্ত্ব এবং অ্যালগরিদমিক কোডিং তত্ত্বের ক্ষেত্রগুলিতে আলোকপাত করা হয়েছিল।[১]

প্রারম্ভিক জীবন ও ক্যারিয়ার[সম্পাদনা]

প্রীতি একটি গোয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ইনোসেনসিও মন্টিরিও। তিনি ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার। আর প্রীতির মা সোফিয়া[২] ছিলেন গণিত ও ফরাসি ভাষার শিক্ষক।

১৯৫৮ সালে তার বাবা-মা পুনের খাদকওয়াস্লা থেকে জম্মুতে চলে যায়। কারণ, তখন তার বাবা সুরানকোটে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে দায়িত্ব পালন করতেন। এই পদক্ষেপের ফলে প্রীতি ছয় মাস স্কুলে যেতে পারেনি। আর এ সময় তার মা তাকে বাড়িতেই পড়ালেখা করাতেন। কয়েক বছর পরে তিনি পুনেতে ফিরে এসে ফার্গুসন কলেজে ভর্তি হন।[৩] পরবর্তীতে তিনি দিল্লির ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে অধ্যায়ন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি প্রথম নারী[২] হিসেবে সেখান থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে ব্যাচেলর অব টেকনোলজি ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩] স্নাতক পাশ করে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড, কলেজ পার্কে ভর্তির জন্য আবেদন করেন এবং সেখান থেকেই ১৯৭২ সালে তিনি পিএইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন।[৪] এক বছর পরে তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের (আই.আই.এসসি.) সেন্টার ফর অটোমেশনে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন।[৩]

১৯৭৯ সালে প্রীতি একটি বিসিএইচ কোড তৈরি করার মাধ্যমে বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এটি সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল এবং তাই সীমাবদ্ধ বলয়ে এটি ব্যবহার করা যেত। ২০০২ সালে তিনি ওয়াই.এন শ্রীকান্তের পাশাপাশি সিআরসি প্রেসের একজন সহযোগী-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ভারতীয় জার্নাল রেজোন্যান্স এবং পিয়ার রিভিউ এর নেতৃত্বে ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

প্রীতির বেশ কয়েকজন ভাই-বোন ছিল। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তাত্ত্বিক পদার্থবিদ বিবেক মন্টিরিও, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং মিডিয়া স্টাডিজের একজন অধ্যাপক অঞ্জলি মন্টিরিও এবং উন্নয়নমূলক এবং আচরণগত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ নন্দিতা দে সুজা[২] ১৯৭৪ সালে তিনি বেঙ্গালুরুর জাতীয় মহাকাশ গবেষণাগারের তাত্ত্বিক তরল গতিবিদ্যার বিশেষজ্ঞ পি.এন. শঙ্করকে বিয়ে করেছিলেন। ১৯৭৬ সালে তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন যার নাম রাখা হয় নচিকেত। এরপর ১৯৮৩ সালে তার কন্যা মৃদুলা জন্মগ্রহণ করে।[৩]

সম্মাননা[সম্পাদনা]

২০০৭ সালে সংকর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক বিভাগে জয়া জয়ন্ত পুরস্কার পেয়েছিলেন এবং ২০০৬ সাল থেকে থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স তাকে একজন বিশিষ্ট প্রভাষক হিসাবে মনোনীত করে।[২]

অবদান[সম্পাদনা]

প্রীতি শঙ্কর লাইব্রেরি অব পপুলার ম্যাথ অ্যান্ড সায়েন্স নামক গ্রন্থাগারটি নাভনিরমিতি লার্নিং ফাউন্ডেশনের ইউএমইডি ভবনে অবস্থিত।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "PROFESSOR PRITI SHANKAR" (পিডিএফ)Indian Academy of Sciences। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৮ 
  2. "Priti Shankar (1947–2011)"। Current Science102 (3)। ২০১২। 
  3. "From the abstract to the concrete" (পিডিএফ)। Computer Science Association। ১৩ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৮ 
  4. "Priti Monteiro (Shankar)"। Mathematics Genealogy Project Department of Mathematics North Dakota State University। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৮ 
  5. "Priti Shankar Library"। Navnirmiti Learning Foundation। ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৮