পুরকৌশল বিষয়ক সফটওয়্যার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
John Smeaton,পুরকৌশলের জনক

পুরকৌশলের প্রতিটি ক্ষেত্রে হরেক রকম সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অধিকাংশ পুরকৌশলীরা পুরকৌশলের একটি ক্ষেত্র নিয়ে সাধারণত কাজ করে থাকেন। যেমন: ভূ-কারিগরি প্রকৌশল, অবকাঠামো প্রকৌশল, ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং , জলবাহী ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশ প্রকৌশল, প্রকল্প ও নির্মাণ ব্যবস্থাপনা এবং ভূমি জরিপ।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

পূর্বে কোন প্রকল্প শুরু করার আগে ড্রাফটসম্যান বলে এক ধরনের পেশার লোকের দরকার হত, যারা কোন প্রকল্প সম্পর্কে খসড়া করে প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন পেশ করত। বর্তমানে, এ ধরনের লোকের আর দরকার হয় না, কেননা বর্তমানে প্রকৌশলীরা সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রকল্পটি সম্পর্কে খুব সহজেই একটি খসড়া দাঁড় করাতে পারেন।[১] পুরকৌশলের একটি অন্যতম প্রধান শাখা ভূমি জরিপের ক্ষেত্রেও সফটওয়্যারের বিস্তর অবদান বিদ্যমান। বিভিন্ন প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের পাঠ্যসূচিতে সফটওয়্যার বিষয়ক পাঠ্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করেছে, যাতে শিক্ষার্থীরা অধিকতর দক্ষ হয়ে ওঠে।[২]

অবকাঠামো নির্মাণ[সম্পাদনা]

পুরকৌশলের একটি শাখা অবকাঠামো নির্মাণেও সফটওয়্যারের ব্যবহার বিদ্যমান। কেননা, মেকানিক্সের অঙ্ক কষে অবকাঠামো মজবুত হবে কি হবে না সেটা বের করতে কখনো কখনো অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। আবার, কখনো অঙ্কে ভুল হবারও সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে, সফটওয়্যার ব্যবহার করে অতি সহজেই বের করে যায়। সফটওয়্যার ব্যবহার করে আরো বের করা যায়, অবকাঠামো নির্মাণে কত খরচ লাগতে পারে। পূর্বে যেখানে অবকাঠামোর নকশা অঙ্কনের ক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের দিনের পর দিন কাজ হাতে কলমে কাজ করতে হত, সেখানে বর্তমানে ঘরে বসেই সফটওয়্যার ব্যবহার করে অবকাঠামোর নকশা তৈরি করা সম্ভব।

অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ[সম্পাদনা]

দুনিয়ার কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়। তবে রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে কোন কিছুর স্থায়িত্বকাল বাড়ানো সম্ভব। আগে ইমারতের ক্ষেত্রে একজন পরিদর্শক থাকতেন, যিনি ইমার‍ত রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কাজ করে থাকতেন। এখন সফটওয়্যারের সাহায্যেই ইমারতের হাল হকিকত সম্পর্কে জানা যায়, যা পরিদর্শক নিয়োগের বাড়তি খরচ কমিয়ে দিয়েছে।[৩]

জলবাহী ইঞ্জিনিয়ারিং[সম্পাদনা]

জলবাহী ইঞ্জিনিয়ারিং তরল ও গ্যাসীয় পদার্থ নিয়ে আলোচনা করে থাকে। পুরকৌশলের এই ক্ষেত্রটিতে সফটওয়্যার ব্যবহার করে ব্রিজ, বাঁধ, খাল, পানির পাইপ প্রভৃতির নকশা করা সম্ভব।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Xeidakis, George (১৯৯৪)। "Future directions of civil engineering education"। European Journal of Engineering Education19 (2): 141–146। 
  2. Wolf, Paul (১৯৯৪)। Elementary Surveying, An Introduction to Geomatics। New Jersey: Pearson Prentice Hall। পৃষ্ঠা 916। আইএসবিএন 0-13-148189-4 
  3. Roode, Benjamin (এপ্রিল ২০১১)। "More Bang for Your Buck"। PE, The Magazine for Professional Engineers: 28–31।