পেশাওয়ারের যুদ্ধ (১০০১)
পেশাওয়ারের যুদ্ধ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
গজনভি সাম্রাজ্য | কাবুল শাহি | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
মাহমুদ গজনভি | জয়পাল | ||||||
শক্তি | |||||||
১৫,০০০ অশ্বারোহী অজ্ঞাত সংখ্যক আফগান ও গাজি |
১২,০০০ অশ্বারোহী ৩০,০০০ পদাতিক ৩০০ হাতি | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
অজ্ঞাত | ৫,০০০-১৫,০০০ নিহত |
পেশাওয়ারের যুদ্ধ ১০০১ সালের ২৭ নভেম্বর পেশাওয়ারের নিকটে সুলতান মাহমুদ গজনভি ও জয়পালের বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়। যুদ্ধে জয়পাল পরাজিত ও বন্দী হন। পরে তিনি অপমানিত বোধ করে চিতার আগুনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এই বিজয় ছিল সুলতান মাহমুদের অন্যতম প্রধান বিজয়।
পটভূমি[সম্পাদনা]
সবুক্তগিন কান্দাহার জয় করার পর হিন্দু শাহি রাজ্যের সাথে তার লড়াই হয়।[১] হিন্দু শাহি শাসক জয়পাল সবুক্তগিনকে আক্রমণ করার পর পরাজিত হন। পরবর্তীতে তিনি ১,০০,০০০ সৈনিকের বাহিনী নিয়ে পুনরায় আক্রমণ করেন কিন্তু পরাজিত হন।[২] লাগমান বিধ্বস্ত হয় এবং কাবুল ও জালালাবাদ গজনভিদের অধিকারে আসে। ৯৯৭ সালে মাহমুদ গজনভি সিংহাসনে বসেন। ১০০১ সালে তিনি ১৫,০০০ অশ্বারোহী এবং আফগান ও গাজিদের বড় সেনাদল নিয়ে পেশাওয়ার পৌছান।[১]
যুদ্ধ[সম্পাদনা]
আল-উতবি রচিত তারিখ ইয়ামিনি গ্রন্থে গজনভি ও শাহি রাজ্যের লড়াইয়ের বিবরণ রয়েছে।[৩] আল-উতবির মতে মাহমুদ পেশাওয়ারে পৌছার পর শহরের বাইরে তাবু স্থাপন করেন। অতিরিক্ত সৈনিকের অপেক্ষায় জয়পাল আক্রমনে দেরি করছিলেন। এরপর মাহমুদ আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। জয়পাল তার অশ্বারোহী ও হস্তীবাহিনীকে আক্রমণের জন্য পরিচালনা করেন কিন্তু তার বাহিনী পরাজিত হয়।[৪] জয়পাল সপরিবারে বন্দী হন।
পরবর্তী অবস্থা[সম্পাদনা]
বড় অঙ্কের মুক্তিপণের বিনিময়ে জয়পালের পরিবারের সদস্যদের ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু পরাজয়ের কারণে জয়পাল অপমানিত বোধ করে এবং চিতার আগুনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।[৫]
পরবর্তীতে মাহমুদ সিন্ধু অঞ্চল জয় করেন এবং ১০০৯ সালে জয়পালের পুত্র আনন্দপালকে যুদ্ধে পরাজিত করেন। এরপর তিনি লাহোর ও মুলতান জয় করেন।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ Satish Chandra। Medieval India: From Sultanat to the Mughals-Delhi Sultanat (1206–1526) Part 1 (3rd সংস্করণ)। Har-Anand Publication Pvt Ltd। পৃষ্ঠা 17–18। আইএসবিএন 8124105227।
- ↑ Sir H. M. Elliot (১৮৬৯)। "Chapter II, Tarikh Yamini or Kitabu-l Yamini by Al Utbi"। The History of India, as Told by Its Own Historians. The Muhammadan Period। Trubner and Co। পৃষ্ঠা 18–24।
- ↑ Pradeep Barua (২০০৬)। The State At War In South Asia। University of Nebraska Press। পৃষ্ঠা 25। আইএসবিএন 0-8032-1344-1।
- ↑ Sir H. M. Elliot (১৮৬৯)। "Chapter II, Tarikh Yamini or Kitabu-l Yamini by Al Utbi"। The History of India, as Told by Its Own Historians. The Muhammadan Period। Trubner and Co। পৃষ্ঠা 24–26।
- ↑ Sir H. M. Elliot (১৮৬৯)। "Chapter II, Tarikh Yamini or Kitabu-l Yamini by Al Utbi"। The History of India, as Told by Its Own Historians. The Muhammadan Period। Trubner and Co। পৃষ্ঠা 27।