পালি চন্দ্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পালি চন্দ্র
২০১৫ সালে দুবাইতে, পালি চন্দ্র 'নবীনায়িকা' হিসাবে নৃত্য পরিবেশন করছেন
জন্ম
পালি শ্রীবাস্তব

(1967-11-19) ১৯ নভেম্বর ১৯৬৭ (বয়স ৫৬)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাকত্থক নৃত্যশিল্পী, নৃত্য পরিকল্পক, শিক্ষাবিদ, সামাজিক কর্মী

পালি চন্দ্র (বিবাহ পূর্ব শ্রীবাস্তব) একজন কত্থক নৃত্যশিল্পী, নৃত্য পরিকল্পক, শিক্ষাবিদ, সামাজিক কর্মী এবং গুরুকুল সুইজারল্যান্ড ও গুরুকুল দুবাইয়ের নামক নৃত্য বিদ্যালয়ের শৈল্পিক পরিচালক। এখানে কত্থককে সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী উপায়ে শেখানো হয়।[১][২] তিনি ধ্রুপদী কত্থকের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন লখনউ ঘরানার প্রয়াত গুরু বিক্রম সিংহ,[৩] পণ্ডিত রাম মোহন মহারাজ,[৪] এবং শ্রীমতি কপিলা রাজের[৫] কাছে। শাস্ত্রীয় ও সমসাময়িক কত্থকের একজন পরিবেশক নৃত্য শিল্পী হিসাবে, তিনি তাঁর অসামান্য প্রদর্শনের জন্য স্বীকৃত ছিলেন। তাঁকে লাচ্ছু মহারাজ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল, এই পুরস্কারটি দেওয়া হয় অভিনয় বা অভিব্যক্তি প্রকাশের শিল্পের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জনকারী শিল্পীদের। তিনি ইম্পেরিয়াল সোসাইটি অফ টিচারস' অফ ডান্সিং সমিতির সদস্য। এছাড়াও তিনি সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সম্পর্কিত ভারতীয় কাউন্সিলের ক্রম তালিকাভুক্ত সদস্য।[৬]

প্রাথমিক জীবন এবং প্রশিক্ষণ[সম্পাদনা]

পালির জন্ম ১৯৬৭ সালে লখনউতে। পালি ছয় বছর বয়সে নাচ শুরু করেন। তিনি মায়ের ইচ্ছাকে অনুসরণ করেছিলেন। তাঁর মা নিজে একজন নৃত্যশিল্পী হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁকে নাচ শিখতে দেওয়া হয়নি, তিনি স্ংগীত শিখে হয়ে উঠেছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতের গায়ক।[৭] তিনি লখনউতে সংগীত নাটক আকাদেমির কত্থক কেন্দ্রে তাঁর গুরু বিক্রম সিংহের অধীনে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ শুরু করেছিলেন আট বছর বয়সে। [৮] তাঁর মা তাঁর মধ্যে নৃত্যশিল্পী হবার সম্ভাবনা দেখে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সেখানে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় তিনি পণ্ডিত রাম মোহন মহারাজ [৪] এবং কপিলা রাজের [৫] অধীনেও এসে ছিলেন, তাঁরাও পালির প্রতিভাতে বিশ্বাসী ছিলেন। পালি ১৯৮৭ সালে অর্থোনীতি ও নৃতত্ত্ব বিজ্ঞানের ডিগ্রি নিয়ে লখনউয়ের অওধ গার্লস ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক হন। তিনি লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃতত্ত্ব বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করেছিলেন এবং গাদ্দি জনজাতির উপজাতীয় সংগীত ও নৃত্য সম্পর্কিত গবেষণার জন্য তাঁকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়েছিল।[৯]

নৃত্য শিক্ষাবিদ এবং গুরুকুল[সম্পাদনা]

অক্সফোর্ড, বার্মিংহাম, লিভারপুল, ব্র্যাডফোর্ড, সিয়াটেল এবং হংকং বিশ্ববিদ্যালয়; লন্ডনের স্কুল অব কনটেম্পোরারি আর্ট এবং বার্লিন মিউজিয়াম গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে পালি চন্দ্রের বক্তৃতা, প্রদর্শনী ও কর্মশালার আয়োজন করে আসছে। তিনি আগে যুক্তরাজ্যের মর্যাদাপূর্ণ ইম্পেরিয়াল সোসাইটি অফ টিচার্স অফ ডান্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখন তিনি এর কত্থক পাঠ্যক্রম প্রণয়নকারী কার্যকরী সমিতির অংশ। একজন নৃত্যশিল্পী এবং নৃত্য পরিকল্পক হিসাবে তাঁর অসংখ্য পরিবেশনা বিশ্বজুড়ে মঞ্চস্থ হয়েছে এবং বেশ প্রশংসিত হয়েছে।[১০] তিনি তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময় লন্ডনেই কাটিয়েছেন এবং সম্প্রতি দুবাইতে এসেছেন, যেখানে তিনি গুরুকুল দুবাই নামে একটি নৃত্য বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। তিনি বলেন “আমার লক্ষ্য পশ্চিমী দর্শকদের কাছে নৃত্য, আমার দক্ষতা এবং প্রতিভা পৌঁছে দেওয়া। আমি কখনই মঞ্চে গিয়ে আমার ঔদ্ধত্যের বোধ দিয়ে আমার দক্ষতা প্রদর্শন করব না; আমি কেবল ভাগ করে নিতে চাই।” পালি একীভূত নৃত্যকেও (ফিউশন নৃত্য) স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ব্যালে, ট্যাপ নাচ, এবং ফ্ল্যামেনকো কত্থকের সাথে ভালভাবে চলে। তারা সত্যই একে অপরের পরিপূরক এবং যখনই আমি এই শৈলীকে মিলিয়ে নিয়েছি, আমরা কেবল দীর্ঘায়িত করতালি পেয়েছি।” [১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Welcome to Gurukul"Gurukuldubai.com। ২০১৬-০১-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১১ 
  2. "Pali Chandra"। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২০ 
  3. Projesh Banerji (১৯২৭-০১-২২)। "Dance in Thumri"Books.google.co.uk। পৃষ্ঠা 99। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১১ 
  4. "Behance"Behance.net। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১১ 
  5. "Kapila Raj (Sharma) A Legendary Kathak Dancer. - Apni Maati: Personality"Spicmacay.apnimaati.com। ২০১২-০৩-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১১ 
  6. "Indian council for cultural relations empanelment unit" (পিডিএফ)Indian Council for Cultural Relations। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  7. "Born to dance"The Hindu। ২০১২-০৮-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১১ 
  8. Sunil Kothari। "Kathak, Indian Classical Dance Art"। Books.google.co.uk। পৃষ্ঠা 32। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১১ 
  9. "About Gaddi Community of Himachal Pradesh"Discoveredindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১১ 
  10. "Pali Chandra"। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২০ 
  11. "Born to dance"। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২০